রেইনট্রি মামলা পর্যালোচনা

চরমভাবে জেন্ডার বৈষম্য তৈরি করেছে মহিলা পরিষদ

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা মন্তব্য করেছেন, রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলের দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার রায় ও রায়ের পর্যবেক্ষণ বিষয়ে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রতিফলন উঠে এসেছে। তারা বলছেন, এই পর্যবেক্ষণ নারীর প্রতি সংঘটিত অপরাধকে আরও ঘনীভূত করবে এবং সুষ্ঠুভাবে বিচার কাজ পরিচালনাকে বাধাগ্রস্ত করবে। এই রায় জেন্ডার সমতা তৈরির পরিবর্তে চরমভাবে জেন্ডার বৈষম্য তৈরি করেছে।

গতকাল রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায়ের পর বিচারিক আদালতের পর্যবেক্ষণের প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্টের সামনের কদম ফোয়ারার পাশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ ও ন্যায় বিচার নিশ্চিতে মানববন্ধন থেকে কয়েকটি দাবিও তুলে ধরা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আলোচিত রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণের মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আমরা অত্যন্ত হতাশ ও উদ্বিগ্ন। ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় এই পর্যবেক্ষণ নারীর প্রতি সংঘটিত অপরাধকে আরও ঘনীভূত করবে, সুষ্ঠুভাবে বিচার কাজ পরিচালনাকে বাধাগ্রস্ত করবে। এর ফলে দেশের দু’জন নাগরিকের প্রতি চরম অবমাননা করা হয়েছে, তাদের মানহানি করা হয়েছে এবং তাদের মানবাধিকার ও লঙ্ঘিত হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, পুরুষতান্ত্রিকতা যে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে, নারীকে যে এখনও অধীন ভাবা হয় এবং আইনেরও যে সীমাবদ্ধতা আছে এই মামলার রায় ও রায়ের পর্যবেক্ষণ একইসঙ্গে এই বিষয়গুলোকেও স্পষ্ট করে তুলেছে।

ধর্ষণকারীর স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেয়ার পরও কেন এ রায় প্রভাবিত হলো? এমন প্রশ্ন তুলে বক্তারা বলেন, রায়টির পর্যবেক্ষণ নাগরিকের ন্যায় বিচারপ্রাপ্তিতে বাধা তৈরি করেছে। লৈঙ্গিক সমতা রক্ষার পরিবর্তে এই রায়ের পর্যবেক্ষণ চরমভাবে জেন্ডার বৈষম্য তৈরি করেছে।

বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাজ্ঞতা ও লৈঙ্গিক সংবেদনশীলতা কতটুকু বিবেচনায় নেয়া হয়, এ প্রশ্নও তোলেন মহিলা পরিষদের নেতারা।

মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে জানেন কি না, যথাযথভাবে ?নিজ দায়িত্ব পালন করছেন কি না, ভিকটিমের প্রতি জেন্ডার সংবেদনশীল মনোভাব রাখেন কি না এসব বিষয় কে মনিটর করবে?

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বিচার বিভাগের এ দুর্বলতা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আইন মন্ত্রণালয় নারীবান্ধব নানা আইন করলেও বাস্তবায়ন নেই। অপরাধের দায় স্বীকারের পর অপরাধীদের অসাধু উপায়ে এবং অন্যায়ভাবে টাকা ও ক্ষমতার অপব্যবহার প্রক্রিয়া থেকে বিচার ব্যবস্থাকে মুক্ত করা না গেলে সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা কখনই সম্ভব নয়।’

আইনের অপব্যাখ্যার দায় সমগ্র বিচার ব্যবস্থাকেই প্রভাবিত করে। বিচারব্যবস্থা যেন সাধারণ মানুষের বিচার পাওয়ার পথকে সংকুচিত না করে প্রসারিত করতে পারে, সে লক্ষ্যে আরও কাজ করতে আইন ও বিচার বিভাগকে আহ্বান জানান তিনি।

ডা. মোসলেম আরও বলেন, ‘বিচারের রায়ই শেষ কথা নয়। দোষ সবসময় প্রমাণ করা যায় না। তা সত্ত্বেও দোষী ব্যক্তি সমাজের কাছে দোষী হিসেবেই চিহ্নিত হবে।’

