অনলাইনে জুয়া : সাইট পরিচালনা রাশিয়া থেকে, লেনদেন বাংলাদেশে

এক জেলাতেই ৫ কোটি টাকার লেনদেন

অনলাইন বেটিং জুয়ার সাইট পরিচালনা হতো রাশিয়া থেকে আর বাংলাদেশে হতো লেনদেন। ওয়ানএক্সবেটবিডিডটকম নামের এ বেটিং জুয়ার সাইটে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যার অধিকাংশই অবৈধভাবে দেশের সংশ্লিষ্ট দেশে পাচার হয়েছে। অনলাইন বেটিং এর মাধ্যমে জুয়া খেলা চক্রের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তথ্য বিভাগ সিআইডি।

গত শনিবার সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কক্সবাজার থেকে ওয়ান এক্সবেট ডট কম নামের জুয়ার বেটিং সাইটে যুক্ত থাকার অভিযোগে নয় ‘জুয়াড়িকে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- স্বপন মাহমুদ (২৭), নাজমুল হক (২১), আসলাম উদ্দিন (৩৫), মুরশিদ আলম লিপু (২৫), শিশির মোল্লা (২১), মাহফুজুর রহমান নবাব (২৬), নবাবের স্ত্রী মনিরা আক্তার মিলি (২৪), মো. সাদিক (২২) এবং মাসুম রানা (২০)। এরা অনলাইন বেটিং প্লাটফর্ম ওয়ানএক্সবেট (১ীনবঃনফ.পড়স) পরিচালনা করতো। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১৬টি মোবাইল ফোনসেট, তিনটি মোবাইল সিম, একটি ল্যাপটপ, একটি প্রাইভেটকার ও নগদ চার লাখ ১০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। গতকাল ১৪ নভেম্বর রোববার দুপুরে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

সিআইডি বলছে, টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ক্রিকেট ও ফুটবলের আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ম্যাচ চলে মাঠে। এসব ম্যাচে অংশ নেয়া দলগুলোর কোনটি জয়ী হয়ে তার বাজি ধরা হয় অনলাইন প্লাটফর্মে। গ্রেপ্তার চক্র খেলায় হার- জিতের বাজির নামে অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। চক্রটি প্রতিদিন প্রতি বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার তথ্য মিলিছে। বেটিং সাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে একাউন্ট তৈরি করে এসব টাকা নেয়া হতো বাজি ধরা ব্যক্তিদের কাছ থেকে।

অতি: ডিআইজি কামরুল আহসান জানিয়েছেন, চলমান টি-২০ বিশ্বকাপ, আইপিএল, বিগব্যাশ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচগুলোতে সবচেয়ে বেশি অনলাইনে জুয়ার আসর চলে। জুয়া খেলার জন্য একজন জুয়াড়ি মোবাইল নম্বর বা ই-মেইলের মাধ্যমে এই বেটিং সাইট বা অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খোলেন। ওই অ্যাকাউন্টের বিপরীতে একটি ই-ওয়ালেট তৈরি করে ব্যালেন্স যোগ করা হয়। জুয়ার নামে এভাবে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন করে আসছিল গ্রেপ্তারকৃতরা।

সিআইডি বলছে, ‘অনলাইন জুয়ার নামে দেশের একটি জেলাতেই দিনে অন্তত তিন থেকে পাঁচ কোটি টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন তারা’। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৫০ জন মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের তথ্য পাওয়া গেছে, যে নম্বরগুলো থেকে অনলাইন জুয়ার টাকা লেনদেন হচ্ছে। এই নম্বরগুলোর মধ্যে অন্তত ১৫টিতে দিনে ১০ লাখের ওপরে টাকা লেনদেন করছে জুয়াড়ি চক্র। পরে এই টাকা হুন্ডি বা অবৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে পাচার হচ্ছে বলে ধারণা সিআইডির।

অতিঃ ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, সিআইডির নিয়মিত মনিটরিংয়ে অনলাইন বেটিং সাইটটি নজরে আসে, যেখানে অনলাইনে বেটিং করা হয় বা জুয়া খেলা হয়। এই সাইটটি মূলত রাশিয়া থেকে পরিচালিত হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কামরুল আহসান বলেন, একটি জেলায় ৫০ জন এজেন্টের তথ্য পাওয়া গেছে। সারাদেশের এ সাইটের কত জুয়াড়ি আছে সে চিত্র এখনও আমরা পাইনি। এ নিয়ে কাজ চলছে। দিনে একটি বেটিং সাইটে এক থেকে দেড় লাখ ব্যক্তি জুয়ায় অংশ নেন।

