কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের পরামর্শক আলী আর সালান বলেছেন, ‘২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর সময়ে প্রতি মাসে এক লাখ ৭০ হাজার টন তুলা আমদানি করা হয়েছে। বাংলাদেশের এই আমদানি বাজারটি ২ মিলিয়ন ডলারের কাঁচামাল আমদানি করতে পারে। সামনের মাসগুলোতে তুলার ক্রমবর্ধমান ব্যবহার নিশ্চিত করতে কটন ইউএসএ সলিউশনসের প্রদত্ত পরিষেবাগুলোর ওপর জোর দেয়া প্রয়োজন।’

ষষ্ঠ কটন ডে (তুলা দিবস) বাংলাদেশ উপলক্ষে গতকাল এক ভার্চুয়াল সেমিনারের আয়োজন করেছে কটন ইউএসএ। সেই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের মানসম্পন্ন তুলা এবং সর্ববৃহৎ তুলাজাত গার্মেন্টস পণ্যের প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানিকারক হিসেবে বাংলাদেশের অর্জনকে উদযাপন করতে ২০১৬ সাল থেকে কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল (সিসিআই) কটন ডে পালন শুরু করে। তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া বেল ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে মিল এবং তুলা ক্রেতাদের জন্য প্রশিক্ষণসহ সব কিছু করে মার্কিন তুলা কাটানোর সমস্ত দিকে সহায়তা করতে হবে। কটন ইউএসএ লাইসেন্সধারী এবং ইউএস কটন ট্রাস্ট প্রোটোকল সদস্যদের এই বিনামূল্যে পরিষেবাটি ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করছি।’

ভার্চুয়াল এ সেমিনারে অংশ নেয় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ব্রুস এথ্যারলি, লুইস ড্রিফিস কোম্পানির গ্লোবাল মার্কেটিং প্রধান স্টিভ ডায়ার, বিজনেস কনসালটেন্ট এবং উইনস্টন ইকো-স্ট্র্যাটেজিসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ড্ররু উইনস্টন, ফ্যাব্রিক, কালার, সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড গার্মেন্ট টেকনোলজি, টেসকো পিএলসি-এর হেড অফ টেকনিক্যাল জো লিটল, আতিয়া কনসাল্টিং লিমিটেড এবং বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের পরামর্শক আলী আরসালান, স্পিনিং এবং টেক্সটাইল মিলের মালিক, এক্সিকিউটিভ, গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও রিটেইলারস, কটন মার্চেন্টস এজেন্ট এবং ব্যবসায়ীসহ এক হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীরা।

এই সেমিনারে গ্লোবাল কটন ইকোনমিক আউটলুক, মেগাট্রেন্ডস এবং লাভের নতুন পথ: কীভাবে স্মার্ট কোম্পানিগুলো মান তৈরি করতে স্থায়িত্ব ব্যবহার করে, ইউএস কটন ট্রাস্ট প্রোটোকলের ব্র্যান্ড বা রিটেলারের দৃষ্টিভঙ্গি, ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের মাঝে যোগসূত্র তৈরি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা- এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

সেমিনারে কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ব্রুস এথ্যারলি বলেন, ‘বর্তমান মহামারীর এ সময়ে কটন ইউএসএ-কে আপনারা যেভাবে সমর্থন দিয়েছেন তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা আশা করি, এই সময়কে ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারব। সকলের সহযোগিতায় আমাদের ব্যবসাকে আগের থেকেও ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হব।’ বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘যারা সাপ্লাই চেইনের মাধ্যমে ইউএস কটনের প্রত্যয়িত ব্যবহারকারী, সেসব বাংলাদেশে কটন ইউএসএ লাইসেন্সধারীদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। প্রতি বছর বাংলাদেশে ৫০ জনের বেশি লো লাইসেন্সধারী হয়ে থাকে। যেটি কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালে প্রদত্ত একটি প্রশংসাপত্র।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিটিএমএ তাদের টেকসই প্রচেষ্টায় কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালকে সমর্থন করতে পেরে গর্বিত এবং আমরা লক্ষ্য করেছি যে আমাদের অনেক সদস্য ইতোমধ্যেই ইউএস কটন ট্রাস্ট প্রোটোকলে সাইন আপ করেছেন।