সিটিং বাতিল হলেও ভাড়া কমেনি যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার

ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাস-মিনিবাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হয়নি। বাস থেকে সিটিং সার্ভিস লেখা স্টিকার উঠানো হলেও ভাড়া কিন্তু কমায়নি বাস মালিকরা। ওয়েবিলের চেকিংয়ের কথা বলে সরকার নির্ধারিত থেকে দুই-তিন গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে তারা।

গতকালও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাস স্টাফদের বাগবিত-া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ভাড়া বেশি নেয়ায় ও হাফ ভাড়া না নেয়ায় প্রতিবাদ করায় গতকাল রাজধানীর প্রগতি সরণিতে এক শিক্ষার্থীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দিয়েছে রাইদা পরিবহনের এক স্টাফ।

এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বিকেল পর্যন্ত মালিবাগ-রামপুরা রুটে রাইদা পরিবহনের প্রায় ৫০টি বাস আটকে রাখে ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থী ও বাস মালিকদের মধ্যে এক সমঝোতা বৈঠকের পর বাস চলাচল শুরু হয় বলে জানান রামপুরা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অপরাধে গতকাল ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩২২টি বাস-মিনিবাসে অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ বাস-মিনিবাসে দাঁড়িয়ে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। কিন্তু ভাড়া আদায় করা হচ্ছে সিটিংয়ের নামে। বাসে যাত্রী নিচ্ছে লোকাল কিন্তু ভাড়া নিচ্ছে সিটিং। সরকার নির্ধারিত বাসের ভাড়া সর্বনি¤œ ১০ টাকা ও মিনিবাসের ভাড়া ৮ টাকা। সেখানে রজনীগন্ধ্যা, বোরাক ও অনাবিলসহ বিভিন্ন পরিবহনে সর্বনি¤œ ভাড়া নেয়া হচ্ছে ১৫-২৫ টাকা। ওয়েবিলের চেকিংয়ের কথা বলে বাসের স্টাফরা এই অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার কারণে যাত্রী ও বাসের স্টাফদের তর্ক-বিকর্তের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল কুুড়িল বিশ্বরোড থেকে গুলিস্তানগামী ভিক্টোর পরিবহনের ভাড়া আদায় নিয়ে কন্ডাক্টরের সঙ্গে যাত্রীদের এ নিয়ে তুমুল তর্কাতর্কি হয়। বাসে দাঁড় করে যাত্রী নেয়ার কারণে এক যাত্রী প্রতিবাদ করলে, কন্ডাক্টর আজিম উদ্দিন ওই যাত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা জানেন না এখন কোন গেটলক ও সিটিং সার্ভিস নেই, সব বাসই লোকাল’।

কন্ডাক্টরের এমন মন্তব্যর প্রেক্ষিতে যাত্রীরা উচ্চস্বরে বলতে থাকেন, তাহলে করোনার আগে যে সিটিং ভাড়া ছিল তার সঙ্গে তেলের দাম বাড়ার কারণে বাড়তি ভাড়া যুক্ত করে ভাড়া নিচ্ছো কেন? এর উত্তরে কন্ডাক্টর আজিম উদ্দিন বলেন, ‘মালিকপক্ষ থেকে ধার্য করা ভাড়া নেয়া হচ্ছে। একটা টাকাও বেশি নিচ্ছি না।’

একজন যাত্রী জানান, করোনার কিছু আগে হঠাৎ যাত্রীবাহী বাসগুলো সিটিং সার্ভিস বলে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছিল। রামপুরা থেকে গুলিস্তান ভিক্টর ও আকাশ পরিবহনের ভাড়া ছিল ১৫ টাকা। সেটা করোনার কয়েকদিন আগে সিটিং সার্ভিসের কথা বলে ৫ টাকা বাড়িয়ে মোট ২০ টাকা নেয়া হতো। এখন তাই নেয়া হচ্ছে। অথচ সরকার নির্ধারিত বাসের সর্বনি¤œ ভাড়া ১০ টাকা ও মিনিবাসে ৮ টাকা। গেটলক-সিটিং সার্ভিস বন্ধ হলেও ভাড়া ঠিকই বেশি নেয়া হচ্ছে। আগের সিটিং ভাড়ার সঙ্গে তেলের দাম বাড়ার কারণে সরকারের নির্ধারিত ভাড়া যুক্ত করা হয়েছে।

বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

সিএনজিচালিত হিউম্যান হলার, লেগুনা, অটো-টেম্পু, অটোরিক্সার পৃথক পৃথক ভাড়া নির্ধারণ করে চলমান ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী থেকে আইনী সুরক্ষার সুযোগ দিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