তিনি বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট সিমসহ স্বপন মাহমুদ ও মুরশিদ আলম লিপুকে মেহেরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বপনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি এজেন্ট সিমটি গ্রেপ্তার আসলাম উদ্দিনের কাছ থেকে সংগ্রহ করে জুয়ার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন। এ জন্য আসলামকে তিনি প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা দিতেন। গ্রেপ্তার মুরশিদ আলম লিপু সিআইডিকে জানান, তার বোন জামাইয়ের দোকানের একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট সিমটি সংগ্রহ করে জুয়ার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন। মেহেরপুরে ওই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কয়েকজন এসআর ও সেখানকার ডিপো ম্যানেজার তাদের এই কাজের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ।

কামরুল আহসান বলেন, মাহফুজুর রহমান নবাব জুয়ার জন্য একটি এজেন্ট সিম ব্যবহার করেন। ওই এলাকায় এ কাজ তিনি শুরু করলেও পরবর্তীতে তার মাধ্যমে আরও বহু জুয়ার এজেন্ট যুক্ত হন। গ্রেপ্তার সাদিক তার সহায়তাকারী। তার এজেন্ট নম্বরে যে টাকা আসতো তা জুয়ার ওয়েবসাইটে ডিপোজিট এবং টাকা তোলার কাজটি সাদিকই করতেন। গ্রেপ্তার মাসুম রানা তার মোবাইল নম্বর দিয়ে টেলিগ্রাম আইডি খুলে জুয়ার লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এর বিনিময়ে তিনি এজেন্টের কাছ থেকে কমিশন পেতেন। জুয়ার কাজে জড়িত থাকায় নবাব বাসা থেকে বের হতে পারতেন না বা কোথাও যেতে পারতেন না। এই কারণে নবাবের স্ত্রী মিলি টাকা সংগ্রহ, ব্যাংকে টাকা জমাসহ বাইরের সব কাজ করতেন।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানান, জুয়ার লেনদেনের কাজে ব্যবহৃত সবগুলো এজেন্ট সিমই সেখানকার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এসআরের মাধ্যমে সম্পন্ন হতো। অনেক সময় জুয়ার এজেন্ট ও এসআরদের মধ্যে বিটুবির মাধ্যমে লেনদেন হলেও তাদের মধ্যে সরাসরি কোন লেনদেন হতো না। সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তার স্বপনের সিম থেকে প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আট লাখ টাকা, লিপুর সিম থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ লাখ টাকা ও নবাবের সিম থেকে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা লেনদেন হওয়ার তথ্য পেয়েছে সিআইডি।

সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১ , ৩০ কার্তিক ১৪২৮ ৯ রবিউস সানি ১৪৪৩

অনলাইনে জুয়া : সাইট পরিচালনা রাশিয়া থেকে, লেনদেন বাংলাদেশে

এক জেলাতেই ৫ কোটি টাকার লেনদেন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

অনলাইন বেটিং জুয়ার সাইট পরিচালনা হতো রাশিয়া থেকে আর বাংলাদেশে হতো লেনদেন। ওয়ানএক্সবেটবিডিডটকম নামের এ বেটিং জুয়ার সাইটে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যার অধিকাংশই অবৈধভাবে দেশের সংশ্লিষ্ট দেশে পাচার হয়েছে। অনলাইন বেটিং এর মাধ্যমে জুয়া খেলা চক্রের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তথ্য বিভাগ সিআইডি।

গত শনিবার সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কক্সবাজার থেকে ওয়ান এক্সবেট ডট কম নামের জুয়ার বেটিং সাইটে যুক্ত থাকার অভিযোগে নয় ‘জুয়াড়িকে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- স্বপন মাহমুদ (২৭), নাজমুল হক (২১), আসলাম উদ্দিন (৩৫), মুরশিদ আলম লিপু (২৫), শিশির মোল্লা (২১), মাহফুজুর রহমান নবাব (২৬), নবাবের স্ত্রী মনিরা আক্তার মিলি (২৪), মো. সাদিক (২২) এবং মাসুম রানা (২০)। এরা অনলাইন বেটিং প্লাটফর্ম ওয়ানএক্সবেট (১ীনবঃনফ.পড়স) পরিচালনা করতো। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১৬টি মোবাইল ফোনসেট, তিনটি মোবাইল সিম, একটি ল্যাপটপ, একটি প্রাইভেটকার ও নগদ চার লাখ ১০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। গতকাল ১৪ নভেম্বর রোববার দুপুরে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

সিআইডি বলছে, টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ক্রিকেট ও ফুটবলের আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ম্যাচ চলে মাঠে। এসব ম্যাচে অংশ নেয়া দলগুলোর কোনটি জয়ী হয়ে তার বাজি ধরা হয় অনলাইন প্লাটফর্মে। গ্রেপ্তার চক্র খেলায় হার- জিতের বাজির নামে অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। চক্রটি প্রতিদিন প্রতি বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার তথ্য মিলিছে। বেটিং সাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে একাউন্ট তৈরি করে এসব টাকা নেয়া হতো বাজি ধরা ব্যক্তিদের কাছ থেকে।

