ভোট না দেয়ায় বাঁশের সাঁকো উচ্ছেদ : যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ৫ গ্রাম

বগুড়ার শেরপুরে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীকে ভোট না দেয়ায় বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চরবেলগাছী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৪ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

জানা যায়, নির্বাচনে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু (টিউবয়েল প্রতীক) ও নুরুন্নবী ম-ল হিটলার (মোরগ প্রতীক) অংশ নেন। এরমধ্যে আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু পরাজিত হন। এতে তার কর্মী-সমর্থকরা ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এমনকি ভোট না দেয়ায় চরকল্যাণী, চরবেলগাছী, চরবিনোদপুর ও বেলগাছী গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি রাতের আঁধারে ভেঙ্গে ফেলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বাছেদ, আবু সালেম, আব্দুস সোবাহান বলেন, বাঙালী নদীর ওপর বেলগাছী নামক স্থানে ব্রিজ রয়েছে। এই ব্রিজে যাওয়ার জন্য চরবেলগাছী নামকস্থানে গ্রামবাসীর চাঁদার টাকায় একটি খালের ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। আর এই সাঁকোটি দিয়েই চার গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। ইউপি নির্বাচনে রঞ্জু হেরে গেছেন। তাকে ভোট না দেয়ার কারণে তার সমর্থকরা সাঁকোটি ভেঙ্গে দিয়েছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু। তিনি বলেন, এই ধরনের কোন ঘটনার সঙ্গে আমি ও আমার কোন কর্মী-সমর্থকরা জড়িত নেই।

বিজয়ী প্রার্থী নুরন্নবী ম-ল হিটলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নির্বাচনী জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে সাঁকোটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি করছি।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১ , ৩০ কার্তিক ১৪২৮ ৯ রবিউস সানি ১৪৪৩

ভোট না দেয়ায় বাঁশের সাঁকো উচ্ছেদ : যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ৫ গ্রাম

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

বগুড়ার শেরপুরে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীকে ভোট না দেয়ায় বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চরবেলগাছী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৪ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

জানা যায়, নির্বাচনে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু (টিউবয়েল প্রতীক) ও নুরুন্নবী ম-ল হিটলার (মোরগ প্রতীক) অংশ নেন। এরমধ্যে আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু পরাজিত হন। এতে তার কর্মী-সমর্থকরা ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এমনকি ভোট না দেয়ায় চরকল্যাণী, চরবেলগাছী, চরবিনোদপুর ও বেলগাছী গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি রাতের আঁধারে ভেঙ্গে ফেলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বাছেদ, আবু সালেম, আব্দুস সোবাহান বলেন, বাঙালী নদীর ওপর বেলগাছী নামক স্থানে ব্রিজ রয়েছে। এই ব্রিজে যাওয়ার জন্য চরবেলগাছী নামকস্থানে গ্রামবাসীর চাঁদার টাকায় একটি খালের ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। আর এই সাঁকোটি দিয়েই চার গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। ইউপি নির্বাচনে রঞ্জু হেরে গেছেন। তাকে ভোট না দেয়ার কারণে তার সমর্থকরা সাঁকোটি ভেঙ্গে দিয়েছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু। তিনি বলেন, এই ধরনের কোন ঘটনার সঙ্গে আমি ও আমার কোন কর্মী-সমর্থকরা জড়িত নেই।

বিজয়ী প্রার্থী নুরন্নবী ম-ল হিটলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নির্বাচনী জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে সাঁকোটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি করছি।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।