গতকাল সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কাছে এক স্মারকলিপিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সরকার শুধুমাত্র ডিজেল চালিত বাস-মিনিবাসের ভাড়া বাড়ালেও এই ভাড়া বৃদ্ধি আদেশ জারীর সঙ্গে সঙ্গে সিএনজি চালিত, ডিজেলচালিত, পেট্রোল চালিত, অকটেনচালিত সব প্রকার বাস-মিনিবাসের পাশাপাশি হিউম্যান হলার, লেগুনা, অটো-টেম্পু, অটোরিক্সা, প্যাডেলচালিত রিক্সা ও মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের পরিবহনে অতিরিক্ত মাত্রায় বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

যাত্রী প্রতিনিধিবিহীন গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণের কারণে মালিকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী একচেটিয়া ভাড়া নির্ধারণের ফলে যাত্রী সাধারণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণের আগে গণপরিবহন ভাড়া নির্ধারণের ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি ও ভাড়া নির্ধারণ কমিটি পুনঃগঠন করে মালিক-শ্রমিকদের সংখ্যানুপাতে যাত্রী প্রতিনিধি রাখার দাবি জানান সংগঠনটি।

ছাত্রদের দাবি মেনে নিলো রাইদা পরিবহন

ইম্পেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন রাইদা পরিবহনের কর্মকর্তারা। মাসুদ নামে যে চেকার শিক্ষার্থী নাবিলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল, তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান রামপুরা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রদের আশ্বস্ত করি তোমাদের দাবি-দাওয়া পরিবহনের কর্তৃপক্ষ মেনে নেবে। পরে নাবিলসহ ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্র ও রাইদা পরিবহনের তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে থানায় বসে আলোচনায় করা হয়।’

একপর্যায়ে ছাত্ররা দাবি করেন, রাইদা পরিবহনে ৯টি সিট নারীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। সব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নিতে হবে। এছাড়া তাদের আরেকটা দাবি ছিল ভাড়া আদায়ের জন্য শিক্ষিত লোক নিযুক্ত করতে হবে। যেন তারা মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে।

তিনি জানান, ছাত্রদের সব দাবি রাইদা পরিবহন কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছেন এবং অভিযুক্ত চেকার মাসুদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের পর বিকেল ৫টার দিকে রাইদা পরিবহন পুনরায় চলাচল শুরু করে। আর ছাত্ররা তাদের সব দাবি মেনে নেয়ায় তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১ , ৩১ কার্তিক ১৪২৮ ১০ রবিউস সানি ১৪৪৩

সিটিং বাতিল হলেও ভাড়া কমেনি যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

পুলিশের সমঝোতায় ছাত্রদের দাবি মেনে নিল রাইদা পরিবহন

ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাস-মিনিবাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হয়নি। বাস থেকে সিটিং সার্ভিস লেখা স্টিকার উঠানো হলেও ভাড়া কিন্তু কমায়নি বাস মালিকরা। ওয়েবিলের চেকিংয়ের কথা বলে সরকার নির্ধারিত থেকে দুই-তিন গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে তারা।

গতকালও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাস স্টাফদের বাগবিত-া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ভাড়া বেশি নেয়ায় ও হাফ ভাড়া না নেয়ায় প্রতিবাদ করায় গতকাল রাজধানীর প্রগতি সরণিতে এক শিক্ষার্থীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দিয়েছে রাইদা পরিবহনের এক স্টাফ।

এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বিকেল পর্যন্ত মালিবাগ-রামপুরা রুটে রাইদা পরিবহনের প্রায় ৫০টি বাস আটকে রাখে ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থী ও বাস মালিকদের মধ্যে এক সমঝোতা বৈঠকের পর বাস চলাচল শুরু হয় বলে জানান রামপুরা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অপরাধে গতকাল ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩২২টি বাস-মিনিবাসে অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ বাস-মিনিবাসে দাঁড়িয়ে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। কিন্তু ভাড়া আদায় করা হচ্ছে সিটিংয়ের নামে। বাসে যাত্রী নিচ্ছে লোকাল কিন্তু ভাড়া নিচ্ছে সিটিং। সরকার নির্ধারিত বাসের ভাড়া সর্বনি¤œ ১০ টাকা ও মিনিবাসের ভাড়া ৮ টাকা। সেখানে রজনীগন্ধ্যা, বোরাক ও অনাবিলসহ বিভিন্ন পরিবহনে সর্বনি¤œ ভাড়া নেয়া হচ্ছে ১৫-২৫ টাকা। ওয়েবিলের চেকিংয়ের কথা বলে বাসের স্টাফরা এই অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার কারণে যাত্রী ও বাসের স্টাফদের তর্ক-বিকর্তের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল কুুড়িল বিশ্বরোড থেকে গুলিস্তানগামী ভিক্টোর পরিবহনের ভাড়া আদায় নিয়ে কন্ডাক্টরের সঙ্গে যাত্রীদের এ নিয়ে তুমুল তর্কাতর্কি হয়। বাসে দাঁড় করে যাত্রী নেয়ার কারণে এক যাত্রী প্রতিবাদ করলে, কন্ডাক্টর আজিম উদ্দিন ওই যাত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা জানেন না এখন কোন গেটলক ও সিটিং সার্ভিস নেই, সব বাসই লোকাল’।

