গাইবান্ধার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত মেম্বার আবদুর রউফকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আরিফ মিয়াকে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার পাঁচপীর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। হত্যাকা-ে ব্যবহৃত কুড়াল ও বটি উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে রংপুর নগরীর স্টেশন আলমনগর এলাকায় র্যাব ১৩ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান র্যাব ১৩ প্রধান কমান্ডার রেজা আহাম্মেদ ফেরদৌস।
র্যাব জানায়, গত ১১ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলার লক্ষ্মীপুর ইউপি নির্বাচনে মেম্বার নির্বাচিত হন আবদুর রউফ। পরের দিন ১২ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাসায় আসার পথে আসামি আরিফের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে কুড়াল ও বটি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে খুনিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
র্যাব ঘটনার পর থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ নভেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার পাঁচপীর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও মূল কিলার। আরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তার নেতৃত্বেই সন্ত্রাসীরা ইউপি মেম্বার আবদুর রউফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেছে। আসামি আরিফ মিয়ার বাবার নাম ছাইপার রহমান, বাড়ি হাট লক্ষ্মীপুর, গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা। র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে কিলিং মিশনে অংশ নেয়াসহ হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার অভিযান চলছে।
যেভাবে ইউপি সদস্য আবদুর রউফকে হত্যা করা হয়
র্যাব জানায়, নিহত ইউপি মেম্বার আবদুর রউফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আরিফ মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে জানায়, গত ১২ নভেম্বর রাত অনুমান সাড়ে দশটার দিকে আবদুর রউফ তার এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে রাস্তার মাঝে নির্মাণাধীন ব্রিজে ওঠার সময় আবদুর রউফ মোটরসাইকেল থেকে নেমে যান এবং তার বন্ধু মোটরসাইকেল চালিয়ে ব্রিজ পার হয়।
সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আরিফের নেতৃত্বে আবদুর রউফের পথ রোধ করা হয়। এরপর অতর্কিত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপর্যুপরি মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। র্যাব জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ইউপি সদস্য রউফকে হত্যা করা হয়েছে বলে ঘাতক আরিফ স্বীকার করেছে।
সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১ , ৩০ কার্তিক ১৪২৮ ৯ রবিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর
গাইবান্ধার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত মেম্বার আবদুর রউফকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আরিফ মিয়াকে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার পাঁচপীর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। হত্যাকা-ে ব্যবহৃত কুড়াল ও বটি উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে রংপুর নগরীর স্টেশন আলমনগর এলাকায় র্যাব ১৩ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান র্যাব ১৩ প্রধান কমান্ডার রেজা আহাম্মেদ ফেরদৌস।
র্যাব জানায়, গত ১১ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলার লক্ষ্মীপুর ইউপি নির্বাচনে মেম্বার নির্বাচিত হন আবদুর রউফ। পরের দিন ১২ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাসায় আসার পথে আসামি আরিফের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে কুড়াল ও বটি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে খুনিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
র্যাব ঘটনার পর থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ নভেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার পাঁচপীর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও মূল কিলার। আরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তার নেতৃত্বেই সন্ত্রাসীরা ইউপি মেম্বার আবদুর রউফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেছে। আসামি আরিফ মিয়ার বাবার নাম ছাইপার রহমান, বাড়ি হাট লক্ষ্মীপুর, গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা। র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে কিলিং মিশনে অংশ নেয়াসহ হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার অভিযান চলছে।
যেভাবে ইউপি সদস্য আবদুর রউফকে হত্যা করা হয়
র্যাব জানায়, নিহত ইউপি মেম্বার আবদুর রউফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আরিফ মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে জানায়, গত ১২ নভেম্বর রাত অনুমান সাড়ে দশটার দিকে আবদুর রউফ তার এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে রাস্তার মাঝে নির্মাণাধীন ব্রিজে ওঠার সময় আবদুর রউফ মোটরসাইকেল থেকে নেমে যান এবং তার বন্ধু মোটরসাইকেল চালিয়ে ব্রিজ পার হয়।
সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আরিফের নেতৃত্বে আবদুর রউফের পথ রোধ করা হয়। এরপর অতর্কিত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপর্যুপরি মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। র্যাব জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ইউপি সদস্য রউফকে হত্যা করা হয়েছে বলে ঘাতক আরিফ স্বীকার করেছে।