করোনাকালে একজনও না খেয়ে মারা যায়নি খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশে না খেয়ে কেউ মারা যাবে না। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, করোনার সংকটকালে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ১৪ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সিএসডি ক্যাম্পাসে স্টিলের কাঠামোর আধুনিক খাদ্য গুদাম (সংরক্ষণাগার) নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এদেশকে গড়তে চেয়েছিলেন। সপরিবারে তাকে হত্যা করে সেই স্বপ্নকে হত্যা করতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা। তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এই দেশের হাল ধরবে সেটা তারা চিন্তাও করতে পারে নাই। তলাবিহীন ঝুলি থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তিনি কাজ করছেন।

ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়তে খাদ্যের মজুদ বাড়াতে হবে মন্তব্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, এই মজুদ বাড়ানোর জন্য আধুনিক গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। এই উদ্যোগ শুধুমাত্র জাতীয় মজুদ বৃদ্ধি নয় কৃষকের ধানের ন্যায্য মূল্য ও ভোক্তাদের চাল বিতরণ এবং দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্যও।

জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমান, র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

খাদ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৮ টাকা। ইউএসএ ও বাংলাদেশের পৃথক দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজের দায়িত্ব পেয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ দুই বছর। দেশে স্টিলের কাঠামোর এই ধরনের তিনটি খাদ্যগুদাম নির্মাণ কাজ চলছে। নারায়ণগঞ্জে চতুর্থ খাদ্য গুদামের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১ , ৩০ কার্তিক ১৪২৮ ৯ রবিউস সানি ১৪৪৩

করোনাকালে একজনও না খেয়ে মারা যায়নি খাদ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশে না খেয়ে কেউ মারা যাবে না। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, করোনার সংকটকালে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ১৪ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সিএসডি ক্যাম্পাসে স্টিলের কাঠামোর আধুনিক খাদ্য গুদাম (সংরক্ষণাগার) নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এদেশকে গড়তে চেয়েছিলেন। সপরিবারে তাকে হত্যা করে সেই স্বপ্নকে হত্যা করতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা। তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এই দেশের হাল ধরবে সেটা তারা চিন্তাও করতে পারে নাই। তলাবিহীন ঝুলি থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তিনি কাজ করছেন।

ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়তে খাদ্যের মজুদ বাড়াতে হবে মন্তব্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, এই মজুদ বাড়ানোর জন্য আধুনিক গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। এই উদ্যোগ শুধুমাত্র জাতীয় মজুদ বৃদ্ধি নয় কৃষকের ধানের ন্যায্য মূল্য ও ভোক্তাদের চাল বিতরণ এবং দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্যও।

জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমান, র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

খাদ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৮ টাকা। ইউএসএ ও বাংলাদেশের পৃথক দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজের দায়িত্ব পেয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ দুই বছর। দেশে স্টিলের কাঠামোর এই ধরনের তিনটি খাদ্যগুদাম নির্মাণ কাজ চলছে। নারায়ণগঞ্জে চতুর্থ খাদ্য গুদামের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।