‘পাক ক্রিকেটকে সেরা পর্যায়ে সেবা করতে চাই’

তুমুল আলোচনা-সমালোচনায়, কাঠগড়ায় তোলার পর্বের পালা চলার মধ্যেই অবশেষে শোনা গেল হাসান আলির কথা। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ নিতে না পারা পাকিস্তানি এই পেসার বললেন, সবচেয়ে বেশি হতাশ তিনিই। শোনালেন তিনি বাজে সময় পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়।

টি-২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়ায় ১৯তম ওভারে ক্যাচটি ছাড়েন হাসান। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে স্লগ করেন ম্যাথু ওয়েড। মিড উইকেটে দৌঁড়ে বলের নিচে যাওয়ার চেষ্টায় একটু বেশি এগিয়ে যান হাসান। বল তার হাতে লেগে পড়ে যায় মাঠে।

জীবন পাওয়ার পরের তিন বলেই টানা তিনটি দুর্দান্ত ছক্কায় অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দেন ওয়েড। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা পাকিস্তান ছিটকে যায় শিরোপার লড়াই থেকে।

হাসান সেদিন বল হাতেও ছিলেন বেশ খরুচে। তবে ক্যাচ ছেড়েই মূলত অনেকের কাছে হয়ে ওঠেন খলনায়ক। পাকিস্তানের হারের পেছনে তার দিকেই আঙুল তোলা হয় বেশি।

সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ে শনিবার বাংলাদেশে চলে আসে পাকিস্তান দল দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে। দলের সঙ্গে ঢাকায় আসেন হাসানও। এখান থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পেসার জানালেন ওই ম্যাচের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া।

‘আমি জানি, আপনারা সবাই হতাশ, কারণ আমার পারফরম্যান্স আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। তবে আমার চেয়ে বেশি হতাশ কেউ নয়। আমার প্রতি প্রত্যাশা বদলাবেন না। পাকিস্তান ক্রিকেটকে সম্ভব সেরা পর্যায়ে সেবা করতে চাই আমি। কাজেই কঠোর পরিশ্রমে ফিরছি।’

‘এই সময়টা আমাকে আরও শক্তিশালী করবে। সবাইকে ধন্যবাদ বার্তা, টুইট, পোস্ট, ফোন কল ও প্রার্থনার জন্য।’

হাসান অবশ্য পাশে পাচ্ছেন বর্তমান-সাবেক ক্রিকেটারদের অনেককেই। ওই ক্যাচ ছাড়ার পরপরই মাঠে শোয়েব মালিক ছুটে গিয়ে তাকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন। ওয়াসিম আকরামের মতো সাবেকরা তাকে সাহস জোগান। অধিনায়ক বাবর আজম ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওই ক্যাচ মিসকে হারের কারণ বললেও পরে ড্রেসিং রুমে বলেন, কারও দিকে যেন আঙুল তোলা না হয়।

হাসানের খারাপ সময়ে যদিও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ওয়াসিম আকরামসহ অনেকে । খেলায় এমনটা হতেই পারে, তার জন্য কাউকে আলাদা করে কাঠগড়ায় তোলা উচিত নয় বলেই জানিয়েছিলেন তাঁরা। হাসান সঙ্গে পেয়েছিলেন সতীর্থদেরও। এবার সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে অতীত স্মৃতি ঝেড়ে ফেলে নতুন ছন্দে ফিরতে চাইছেন পাক তারকা।

সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১ , ৩০ কার্তিক ১৪২৮ ৯ রবিউস সানি ১৪৪৩

‘পাক ক্রিকেটকে সেরা পর্যায়ে সেবা করতে চাই’

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

তুমুল আলোচনা-সমালোচনায়, কাঠগড়ায় তোলার পর্বের পালা চলার মধ্যেই অবশেষে শোনা গেল হাসান আলির কথা। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ নিতে না পারা পাকিস্তানি এই পেসার বললেন, সবচেয়ে বেশি হতাশ তিনিই। শোনালেন তিনি বাজে সময় পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়।

টি-২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়ায় ১৯তম ওভারে ক্যাচটি ছাড়েন হাসান। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে স্লগ করেন ম্যাথু ওয়েড। মিড উইকেটে দৌঁড়ে বলের নিচে যাওয়ার চেষ্টায় একটু বেশি এগিয়ে যান হাসান। বল তার হাতে লেগে পড়ে যায় মাঠে।

জীবন পাওয়ার পরের তিন বলেই টানা তিনটি দুর্দান্ত ছক্কায় অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দেন ওয়েড। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা পাকিস্তান ছিটকে যায় শিরোপার লড়াই থেকে।

হাসান সেদিন বল হাতেও ছিলেন বেশ খরুচে। তবে ক্যাচ ছেড়েই মূলত অনেকের কাছে হয়ে ওঠেন খলনায়ক। পাকিস্তানের হারের পেছনে তার দিকেই আঙুল তোলা হয় বেশি।

সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ে শনিবার বাংলাদেশে চলে আসে পাকিস্তান দল দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে। দলের সঙ্গে ঢাকায় আসেন হাসানও। এখান থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পেসার জানালেন ওই ম্যাচের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া।

‘আমি জানি, আপনারা সবাই হতাশ, কারণ আমার পারফরম্যান্স আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। তবে আমার চেয়ে বেশি হতাশ কেউ নয়। আমার প্রতি প্রত্যাশা বদলাবেন না। পাকিস্তান ক্রিকেটকে সম্ভব সেরা পর্যায়ে সেবা করতে চাই আমি। কাজেই কঠোর পরিশ্রমে ফিরছি।’

‘এই সময়টা আমাকে আরও শক্তিশালী করবে। সবাইকে ধন্যবাদ বার্তা, টুইট, পোস্ট, ফোন কল ও প্রার্থনার জন্য।’

হাসান অবশ্য পাশে পাচ্ছেন বর্তমান-সাবেক ক্রিকেটারদের অনেককেই। ওই ক্যাচ ছাড়ার পরপরই মাঠে শোয়েব মালিক ছুটে গিয়ে তাকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন। ওয়াসিম আকরামের মতো সাবেকরা তাকে সাহস জোগান। অধিনায়ক বাবর আজম ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওই ক্যাচ মিসকে হারের কারণ বললেও পরে ড্রেসিং রুমে বলেন, কারও দিকে যেন আঙুল তোলা না হয়।

হাসানের খারাপ সময়ে যদিও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ওয়াসিম আকরামসহ অনেকে । খেলায় এমনটা হতেই পারে, তার জন্য কাউকে আলাদা করে কাঠগড়ায় তোলা উচিত নয় বলেই জানিয়েছিলেন তাঁরা। হাসান সঙ্গে পেয়েছিলেন সতীর্থদেরও। এবার সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে অতীত স্মৃতি ঝেড়ে ফেলে নতুন ছন্দে ফিরতে চাইছেন পাক তারকা।