সংগঠনের অ্যাডভোকেসি ও লবি ডিরেক্টর জনা গোস্বামীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনূস, কেন্দ্রীয় কমিটির লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক মাকসুদা আক্তার লাইলী বক্তব্য দেন। মানবন্ধনে অতিথি বক্তা ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কে রাশেদুল হক। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ এবং ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে মানববন্ধন থেকে মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিতে বলা হয় বিচারব্যবস্থায় জেন্ডার সংবেদনশীলতা নিশ্চিত করতে হবে ও নিরপেক্ষভাবে বিচার করতে হবে; বিচারকদের জেন্ডার সংবেদনশীল মনোভাব তৈরি করতে তাদের প্রশিক্ষণে জেন্ডার ইস্যুকে সংযুক্ত করতে হবে; পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব দূর করতে বিচারব্যবস্থা ও শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে, এবং সাক্ষ্য আইনের পরিবর্তনসহ অন্যান্য আইনের সংশোধন করতে হবে।

প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামিকে খালাস দেয়া হয়। ধর্ষণের ঘটনায় ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে আলামত পাওয়া যায় না উল্লেখ করে রায়ের পর্যবেক্ষণে ৭২ ঘণ্টা পরে ধর্ষণের মামলা না নিতে পুলিশকে ‘পরামর্শ’ দেন এই বিচারক।

image

রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণ মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে ৭২ ঘণ্টা পরে মামলা না নেয়ার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীতে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন -সংবাদ

আরও খবর
ক্ষমতা হারালেন সেই বিচারক
দেড় বছর পর দেড় ঘণ্টার এসএসসি পরীক্ষা শুরু
বিচারকের পর্যবেক্ষণ নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়াবে
অনলাইনে জুয়া : সাইট পরিচালনা রাশিয়া থেকে, লেনদেন বাংলাদেশে
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে ২৪৭টি বাস-মিনিবাসে জরিমানা
দলগুলোর অসহিষ্ণু মনোভাবে গণতন্ত্র অন্তিম অবস্থায় ইসি মাহবুব তালুকদার
এবার মিললো ৭ কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে জালিয়াতি
বাড্ডায় ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা
পানের ভাঁজে ভাঁজে ইয়াবার প্যাকেট

সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১ , ৩০ কার্তিক ১৪২৮ ৯ রবিউস সানি ১৪৪৩

রেইনট্রি মামলা পর্যালোচনা

চরমভাবে জেন্ডার বৈষম্য তৈরি করেছে মহিলা পরিষদ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণ মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে ৭২ ঘণ্টা পরে মামলা না নেয়ার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীতে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন -সংবাদ

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা মন্তব্য করেছেন, রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলের দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার রায় ও রায়ের পর্যবেক্ষণ বিষয়ে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রতিফলন উঠে এসেছে। তারা বলছেন, এই পর্যবেক্ষণ নারীর প্রতি সংঘটিত অপরাধকে আরও ঘনীভূত করবে এবং সুষ্ঠুভাবে বিচার কাজ পরিচালনাকে বাধাগ্রস্ত করবে। এই রায় জেন্ডার সমতা তৈরির পরিবর্তে চরমভাবে জেন্ডার বৈষম্য তৈরি করেছে।

গতকাল রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায়ের পর বিচারিক আদালতের পর্যবেক্ষণের প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্টের সামনের কদম ফোয়ারার পাশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ ও ন্যায় বিচার নিশ্চিতে মানববন্ধন থেকে কয়েকটি দাবিও তুলে ধরা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আলোচিত রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণের মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আমরা অত্যন্ত হতাশ ও উদ্বিগ্ন। ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় এই পর্যবেক্ষণ নারীর প্রতি সংঘটিত অপরাধকে আরও ঘনীভূত করবে, সুষ্ঠুভাবে বিচার কাজ পরিচালনাকে বাধাগ্রস্ত করবে। এর ফলে দেশের দু’জন নাগরিকের প্রতি চরম অবমাননা করা হয়েছে, তাদের মানহানি করা হয়েছে এবং তাদের মানবাধিকার ও লঙ্ঘিত হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, পুরুষতান্ত্রিকতা যে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে, নারীকে যে এখনও অধীন ভাবা হয় এবং আইনেরও যে সীমাবদ্ধতা আছে এই মামলার রায় ও রায়ের পর্যবেক্ষণ একইসঙ্গে এই বিষয়গুলোকেও স্পষ্ট করে তুলেছে।