অতি: ডিআইজি কামরুল আহসান জানিয়েছেন, চলমান টি-২০ বিশ্বকাপ, আইপিএল, বিগব্যাশ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচগুলোতে সবচেয়ে বেশি অনলাইনে জুয়ার আসর চলে। জুয়া খেলার জন্য একজন জুয়াড়ি মোবাইল নম্বর বা ই-মেইলের মাধ্যমে এই বেটিং সাইট বা অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খোলেন। ওই অ্যাকাউন্টের বিপরীতে একটি ই-ওয়ালেট তৈরি করে ব্যালেন্স যোগ করা হয়। জুয়ার নামে এভাবে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন করে আসছিল গ্রেপ্তারকৃতরা।

সিআইডি বলছে, ‘অনলাইন জুয়ার নামে দেশের একটি জেলাতেই দিনে অন্তত তিন থেকে পাঁচ কোটি টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন তারা’। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৫০ জন মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের তথ্য পাওয়া গেছে, যে নম্বরগুলো থেকে অনলাইন জুয়ার টাকা লেনদেন হচ্ছে। এই নম্বরগুলোর মধ্যে অন্তত ১৫টিতে দিনে ১০ লাখের ওপরে টাকা লেনদেন করছে জুয়াড়ি চক্র। পরে এই টাকা হুন্ডি বা অবৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে পাচার হচ্ছে বলে ধারণা সিআইডির।

অতিঃ ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, সিআইডির নিয়মিত মনিটরিংয়ে অনলাইন বেটিং সাইটটি নজরে আসে, যেখানে অনলাইনে বেটিং করা হয় বা জুয়া খেলা হয়। এই সাইটটি মূলত রাশিয়া থেকে পরিচালিত হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কামরুল আহসান বলেন, একটি জেলায় ৫০ জন এজেন্টের তথ্য পাওয়া গেছে। সারাদেশের এ সাইটের কত জুয়াড়ি আছে সে চিত্র এখনও আমরা পাইনি। এ নিয়ে কাজ চলছে। দিনে একটি বেটিং সাইটে এক থেকে দেড় লাখ ব্যক্তি জুয়ায় অংশ নেন।

তিনি বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট সিমসহ স্বপন মাহমুদ ও মুরশিদ আলম লিপুকে মেহেরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বপনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি এজেন্ট সিমটি গ্রেপ্তার আসলাম উদ্দিনের কাছ থেকে সংগ্রহ করে জুয়ার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন। এ জন্য আসলামকে তিনি প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা দিতেন। গ্রেপ্তার মুরশিদ আলম লিপু সিআইডিকে জানান, তার বোন জামাইয়ের দোকানের একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট সিমটি সংগ্রহ করে জুয়ার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন। মেহেরপুরে ওই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কয়েকজন এসআর ও সেখানকার ডিপো ম্যানেজার তাদের এই কাজের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ।

কামরুল আহসান বলেন, মাহফুজুর রহমান নবাব জুয়ার জন্য একটি এজেন্ট সিম ব্যবহার করেন। ওই এলাকায় এ কাজ তিনি শুরু করলেও পরবর্তীতে তার মাধ্যমে আরও বহু জুয়ার এজেন্ট যুক্ত হন। গ্রেপ্তার সাদিক তার সহায়তাকারী। তার এজেন্ট নম্বরে যে টাকা আসতো তা জুয়ার ওয়েবসাইটে ডিপোজিট এবং টাকা তোলার কাজটি সাদিকই করতেন। গ্রেপ্তার মাসুম রানা তার মোবাইল নম্বর দিয়ে টেলিগ্রাম আইডি খুলে জুয়ার লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এর বিনিময়ে তিনি এজেন্টের কাছ থেকে কমিশন পেতেন। জুয়ার কাজে জড়িত থাকায় নবাব বাসা থেকে বের হতে পারতেন না বা কোথাও যেতে পারতেন না। এই কারণে নবাবের স্ত্রী মিলি টাকা সংগ্রহ, ব্যাংকে টাকা জমাসহ বাইরের সব কাজ করতেন।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানান, জুয়ার লেনদেনের কাজে ব্যবহৃত সবগুলো এজেন্ট সিমই সেখানকার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এসআরের মাধ্যমে সম্পন্ন হতো। অনেক সময় জুয়ার এজেন্ট ও এসআরদের মধ্যে বিটুবির মাধ্যমে লেনদেন হলেও তাদের মধ্যে সরাসরি কোন লেনদেন হতো না। সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তার স্বপনের সিম থেকে প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আট লাখ টাকা, লিপুর সিম থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ লাখ টাকা ও নবাবের সিম থেকে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা লেনদেন হওয়ার তথ্য পেয়েছে সিআইডি।