পাকিস্তান দলে অনেক ফাস্ট বোলার উঠে আসে। নব্বইয়ের দশক থেকে অনেক কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার খেলেছেন। এখনও ভালো ফাস্ট বোলার আছে। তুলনামূলক ভাবে আমরা তাদের চেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু আমাদেরও উন্নতি হচ্ছে।’ কথাগুলো বলছিলেন জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। শেষ এক বছরে বাংলাদেশের দ্রুতগতি বোলারদের যে উন্নতি হয়েছে তার সিংহভাগ একাই করেছেন তাসকিন। ডানহাতি পেসার হতে চান আরও ধারালো, আরও ক্ষীপ্র। হতে চান বিশ্বসেরাদের একজন। কিন্তু তার উন্নতির পথের বাঁধা পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাব। দেশের মাটিতে পেস বান্ধব উইকেটে খেলা হয় সামান্যই। জাতীয় লীগ দেশের প্রধানতম ঘরোয়া ক্রিকেট লীগ।
অথচ সেখানে পেসাররা সুযোগ সুবিধা পায় সামান্যই। তাদের কাজটাই থাকে বল পুরোনো করে স্পিনারদের দেয়া আবার নতুন বলে কখনো কখনো তাদের বোলিংয়ের সুযোগও হয় না। উইকেট স্পোর্টিং হয় না। তাই পেসারদের সেভাবে উন্নতিও হয় না। খুব আক্ষেপ করে তাসকিন শেরেবাংলায় স্পোর্টিং চাইলেন যেখানে ব্যাটসম্যান-বোলারদের লড়াইয়ের ভারসাম্য থাকবে। তার ভাষ্য, ‘সাদা বলে স্পোর্টিং উইকেটে কম খেলা হয়। বোলিং সহায়ক (স্পিন) উইকেটে বেশি খেলা হয়। মিরপুরেও স্পোর্টিং উইকেট আশা করছি যেখানে ব্যাটসম্যান-বোলার উভয়ই সুবিধা পাবে।’
বোলিংয়ে নিজের উন্নতির জন্য তাসকিন মনোযোগ দিয়েছিলেন ফিটনেসে। এরপর ধাপে ধাপে নিজের উন্নতি করেছেন। বিশ্বকাপে পেসারদের সাফল্যের পতাকা একমাত্র তিনিই উড়িয়েছেন সাফল্যের পেছনে পরিশ্রমের গল্পগুলি মনে করালেন তাসকিন, ‘সত্যি বলতে বোলিংয়ে উন্নতির জন্য গত ২-৩ বছর ধরেই প্রক্রিয়া চলছে। এটা দুই-আড়াই মাসে হয়নি। এটার জন্য গত ২-৩ বছর ধরে কষ্ট করছি। আগের চেয়ে উন্নতি হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। এখনও প্রক্রিয়াতেই আছি। এখনও অনেক কিছু শিখে ফেলিনি বা অনেক কিছু করে ফেলিনি। আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। আগের চেয়ে গতি ও লেন্থ ধারাবাহিক হয়েছে। তবে আমি এখনও শিখছি। দেশি ও বিদেশি কোচরা আমাকে অনেক সাহায্য করছেন। ভবিষ্যতে একজন বিশ্বমানের বোলার হওয়া, বড় মানের বোলার হওয়া আমার স্বপ্ন। এজন্য প্রক্রিয়া ঠিক রাখছি। ভালো খারাপ হবেই। কিন্তু প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে চাই।’
তাসকিনের অনেক পর ক্যারিয়ার শুরু করলেও শাহীন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলী, হ্যারিস রউফ বিশ্ব ক্রিকেটের বড় নাম। আসন্ন সিরিজে তাদের সঙ্গে কথা বলে নিজের কার্যক্ষমতা বাড়াতে চান। তাসকিন বলেছেন, ‘যেহেতু একসাথে সিরিজ খেলবো, সুযোগ হলে ওদের সাথে কথা বলবো। ওরা এমন কিছু শেয়ার করতে পারে যেটা আমাদের ফাস্ট বোলারদের কাজে লাগতে পারে। সব ধরনের ফরম্যাটে সব ধরনের ফাস্ট বোলার ওদের আছে। এশিয়ান কন্ডিশন থেকে এরা অন্য পর্যায়ের ফাস্ট বোলার পাচ্ছে- ব্যাপারটা প্রেরণাদায়ক। এজন্য অবশ্য ওদের কন্ডিশনও ভূমিকা রাখে। আশা করছি ওদের মত আমাদেরও ভালো ভালো ফাস্ট বোলার আসবে ইনশাআল্লাহ।’
মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১ , ৩১ কার্তিক ১৪২৮ ১০ রবিউস সানি ১৪৪৩