ধর্ষণকারীর স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেয়ার পরও কেন এ রায় প্রভাবিত হলো? এমন প্রশ্ন তুলে বক্তারা বলেন, রায়টির পর্যবেক্ষণ নাগরিকের ন্যায় বিচারপ্রাপ্তিতে বাধা তৈরি করেছে। লৈঙ্গিক সমতা রক্ষার পরিবর্তে এই রায়ের পর্যবেক্ষণ চরমভাবে জেন্ডার বৈষম্য তৈরি করেছে।

বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাজ্ঞতা ও লৈঙ্গিক সংবেদনশীলতা কতটুকু বিবেচনায় নেয়া হয়, এ প্রশ্নও তোলেন মহিলা পরিষদের নেতারা।

মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে জানেন কি না, যথাযথভাবে ?নিজ দায়িত্ব পালন করছেন কি না, ভিকটিমের প্রতি জেন্ডার সংবেদনশীল মনোভাব রাখেন কি না এসব বিষয় কে মনিটর করবে?

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বিচার বিভাগের এ দুর্বলতা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আইন মন্ত্রণালয় নারীবান্ধব নানা আইন করলেও বাস্তবায়ন নেই। অপরাধের দায় স্বীকারের পর অপরাধীদের অসাধু উপায়ে এবং অন্যায়ভাবে টাকা ও ক্ষমতার অপব্যবহার প্রক্রিয়া থেকে বিচার ব্যবস্থাকে মুক্ত করা না গেলে সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা কখনই সম্ভব নয়।’

আইনের অপব্যাখ্যার দায় সমগ্র বিচার ব্যবস্থাকেই প্রভাবিত করে। বিচারব্যবস্থা যেন সাধারণ মানুষের বিচার পাওয়ার পথকে সংকুচিত না করে প্রসারিত করতে পারে, সে লক্ষ্যে আরও কাজ করতে আইন ও বিচার বিভাগকে আহ্বান জানান তিনি।

ডা. মোসলেম আরও বলেন, ‘বিচারের রায়ই শেষ কথা নয়। দোষ সবসময় প্রমাণ করা যায় না। তা সত্ত্বেও দোষী ব্যক্তি সমাজের কাছে দোষী হিসেবেই চিহ্নিত হবে।’

সংগঠনের অ্যাডভোকেসি ও লবি ডিরেক্টর জনা গোস্বামীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনূস, কেন্দ্রীয় কমিটির লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক মাকসুদা আক্তার লাইলী বক্তব্য দেন। মানবন্ধনে অতিথি বক্তা ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কে রাশেদুল হক। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ এবং ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে মানববন্ধন থেকে মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিতে বলা হয় বিচারব্যবস্থায় জেন্ডার সংবেদনশীলতা নিশ্চিত করতে হবে ও নিরপেক্ষভাবে বিচার করতে হবে; বিচারকদের জেন্ডার সংবেদনশীল মনোভাব তৈরি করতে তাদের প্রশিক্ষণে জেন্ডার ইস্যুকে সংযুক্ত করতে হবে; পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব দূর করতে বিচারব্যবস্থা ও শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে, এবং সাক্ষ্য আইনের পরিবর্তনসহ অন্যান্য আইনের সংশোধন করতে হবে।

প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামিকে খালাস দেয়া হয়। ধর্ষণের ঘটনায় ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে আলামত পাওয়া যায় না উল্লেখ করে রায়ের পর্যবেক্ষণে ৭২ ঘণ্টা পরে ধর্ষণের মামলা না নিতে পুলিশকে ‘পরামর্শ’ দেন এই বিচারক।