কন্ডাক্টরের এমন মন্তব্যর প্রেক্ষিতে যাত্রীরা উচ্চস্বরে বলতে থাকেন, তাহলে করোনার আগে যে সিটিং ভাড়া ছিল তার সঙ্গে তেলের দাম বাড়ার কারণে বাড়তি ভাড়া যুক্ত করে ভাড়া নিচ্ছো কেন? এর উত্তরে কন্ডাক্টর আজিম উদ্দিন বলেন, ‘মালিকপক্ষ থেকে ধার্য করা ভাড়া নেয়া হচ্ছে। একটা টাকাও বেশি নিচ্ছি না।’

একজন যাত্রী জানান, করোনার কিছু আগে হঠাৎ যাত্রীবাহী বাসগুলো সিটিং সার্ভিস বলে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছিল। রামপুরা থেকে গুলিস্তান ভিক্টর ও আকাশ পরিবহনের ভাড়া ছিল ১৫ টাকা। সেটা করোনার কয়েকদিন আগে সিটিং সার্ভিসের কথা বলে ৫ টাকা বাড়িয়ে মোট ২০ টাকা নেয়া হতো। এখন তাই নেয়া হচ্ছে। অথচ সরকার নির্ধারিত বাসের সর্বনি¤œ ভাড়া ১০ টাকা ও মিনিবাসে ৮ টাকা। গেটলক-সিটিং সার্ভিস বন্ধ হলেও ভাড়া ঠিকই বেশি নেয়া হচ্ছে। আগের সিটিং ভাড়ার সঙ্গে তেলের দাম বাড়ার কারণে সরকারের নির্ধারিত ভাড়া যুক্ত করা হয়েছে।

বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

সিএনজিচালিত হিউম্যান হলার, লেগুনা, অটো-টেম্পু, অটোরিক্সার পৃথক পৃথক ভাড়া নির্ধারণ করে চলমান ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী থেকে আইনী সুরক্ষার সুযোগ দিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

গতকাল সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কাছে এক স্মারকলিপিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সরকার শুধুমাত্র ডিজেল চালিত বাস-মিনিবাসের ভাড়া বাড়ালেও এই ভাড়া বৃদ্ধি আদেশ জারীর সঙ্গে সঙ্গে সিএনজি চালিত, ডিজেলচালিত, পেট্রোল চালিত, অকটেনচালিত সব প্রকার বাস-মিনিবাসের পাশাপাশি হিউম্যান হলার, লেগুনা, অটো-টেম্পু, অটোরিক্সা, প্যাডেলচালিত রিক্সা ও মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের পরিবহনে অতিরিক্ত মাত্রায় বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

যাত্রী প্রতিনিধিবিহীন গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণের কারণে মালিকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী একচেটিয়া ভাড়া নির্ধারণের ফলে যাত্রী সাধারণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণের আগে গণপরিবহন ভাড়া নির্ধারণের ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি ও ভাড়া নির্ধারণ কমিটি পুনঃগঠন করে মালিক-শ্রমিকদের সংখ্যানুপাতে যাত্রী প্রতিনিধি রাখার দাবি জানান সংগঠনটি।

ছাত্রদের দাবি মেনে নিলো রাইদা পরিবহন

ইম্পেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন রাইদা পরিবহনের কর্মকর্তারা। মাসুদ নামে যে চেকার শিক্ষার্থী নাবিলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল, তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান রামপুরা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রদের আশ্বস্ত করি তোমাদের দাবি-দাওয়া পরিবহনের কর্তৃপক্ষ মেনে নেবে। পরে নাবিলসহ ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্র ও রাইদা পরিবহনের তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে থানায় বসে আলোচনায় করা হয়।’

একপর্যায়ে ছাত্ররা দাবি করেন, রাইদা পরিবহনে ৯টি সিট নারীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। সব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নিতে হবে। এছাড়া তাদের আরেকটা দাবি ছিল ভাড়া আদায়ের জন্য শিক্ষিত লোক নিযুক্ত করতে হবে। যেন তারা মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে।

তিনি জানান, ছাত্রদের সব দাবি রাইদা পরিবহন কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছেন এবং অভিযুক্ত চেকার মাসুদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের পর বিকেল ৫টার দিকে রাইদা পরিবহন পুনরায় চলাচল শুরু করে। আর ছাত্ররা তাদের সব দাবি মেনে নেয়ায় তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।