টিকা উৎপাদন করে রপ্তানির সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে : প্রধানমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন করে অন্য দেশকে দেয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘নিজেরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে চাই। ভ্যাকসিন তৈরির বাধাগুলো সরিয়ে দিতে হবে। উন্মুক্ত করতে হবে। এটা জনগণের প্রাপ্য। জনগণের সম্পদ হিসেবে দিতে হবে। সারাবিশ্বের কোনও মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে দূরে থাকতে না পারে। সুযোগ দিলে উৎপাদন করা হবে। বিদেশে দেয়া যাবে। সে সক্ষমতা রয়েছে। জমিও নেয়া আছে। এভাবে উদ্যোগ নিয়ে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।’

গতকাল সংসদ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পুরস্কার চালু করায় জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা- ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে আনা এক প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সরকার প্রধান। এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যে সাফল্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এটাও বলে এসেছি।’

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা শেষে সেটি সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নামে জাতিসংঘের কোনও অঙ্গসংস্থার প্রবর্তন করা প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার এটি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পুরস্কার চালু করায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবেক প্রধান হুইপ আবদুস শহীদ কার্যপ্রণালি বিধির ১৪৭ বিধিতে সাধারণ আলোচনার জন্য জাতীয় সংসদে এই প্রস্তাব তোলেন। এতে বলা হয়, ‘জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে ইউনেস্কোকে বাংলাদেশের সব জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হোক।’ পরে এটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা পিছিয়ে নেই। আমি ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের জনগণকে। তারা বার বার আমায় ভোট দিয়েছে। সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। এক দশকের ভিতরে বাংলাদেশের পরিবর্তন সারাবিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশের কাউকে বাইরে যেয়ে কথা শুনতে হয় না।’

সংসদ নেতা বলেন, ‘যুব সমাজকে উৎসাহিত করার জন্য ভালো কাজটা চোখে না দেখলে আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের যে সিআরআই আমরা তৈরি করেছি। আওয়ামী লীগের একটা গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সেখান থেকে ইয়ং বাংলা নামে একটা উদ্যোগ নেয়া হয় যুব সমাজকে উৎসাহিত করতে। তাদেরকে স্টার্টআপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। তাদেরকে এটাও বলা হয়, শুধু চাকরির পেছনে ঘুরবে কেন, চাকরি দেবার যোগ্যতা অর্জন করবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। নিজেরা ব্যবসা করবে নিজেরা অন্যকে চাকরি দেবে। এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আমাদের সরকারের আমলে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ আমাদের কিছু ইয়ং সংসদ সদস্য সকলে মিলেই কিন্তু ইয়ং বাংলা স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়েছে। এই প্রোগ্রামের জন্য আমরা বিশেষ বরাদ্দও রেখেছি। ছেলেমেয়েরা যদি কেউ উদ্যোগ নিতে চায় আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। অনলাইনে কেনাবেচা, ই-কমার্স, টেন্ডার এগুলোতো হয়েছে বাংলাদেশে। সামনে আরও সময় আছে। আরও হবে। এক দিনেতো হয় না। ধাপে ধাপে করতে হয়।’

বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘৭৫-এর পর আমরা কী দেখেছি? ১৯টা ক্যু হয়েছে। হাজারো সেনাবাহিনীর অফিসার ও সৈনিক, বিমান বাহিনীর অফিসার ও সৈনিক এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। কারাগারে ফেলে রাখা হয়েছে, নির্যাতন চলেছে। গুলি-অস্ত্র, দুর্নীতি এটাই ছিল জননীতি। এর বাইরে একটা দেশকে যে উন্নত করা যায় সেদিকে কোন আন্তরিকতাই আমরা দেখিনি। আমি বাংলাদেশে আসার পর কী দেখেছি। বিজ্ঞান পড়েই না মানুষ। বিজ্ঞানের প্রতি কোন আগ্রহ নেই। গবেষণাতো ছিলই না। কোন বিশেষ বরাদ্দও ছিল না।’

বাংলাদেশের প্রস্তাবে গত বছর ডিসেম্বরে ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের শরৎকালীন ২১০তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক এই পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন অঙ্গনে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আর্থিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করে থাকে ইউনেস্কো। গত বৃহস্পতিবার প্যারিসে প্রথমবারের মতো ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ পুরস্কার দেয়া হয়। উগান্ডার ‘মোটিভ ক্রিয়েশন’ নামে একটি সংগঠন এই পুরস্কার পেয়েছে। প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পুরস্কার তুলে দেন। এ পুরস্কার দেয়া হবে প্রতি দুই বছরে একবার, যার আর্থিক মূল্য ৫০ হাজার ডলার। বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার প্রবর্তন করায় বক্তব্যকালে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

উগান্ডার মোটিভ ক্রিয়েশনের মতো বাংলাদেশের যুব সমাজও এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উগান্ডা আজকে এই পুরস্কার পেয়েছে। একদিন ইনশাল্লাহ বাংলাদেশেরও কোন না কোন উদ্যোক্তা এই পুরস্কারটা পাবে বলে আমি আশা করি।’

প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য রাখেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আমির হোসেন আমু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ওয়াসিকা আয়শা খান, বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের, জাতীয় পার্টির(জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, বিএনপির হারুনুর রশীদ, জাপার রুস্তম আলী ফরাজী ও পীর ফজলুর রহমান।

মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১ , ৩১ কার্তিক ১৪২৮ ১০ রবিউস সানি ১৪৪৩

টিকা উৎপাদন করে রপ্তানির সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন করে অন্য দেশকে দেয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘নিজেরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে চাই। ভ্যাকসিন তৈরির বাধাগুলো সরিয়ে দিতে হবে। উন্মুক্ত করতে হবে। এটা জনগণের প্রাপ্য। জনগণের সম্পদ হিসেবে দিতে হবে। সারাবিশ্বের কোনও মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে দূরে থাকতে না পারে। সুযোগ দিলে উৎপাদন করা হবে। বিদেশে দেয়া যাবে। সে সক্ষমতা রয়েছে। জমিও নেয়া আছে। এভাবে উদ্যোগ নিয়ে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।’

গতকাল সংসদ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পুরস্কার চালু করায় জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা- ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে আনা এক প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সরকার প্রধান। এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যে সাফল্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এটাও বলে এসেছি।’

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা শেষে সেটি সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নামে জাতিসংঘের কোনও অঙ্গসংস্থার প্রবর্তন করা প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার এটি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পুরস্কার চালু করায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবেক প্রধান হুইপ আবদুস শহীদ কার্যপ্রণালি বিধির ১৪৭ বিধিতে সাধারণ আলোচনার জন্য জাতীয় সংসদে এই প্রস্তাব তোলেন। এতে বলা হয়, ‘জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে ইউনেস্কোকে বাংলাদেশের সব জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হোক।’ পরে এটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা পিছিয়ে নেই। আমি ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের জনগণকে। তারা বার বার আমায় ভোট দিয়েছে। সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। এক দশকের ভিতরে বাংলাদেশের পরিবর্তন সারাবিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশের কাউকে বাইরে যেয়ে কথা শুনতে হয় না।’

সংসদ নেতা বলেন, ‘যুব সমাজকে উৎসাহিত করার জন্য ভালো কাজটা চোখে না দেখলে আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের যে সিআরআই আমরা তৈরি করেছি। আওয়ামী লীগের একটা গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সেখান থেকে ইয়ং বাংলা নামে একটা উদ্যোগ নেয়া হয় যুব সমাজকে উৎসাহিত করতে। তাদেরকে স্টার্টআপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। তাদেরকে এটাও বলা হয়, শুধু চাকরির পেছনে ঘুরবে কেন, চাকরি দেবার যোগ্যতা অর্জন করবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। নিজেরা ব্যবসা করবে নিজেরা অন্যকে চাকরি দেবে। এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আমাদের সরকারের আমলে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ আমাদের কিছু ইয়ং সংসদ সদস্য সকলে মিলেই কিন্তু ইয়ং বাংলা স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়েছে। এই প্রোগ্রামের জন্য আমরা বিশেষ বরাদ্দও রেখেছি। ছেলেমেয়েরা যদি কেউ উদ্যোগ নিতে চায় আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। অনলাইনে কেনাবেচা, ই-কমার্স, টেন্ডার এগুলোতো হয়েছে বাংলাদেশে। সামনে আরও সময় আছে। আরও হবে। এক দিনেতো হয় না। ধাপে ধাপে করতে হয়।’

বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘৭৫-এর পর আমরা কী দেখেছি? ১৯টা ক্যু হয়েছে। হাজারো সেনাবাহিনীর অফিসার ও সৈনিক, বিমান বাহিনীর অফিসার ও সৈনিক এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। কারাগারে ফেলে রাখা হয়েছে, নির্যাতন চলেছে। গুলি-অস্ত্র, দুর্নীতি এটাই ছিল জননীতি। এর বাইরে একটা দেশকে যে উন্নত করা যায় সেদিকে কোন আন্তরিকতাই আমরা দেখিনি। আমি বাংলাদেশে আসার পর কী দেখেছি। বিজ্ঞান পড়েই না মানুষ। বিজ্ঞানের প্রতি কোন আগ্রহ নেই। গবেষণাতো ছিলই না। কোন বিশেষ বরাদ্দও ছিল না।’

বাংলাদেশের প্রস্তাবে গত বছর ডিসেম্বরে ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের শরৎকালীন ২১০তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক এই পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন অঙ্গনে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আর্থিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করে থাকে ইউনেস্কো। গত বৃহস্পতিবার প্যারিসে প্রথমবারের মতো ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ পুরস্কার দেয়া হয়। উগান্ডার ‘মোটিভ ক্রিয়েশন’ নামে একটি সংগঠন এই পুরস্কার পেয়েছে। প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পুরস্কার তুলে দেন। এ পুরস্কার দেয়া হবে প্রতি দুই বছরে একবার, যার আর্থিক মূল্য ৫০ হাজার ডলার। বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার প্রবর্তন করায় বক্তব্যকালে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

উগান্ডার মোটিভ ক্রিয়েশনের মতো বাংলাদেশের যুব সমাজও এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উগান্ডা আজকে এই পুরস্কার পেয়েছে। একদিন ইনশাল্লাহ বাংলাদেশেরও কোন না কোন উদ্যোক্তা এই পুরস্কারটা পাবে বলে আমি আশা করি।’

প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য রাখেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আমির হোসেন আমু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ওয়াসিকা আয়শা খান, বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের, জাতীয় পার্টির(জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, বিএনপির হারুনুর রশীদ, জাপার রুস্তম আলী ফরাজী ও পীর ফজলুর রহমান।