শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রথম বছর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দিয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়লো একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেড।
সম্প্রতি কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা সংক্রান্ত পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বোর্ড সভায় কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোন লভ্যাংশই ঘোষণা করেনি।
সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.১২ টাকা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ২ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা ০.১২ টাকা বা ৬০ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানিটির মুনাফায় বড় উত্থান হলে শেয়ারহোল্ডারদের হতাশ করেছে কোম্পানিটি। সমাপ্ত বছরে অর্থাৎ চলতি বছরের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৪৮ টাকায়।
এদিক শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়ার পর প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা একমি পেস্টিসাইডসের শেয়ার লেনদেন গতকাল ১১ টাকায় শুরু হয়েছে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই শেয়ার দর ১ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়ে ১১ টাকায় শুরু হয়েছে। লেনদেনের দেড় ঘণ্টার মাথায় কোম্পানিটির ৩২১টি শেয়ার ৯ বার হাত বদল হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারীদের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। আর এরও আগে ১২ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়।
চলতি বছরের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৮৫তম সভায় কোম্পানিটিকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয়া হয়। একমি পেস্টিসাইডস ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করে।
উত্তোলনযোগ্য অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি কারখানার ভবন নির্মাণ, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি স্থাপন, নতুন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬.৮৪ টাকায়। এ কোম্পানিটির ওইসময়ের ১ম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে (ইপিএস) ০.৪৮ টাকা। একমি পেস্টিসাইডস শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার পরবর্তী ৪ বছর বোনাস শেয়ার দিতে পারবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি।
সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১ , ৩০ কার্তিক ১৪২৮ ৯ রবিউস সানি ১৪৪৩
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রথম বছর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দিয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়লো একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেড।
সম্প্রতি কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা সংক্রান্ত পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বোর্ড সভায় কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোন লভ্যাংশই ঘোষণা করেনি।
সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.১২ টাকা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ২ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা ০.১২ টাকা বা ৬০ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানিটির মুনাফায় বড় উত্থান হলে শেয়ারহোল্ডারদের হতাশ করেছে কোম্পানিটি। সমাপ্ত বছরে অর্থাৎ চলতি বছরের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৪৮ টাকায়।
এদিক শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়ার পর প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা একমি পেস্টিসাইডসের শেয়ার লেনদেন গতকাল ১১ টাকায় শুরু হয়েছে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই শেয়ার দর ১ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়ে ১১ টাকায় শুরু হয়েছে। লেনদেনের দেড় ঘণ্টার মাথায় কোম্পানিটির ৩২১টি শেয়ার ৯ বার হাত বদল হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারীদের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। আর এরও আগে ১২ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়।
চলতি বছরের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৮৫তম সভায় কোম্পানিটিকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয়া হয়। একমি পেস্টিসাইডস ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করে।
উত্তোলনযোগ্য অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি কারখানার ভবন নির্মাণ, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি স্থাপন, নতুন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬.৮৪ টাকায়। এ কোম্পানিটির ওইসময়ের ১ম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে (ইপিএস) ০.৪৮ টাকা। একমি পেস্টিসাইডস শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার পরবর্তী ৪ বছর বোনাস শেয়ার দিতে পারবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি।