সিডর দিবস আজ

ভয়াবহ প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলার কালো রাত

আজ ১৫ নভেম্বর ইতিহাসের ভয়াবহ প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলা সিডরের কালো রাত্রি। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় পৌনে ৩শ’ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় প্লাবন উপকূলের ১০টি জেলার বিস্তীর্ণ জনপদকে ল-ভ- করে দিয়েছিল। প্রাক প্রস্তুতি ও আগাম সতর্কতা থাকায় ওই ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা থেকে প্রাণহানীর সংখ্যা হ্রাস করা সম্ভব হলেও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।

সরকারি হিসাবে যা ছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। অনেক সাবধানতার পরেও সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৩ সহস্রাধিক। আরও সহস্রাধিক নিখোঁজের কথা জানিয়েছিল প্রশাসন। তবে ওইসব নিখোঁজদের বেশিরভাগই চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

সেই রাতের ওই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে দেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের ৩০টি জেলায় কম-বেশি আঘাত হানলেও প্রায় ২শ’ উপজেলার সাড়ে ১৭শ’ ইউনিয়ন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৩ হাজার বলা হলেও বাস্তবে তা ছিল প্রায় ২০ লাখেরও বেশি। আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাও ছিল প্রায় ১ কোটি। সরকারিভাবে ৩ হাজার ১৯৯ জনের মৃত্যু ও ১ হাজার ৭২৬ জনের নিখোঁজের কথা বলা হলেও এ সংখ্যাও আরও অনেক বেশি ছিল বলে সে সময় বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা দাবি করেছিল।

প্রকৃতির ওই তা-বে দক্ষিণ উপকূলের বিশাল জনপদের প্রায় ৪ লাখ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও আরও প্রায় ১০ লাখ আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। একই সঙ্গে প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমির আমন ধান সম্পূর্ণ ও আরও ৫ লাখ হেক্টরের আংশিক ক্ষতি হয়। প্রায় ৫০ লাখ গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগীর মৃত্যু ঘটে সিডরের রাতে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ২০০৭ সনের ১১ নভেম্বর দুপুর ১২টায় দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ২শ’ কিলোমিটার ভাটিতে একটি লঘুচাপ শনাক্ত করে। যা ক্রমশ উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে আন্দামান নিকোবরকে ডানে রেখে ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় সোজা উত্তরে এগুচ্ছিল। এরপর লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে ক্রমশ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ উপকূলের ৫শ’ কিলোমিটার দক্ষিণ দিয়ে ক্রমশ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবর্তী রায়মঙ্গল-হাড়িয়াভাঙ্গা সোজা অগ্রসর হয়। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয় সিডর।

১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড় সিডর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের মাত্র ১শ’ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসে। ঝড়টি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় সুন্দরবন এলাকা অতিক্রম করবে বলে মনে করা হলেও বিকেলেই আকস্মিকভাবে তার গতিপথ উত্তরমুখী থেকে কিছুটা উত্তর-পূর্বমুখী হতে শুরু করে।

সন্ধ্যা ৬টার পরেই ঝড়টি উত্তর-পূর্বমুখী হয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ সীমান্ত থেকে প্রায় ৩শ’ কিলোমিটার পূর্বে বরগুনা এবং বাগেরহাটের মধ্যবর্তী হরিনঘাটা-বুড়িশ্বর ও বিশখালী নদীর বঙ্গোপসাগর মোহনা দিয়ে প্রায় পৌনে ৩শ’ কিলোমিটার বেগে মূল ভূখ-ে আছড়ে পড়ে।

ঝড়টির ব্যাস দেড়শ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তার দৈর্ঘ্য ছিল কয়েকগুণ লম্বা। সাগরাড়ের হরিণঘাটা-পাথরঘাটা থেকে প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার দূরে বরিশাল পর্যন্ত একই সঙ্গে প্রায় সমান গতিবেগে সিডরের তা-ব অব্যাহত ছিল। এমনকি খোদ বরিশাল মহানগরীতেও ঘূর্ণিঝড় সিডর প্রায় ২২৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত পশ্চিমে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল থেকে বরিশাল হয়ে মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও গোপালগঞ্জ পর্যন্ত সিডরের তা-ব অব্যাহত ছিল।

প্রায় পৌনে ৩শ’ কিলোমিটার বেগের ঝড়ের সঙ্গে প্রায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সে রাতে উপকূলের বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরিশাল, ঝালকাঠী ও পিরোজপুরের বিশাল জনপদসহ ফসলি জমিকে ল-ভ- করে দিয়েছিল।

তবে উপকূলীয় এলাকায় সেদিন সিডরের তা-বে ক্ষয়ক্ষতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারত যদি সুন্দরবনসহ বিশাল উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী ও পরিকল্পিত বনায়ন না থাকত। সেই রাতে প্রকৃতির ওই তা-ব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিহত করেছিল প্রকৃতিই। কাল রাত্রির ওই তা-ব সামাল দিতে সেই রাতে উপকূলীয় বনায়ন কর্মসূচি ও সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের লাখ লাখ গাছ ছাড়াও সাধারণ মানুষের প্রায় এক কোটি গাছ মাটিতে মিশে যায়।

ঝড়ে প্রায় পৌনে ৭শ’ কিলোমিটার আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়কসহ পল্ল­ী যোগাযোগ অবকাঠামো সম্পূর্ণ এবং প্রায় ৯০ হাজার কিলোমিটার সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিধ্বস্ত এলাকার প্রায় ১৮শ’ সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও প্রায় সাড়ে ৬ হাজার আংশিক ক্ষতির কবলে পড়ে। বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের ১ হাজার ৬৫৪টি সেতু এবং কালভার্ট সম্পূর্ণ ও প্রায় ৯শ’টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

ঝড়টির ব্যাস দেড়শ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তার দৈর্ঘ্য ছিল কয়েকগুণ লম্বা। সাগরাড়ের হরিণঘাটা-পাথরঘাটা থেকে প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার দূরে বরিশাল পর্যন্ত একই সঙ্গে প্রায় সমান গতিবেগে সিডরের তা-ব অব্যাহত ছিল। এমনকি খোদ বরিশাল মহানগরীতেও ঘূর্ণিঝড় সিডর প্রায় ২২৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত পশ্চিমে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল থেকে বরিশাল হয়ে মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও গোপালগঞ্জ পর্যন্ত সিডরের তা-ব অব্যাহত ছিল।

প্রায় পৌনে ৩শ’ কিলোমিটার বেগের ঝড়ের সঙ্গে প্রায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সে রাতে উপকূলের বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরিশাল, ঝালকাঠী ও পিরোজপুরের বিশাল জনপদসহ ফসলি জমিকে ল-ভ- করে দিয়েছিল।

তবে উপকূলীয় এলাকায় সেদিন সিডরের তা-বে ক্ষয়ক্ষতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারত যদি সুন্দরবনসহ বিশাল উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী ও পরিকল্পিত বনায়ন না থাকত। সেই রাতে প্রকৃতির ওই তা-ব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিহত করেছিল প্রকৃতিই। কাল রাত্রির ওই তা-ব সামাল দিতে সেই রাতে উপকূলীয় বনায়ন কর্মসূচি ও সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের লাখ লাখ গাছ ছাড়াও সাধারণ মানুষের প্রায় এক কোটি গাছ মাটিতে মিশে যায়।

ঝড়ে প্রায় পৌনে ৭শ’ কিলোমিটার আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়কসহ পল্ল­ী যোগাযোগ অবকাঠামো সম্পূর্ণ এবং প্রায় ৯০ হাজার কিলোমিটার সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিধ্বস্ত এলাকার প্রায় ১৮শ’ সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও প্রায় সাড়ে ৬ হাজার আংশিক ক্ষতির কবলে পড়ে। বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের ১ হাজার ৬৫৪টি সেতু এবং কালভার্ট সম্পূর্ণ ও প্রায় ৯শ’টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

image
আরও খবর
‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি’
দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতের রাষ্ট্রপতি আসছেন ১৬ ডিসেম্বর
সিসিইউতে খালেদা জিয়া
ভারত মহাসাগরে কারও একক আধিপত্য চায় না বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বুয়েটের আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর
প্রশ্নফাঁসের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার
ত্রিপুরায় পুর নির্বাচন নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল বাগযুদ্ধ
কৃষি শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা আটকে দেয়ার অপচেষ্টা অব্যাহত
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিই জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী
গাইবান্ধায় নবনির্বাচিত ইউপি মেম্বার হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে যুবলীগ নেতা হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১ , ৩০ কার্তিক ১৪২৮ ৯ রবিউস সানি ১৪৪৩

সিডর দিবস আজ

ভয়াবহ প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলার কালো রাত

মানবেন্দ্র বটব্যাল, বরিশাল

image

আজ ১৫ নভেম্বর ইতিহাসের ভয়াবহ প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলা সিডরের কালো রাত্রি। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় পৌনে ৩শ’ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় প্লাবন উপকূলের ১০টি জেলার বিস্তীর্ণ জনপদকে ল-ভ- করে দিয়েছিল। প্রাক প্রস্তুতি ও আগাম সতর্কতা থাকায় ওই ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা থেকে প্রাণহানীর সংখ্যা হ্রাস করা সম্ভব হলেও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।

সরকারি হিসাবে যা ছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। অনেক সাবধানতার পরেও সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৩ সহস্রাধিক। আরও সহস্রাধিক নিখোঁজের কথা জানিয়েছিল প্রশাসন। তবে ওইসব নিখোঁজদের বেশিরভাগই চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

সেই রাতের ওই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে দেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের ৩০টি জেলায় কম-বেশি আঘাত হানলেও প্রায় ২শ’ উপজেলার সাড়ে ১৭শ’ ইউনিয়ন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৩ হাজার বলা হলেও বাস্তবে তা ছিল প্রায় ২০ লাখেরও বেশি। আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাও ছিল প্রায় ১ কোটি। সরকারিভাবে ৩ হাজার ১৯৯ জনের মৃত্যু ও ১ হাজার ৭২৬ জনের নিখোঁজের কথা বলা হলেও এ সংখ্যাও আরও অনেক বেশি ছিল বলে সে সময় বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা দাবি করেছিল।

প্রকৃতির ওই তা-বে দক্ষিণ উপকূলের বিশাল জনপদের প্রায় ৪ লাখ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও আরও প্রায় ১০ লাখ আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। একই সঙ্গে প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমির আমন ধান সম্পূর্ণ ও আরও ৫ লাখ হেক্টরের আংশিক ক্ষতি হয়। প্রায় ৫০ লাখ গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগীর মৃত্যু ঘটে সিডরের রাতে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ২০০৭ সনের ১১ নভেম্বর দুপুর ১২টায় দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ২শ’ কিলোমিটার ভাটিতে একটি লঘুচাপ শনাক্ত করে। যা ক্রমশ উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে আন্দামান নিকোবরকে ডানে রেখে ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় সোজা উত্তরে এগুচ্ছিল। এরপর লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে ক্রমশ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ উপকূলের ৫শ’ কিলোমিটার দক্ষিণ দিয়ে ক্রমশ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবর্তী রায়মঙ্গল-হাড়িয়াভাঙ্গা সোজা অগ্রসর হয়। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয় সিডর।

১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড় সিডর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের মাত্র ১শ’ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসে। ঝড়টি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় সুন্দরবন এলাকা অতিক্রম করবে বলে মনে করা হলেও বিকেলেই আকস্মিকভাবে তার গতিপথ উত্তরমুখী থেকে কিছুটা উত্তর-পূর্বমুখী হতে শুরু করে।

সন্ধ্যা ৬টার পরেই ঝড়টি উত্তর-পূর্বমুখী হয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ সীমান্ত থেকে প্রায় ৩শ’ কিলোমিটার পূর্বে বরগুনা এবং বাগেরহাটের মধ্যবর্তী হরিনঘাটা-বুড়িশ্বর ও বিশখালী নদীর বঙ্গোপসাগর মোহনা দিয়ে প্রায় পৌনে ৩শ’ কিলোমিটার বেগে মূল ভূখ-ে আছড়ে পড়ে।