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক
পাকিস্তান দলে অনেক ফাস্ট বোলার উঠে আসে। নব্বইয়ের দশক থেকে অনেক কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার খেলেছেন। এখনও ভালো ফাস্ট বোলার আছে। তুলনামূলক ভাবে আমরা তাদের চেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু আমাদেরও উন্নতি হচ্ছে।’ কথাগুলো বলছিলেন জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। শেষ এক বছরে বাংলাদেশের দ্রুতগতি বোলারদের যে উন্নতি হয়েছে তার সিংহভাগ একাই করেছেন তাসকিন। ডানহাতি পেসার হতে চান আরও ধারালো, আরও ক্ষীপ্র। হতে চান বিশ্বসেরাদের একজন। কিন্তু তার উন্নতির পথের বাঁধা পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাব। দেশের মাটিতে পেস বান্ধব উইকেটে খেলা হয় সামান্যই। জাতীয় লীগ দেশের প্রধানতম ঘরোয়া ক্রিকেট লীগ।
অথচ সেখানে পেসাররা সুযোগ সুবিধা পায় সামান্যই। তাদের কাজটাই থাকে বল পুরোনো করে স্পিনারদের দেয়া আবার নতুন বলে কখনো কখনো তাদের বোলিংয়ের সুযোগও হয় না। উইকেট স্পোর্টিং হয় না। তাই পেসারদের সেভাবে উন্নতিও হয় না। খুব আক্ষেপ করে তাসকিন শেরেবাংলায় স্পোর্টিং চাইলেন যেখানে ব্যাটসম্যান-বোলারদের লড়াইয়ের ভারসাম্য থাকবে। তার ভাষ্য, ‘সাদা বলে স্পোর্টিং উইকেটে কম খেলা হয়। বোলিং সহায়ক (স্পিন) উইকেটে বেশি খেলা হয়। মিরপুরেও স্পোর্টিং উইকেট আশা করছি যেখানে ব্যাটসম্যান-বোলার উভয়ই সুবিধা পাবে।’
বোলিংয়ে নিজের উন্নতির জন্য তাসকিন মনোযোগ দিয়েছিলেন ফিটনেসে। এরপর ধাপে ধাপে নিজের উন্নতি করেছেন। বিশ্বকাপে পেসারদের সাফল্যের পতাকা একমাত্র তিনিই উড়িয়েছেন সাফল্যের পেছনে পরিশ্রমের গল্পগুলি মনে করালেন তাসকিন, ‘সত্যি বলতে বোলিংয়ে উন্নতির জন্য গত ২-৩ বছর ধরেই প্রক্রিয়া চলছে। এটা দুই-আড়াই মাসে হয়নি। এটার জন্য গত ২-৩ বছর ধরে কষ্ট করছি। আগের চেয়ে উন্নতি হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। এখনও প্রক্রিয়াতেই আছি। এখনও অনেক কিছু শিখে ফেলিনি বা অনেক কিছু করে ফেলিনি। আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। আগের চেয়ে গতি ও লেন্থ ধারাবাহিক হয়েছে। তবে আমি এখনও শিখছি। দেশি ও বিদেশি কোচরা আমাকে অনেক সাহায্য করছেন। ভবিষ্যতে একজন বিশ্বমানের বোলার হওয়া, বড় মানের বোলার হওয়া আমার স্বপ্ন। এজন্য প্রক্রিয়া ঠিক রাখছি। ভালো খারাপ হবেই। কিন্তু প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে চাই।’
তাসকিনের অনেক পর ক্যারিয়ার শুরু করলেও শাহীন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলী, হ্যারিস রউফ বিশ্ব ক্রিকেটের বড় নাম। আসন্ন সিরিজে তাদের সঙ্গে কথা বলে নিজের কার্যক্ষমতা বাড়াতে চান। তাসকিন বলেছেন, ‘যেহেতু একসাথে সিরিজ খেলবো, সুযোগ হলে ওদের সাথে কথা বলবো। ওরা এমন কিছু শেয়ার করতে পারে যেটা আমাদের ফাস্ট বোলারদের কাজে লাগতে পারে। সব ধরনের ফরম্যাটে সব ধরনের ফাস্ট বোলার ওদের আছে। এশিয়ান কন্ডিশন থেকে এরা অন্য পর্যায়ের ফাস্ট বোলার পাচ্ছে- ব্যাপারটা প্রেরণাদায়ক। এজন্য অবশ্য ওদের কন্ডিশনও ভূমিকা রাখে। আশা করছি ওদের মত আমাদেরও ভালো ভালো ফাস্ট বোলার আসবে ইনশাআল্লাহ।’