নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ

ভিডিও ভাইরাল, মামলা করায় হুমকি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) স্কুলের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে অপহরণ করে ৩ মাস আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণ শেষে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় রোববার ওই কিশোরী স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ধর্ষকরা মামলা তুলে নিতে এবং ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেয় ওই ছাত্রীর মুঠোফোনে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, আগে থেকে সন্ত্রাসী গ্রুপ স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো। এ ব্যাপারে সে তার খালাকে জানালে সন্ত্রাসীরা আরও ক্ষেপে যায়। এরই জের ধরে গত ২৬শে আগস্ট সকাল ১০টায় ভিকটিমকে বেগমগঞ্জের মীর কাশেম হাই স্কুলে যাওয়ার সময় স্থানীয় মজুমদার হাটের উত্তর পাশে পৌঁছলে আবু নাছেরের বাড়ির সামনে স্কুলের রাস্তা থেকে বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন (২৮), একই গ্রামের কামাল (৪৬), নাছের (২৫), হাজীপুর পাঁচ বাড়ির ফরহাদ (২৭) অপহরণ করে সিএনজিযোগে সেনবাগ থানার ছাতারপাইয়ার এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।

আবদুল্লা আল মামুন ও কামাল পালাক্রমে ধর্ষণের পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় ওই ছাত্রীকে সোনাইমুড়ি থেকে বাসযোগে ঢাকায় নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের শহিদপুরে এক বাড়িতে নিয়ে আটক করে। সেখানে কামাল, নাছের ও ফরহাদ তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং স্থানীয় অজ্ঞাত যুবকদের এনেও তাকে ধর্ষণ করায়। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওষুধ খাইয়ে আবারও ধর্ষণ করত। গত ৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ওই ছাত্রী কৌশলে পালিয়ে বাড়ি চলে আসে এবং একটু সুস্থ হয়ে রোববার বেগমগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করে।

মামলার বাদী ভিকটিম জানান, তার গ্রামের বাড়ি বেগমগঞ্জের একলাশপুরে। সে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। মজুমদার হাট খালার বাড়িতে থেকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীরা তাকে উত্ত্যক্ত করতো। জেলা সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন বলেন, বাদী যখন আমাকে দিয়ে এজাহার লেখাচ্ছিলেন তখনও ধর্ষকরা ভিকটিমের মোবাইলে একাধিকবার কল করে হুমকি দেয়। এ জঘন্য ঘটনার বিচার হওয়া দরকার। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই সব কিছু মাথায় রেখে সামনে এগুচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১ , ৩১ কার্তিক ১৪২৮ ১০ রবিউস সানি ১৪৪৩

নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ

ভিডিও ভাইরাল, মামলা করায় হুমকি

প্রতিনিধি, বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) স্কুলের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে অপহরণ করে ৩ মাস আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণ শেষে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় রোববার ওই কিশোরী স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ধর্ষকরা মামলা তুলে নিতে এবং ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেয় ওই ছাত্রীর মুঠোফোনে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, আগে থেকে সন্ত্রাসী গ্রুপ স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো। এ ব্যাপারে সে তার খালাকে জানালে সন্ত্রাসীরা আরও ক্ষেপে যায়। এরই জের ধরে গত ২৬শে আগস্ট সকাল ১০টায় ভিকটিমকে বেগমগঞ্জের মীর কাশেম হাই স্কুলে যাওয়ার সময় স্থানীয় মজুমদার হাটের উত্তর পাশে পৌঁছলে আবু নাছেরের বাড়ির সামনে স্কুলের রাস্তা থেকে বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন (২৮), একই গ্রামের কামাল (৪৬), নাছের (২৫), হাজীপুর পাঁচ বাড়ির ফরহাদ (২৭) অপহরণ করে সিএনজিযোগে সেনবাগ থানার ছাতারপাইয়ার এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।

আবদুল্লা আল মামুন ও কামাল পালাক্রমে ধর্ষণের পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় ওই ছাত্রীকে সোনাইমুড়ি থেকে বাসযোগে ঢাকায় নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের শহিদপুরে এক বাড়িতে নিয়ে আটক করে। সেখানে কামাল, নাছের ও ফরহাদ তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং স্থানীয় অজ্ঞাত যুবকদের এনেও তাকে ধর্ষণ করায়। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওষুধ খাইয়ে আবারও ধর্ষণ করত। গত ৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ওই ছাত্রী কৌশলে পালিয়ে বাড়ি চলে আসে এবং একটু সুস্থ হয়ে রোববার বেগমগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করে।

মামলার বাদী ভিকটিম জানান, তার গ্রামের বাড়ি বেগমগঞ্জের একলাশপুরে। সে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। মজুমদার হাট খালার বাড়িতে থেকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীরা তাকে উত্ত্যক্ত করতো। জেলা সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন বলেন, বাদী যখন আমাকে দিয়ে এজাহার লেখাচ্ছিলেন তখনও ধর্ষকরা ভিকটিমের মোবাইলে একাধিকবার কল করে হুমকি দেয়। এ জঘন্য ঘটনার বিচার হওয়া দরকার। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই সব কিছু মাথায় রেখে সামনে এগুচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।