ঝড়টির ব্যাস দেড়শ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তার দৈর্ঘ্য ছিল কয়েকগুণ লম্বা। সাগরাড়ের হরিণঘাটা-পাথরঘাটা থেকে প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার দূরে বরিশাল পর্যন্ত একই সঙ্গে প্রায় সমান গতিবেগে সিডরের তা-ব অব্যাহত ছিল। এমনকি খোদ বরিশাল মহানগরীতেও ঘূর্ণিঝড় সিডর প্রায় ২২৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত পশ্চিমে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল থেকে বরিশাল হয়ে মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও গোপালগঞ্জ পর্যন্ত সিডরের তা-ব অব্যাহত ছিল।

প্রায় পৌনে ৩শ’ কিলোমিটার বেগের ঝড়ের সঙ্গে প্রায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সে রাতে উপকূলের বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরিশাল, ঝালকাঠী ও পিরোজপুরের বিশাল জনপদসহ ফসলি জমিকে ল-ভ- করে দিয়েছিল।

তবে উপকূলীয় এলাকায় সেদিন সিডরের তা-বে ক্ষয়ক্ষতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারত যদি সুন্দরবনসহ বিশাল উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী ও পরিকল্পিত বনায়ন না থাকত। সেই রাতে প্রকৃতির ওই তা-ব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিহত করেছিল প্রকৃতিই। কাল রাত্রির ওই তা-ব সামাল দিতে সেই রাতে উপকূলীয় বনায়ন কর্মসূচি ও সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের লাখ লাখ গাছ ছাড়াও সাধারণ মানুষের প্রায় এক কোটি গাছ মাটিতে মিশে যায়।

ঝড়ে প্রায় পৌনে ৭শ’ কিলোমিটার আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়কসহ পল্ল­ী যোগাযোগ অবকাঠামো সম্পূর্ণ এবং প্রায় ৯০ হাজার কিলোমিটার সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিধ্বস্ত এলাকার প্রায় ১৮শ’ সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও প্রায় সাড়ে ৬ হাজার আংশিক ক্ষতির কবলে পড়ে। বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের ১ হাজার ৬৫৪টি সেতু এবং কালভার্ট সম্পূর্ণ ও প্রায় ৯শ’টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

ঝড়টির ব্যাস দেড়শ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তার দৈর্ঘ্য ছিল কয়েকগুণ লম্বা। সাগরাড়ের হরিণঘাটা-পাথরঘাটা থেকে প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার দূরে বরিশাল পর্যন্ত একই সঙ্গে প্রায় সমান গতিবেগে সিডরের তা-ব অব্যাহত ছিল। এমনকি খোদ বরিশাল মহানগরীতেও ঘূর্ণিঝড় সিডর প্রায় ২২৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত পশ্চিমে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল থেকে বরিশাল হয়ে মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও গোপালগঞ্জ পর্যন্ত সিডরের তা-ব অব্যাহত ছিল।

প্রায় পৌনে ৩শ’ কিলোমিটার বেগের ঝড়ের সঙ্গে প্রায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সে রাতে উপকূলের বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরিশাল, ঝালকাঠী ও পিরোজপুরের বিশাল জনপদসহ ফসলি জমিকে ল-ভ- করে দিয়েছিল।

তবে উপকূলীয় এলাকায় সেদিন সিডরের তা-বে ক্ষয়ক্ষতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারত যদি সুন্দরবনসহ বিশাল উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী ও পরিকল্পিত বনায়ন না থাকত। সেই রাতে প্রকৃতির ওই তা-ব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিহত করেছিল প্রকৃতিই। কাল রাত্রির ওই তা-ব সামাল দিতে সেই রাতে উপকূলীয় বনায়ন কর্মসূচি ও সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের লাখ লাখ গাছ ছাড়াও সাধারণ মানুষের প্রায় এক কোটি গাছ মাটিতে মিশে যায়।

ঝড়ে প্রায় পৌনে ৭শ’ কিলোমিটার আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়কসহ পল্ল­ী যোগাযোগ অবকাঠামো সম্পূর্ণ এবং প্রায় ৯০ হাজার কিলোমিটার সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিধ্বস্ত এলাকার প্রায় ১৮শ’ সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও প্রায় সাড়ে ৬ হাজার আংশিক ক্ষতির কবলে পড়ে। বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের ১ হাজার ৬৫৪টি সেতু এবং কালভার্ট সম্পূর্ণ ও প্রায় ৯শ’টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।