অতিরিক্ত বাসভাড়া নিয়ে প্রতিদিনই হাতাহাতি বিতর্ক

ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাস ও মিনিবাসে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হয়নি। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নির্দেশে সিটিং সার্ভিস বাদ হয়েছে গণপরিবহনে। তাই বর্তমানে রাজধানীর প্রায় সব বাসেই দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়। কিন্তু ভাড়া কমানো হয়নি। আগের মতো বেশি ভাড়া নেয়ার কারণে যাত্রীদের সঙ্গে এই নিয়ে হাতাহাতি ও বিতর্কের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিনই।

অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অপরাধে গতকাল ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩৪২ বাস-মিনিবাসে অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় একটি পরিবহন একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করায় ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবারও রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও বাস স্টাফদের তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বাসের দুই কর্মচারীকে যাত্রীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ করে বাস শ্রমিকরা। এর প্রতিবাদে গতকাল দুপুর ২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিসহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভূইয়া হুমায়ুন কবির তপন সংবাদকে বলেন, ‘ভাড়ার বেশি নেয়ার অভিযোগে পরিস্থান ও প্রজাপতি বাসের দুই চালককে মারধর করেছে যাত্রীরা। এর প্রতিবাদে মিরপুর থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল চালকরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।’

এ বিষয়ে পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘ভাড়া নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে চালকদের একটি অংশ বাস চালানো বন্ধ করে দেয়। পরে তা সমাধান করা হয়েছে। হঠাৎ করে তেলের দাম বৃদ্ধিতে বাসের ভাড়া বেড়েছে। আমরা সরকার নির্ধারিত ভাড়াই যাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছি। তারপরও অনেক যাত্রী এটা মানতে পারছে না।’

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বাসসহ ডিজেলচালিত সব যানবাহনের ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। যদিও ভাড়া বৃদ্ধির এ প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ ছিল। সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হওয়ার পর থেকেই সিনজিচালিত সব যানবাহনও বাড়তি ভাড়া আদায় করছিল। এ নিয়ে প্রত্যেক দিন বাসে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।

মিরপুর থেকে হঠাৎ বাস বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে গতকাল দুপুরে মিরপুরে বাগবিতণ্ডায় জড়ান যাত্রী ও চালকরা। এরই জেরে দুপুর ২টার পর থেকে মিরপুর এলাকায় সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেন চালকরা। পরে বিকেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় চরম বিপাকে পড়তে হয় বলে যাত্রীরা জানান। মামুন নামের উত্তরাগামী এক যাত্রী বলেন, ‘জরুরি কাজে উত্তরা যাওয়া প্রয়োজন। বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও বাসের দেখা পাচ্ছি না। যে দুই একটা বাস আসছে সেগুলোও মিরপুর ১ ও ২ নম্বরের যাত্রী নিচ্ছে। কী কারণে বাস বন্ধ রয়েছে সেটাও জানি না।’ তিনি জানান, কয়েকজন যাত্রীর কাছ থেকে জানতে পারলাম বাসচালকরা ধর্মঘটে গেছেন। এজন্য বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কবে থেকে তারা এ ধর্মঘট শুরু করেছেন সেটা তো আমরা জানতে পারলাম না। আসলে সব কিছুই তাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। এখানে সবসময় যাত্রীদেরই ভোগান্তি পোহাতে হয়। চালক কিংবা বাস মালিকদের কোন সমস্যা নেই।

মিলন নামের আরেকজন বলেন, ‘আমি উত্তরা হাউজ বিল্ডিং যাব। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মিরপুর-১০ নম্বরের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু কোন বাস পেলাম না। সব বাসের হেলপার বলছে, মিরপুর-১২ নম্বর যাবে। কী কারণে বাস যাচ্ছে না, সেটা আমি নিজেও জানি না। কেউ বলছে তেলের দাম না কমা পর্যন্ত বাস বন্ধ থাকবে। কেউ বলছে ভাড়া বৃদ্ধি সঠিকভাবে কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। একেকজন একেক কথা বলছে।’

বিকল্প পরিবহনের এক হেলপার বলেন, ‘মালিক ফোনে জানিয়েছেন গাড়ি মিরপুর-১২ নম্বর নিয়ে পার্কিং করে রাখতে। এ সমস্যার সমাধান না হলে গাড়ি বের না করতে নির্দেশ দিয়েছেন মালিক। এজন্যই মিরপুর-১২ নম্বরের যাত্রী ডাকা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না পেলে ১২ নম্বর থেকে গাড়ি বের করা হবে না। মিরপুর-১০ নম্বর থেকে যাত্রী নিয়ে মিরপুর-১২ নম্বর গিয়ে পার্কিং করে রাখা হবে।’

প্রজাপতি পরিবহনের কন্ট্রাক্টর রিয়াজ বলেন, ‘আমাদের গাড়ি মিরপুর-১ নম্বর নিয়ে পার্ক করব। ডিজেলের দাম বাড়ায় আমাদের ভাড়া বেড়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া দিতে চায় না। এজন্য সমস্যা তৈরি হয়েছে। হয় তেলের দাম কমাতে হবে অথবা যাত্রীদের নির্ধারিত ভাড়া দিতে হবে। এই সমস্যার সমাধান না হলে আমরা আর গাড়ি চালাব না।’

গত রোববার থেকে রাজধানীতে কোন ধরনের সিটিং সার্ভিস অথবা গেট লক সার্ভিস বাস থাকবে না বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। ১০ নভেম্বর মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর থেকে সিটিং ও লোকাল(দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন) সার্ভিসের ভাড়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয় যাত্রী ও বাস স্টাফদের মধ্যে।

বিআরটিএ’র সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অপরাধে ১০৪টি বাস-মিনিবাসে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযান চালানো হয় ৩৪২টি বাস-মিনিবাসে। এর মধ্যে ২৮২টি ডিজেল চালিত ও ৬১টি গ্যাস চালিত বাস-মিনিবাস রয়েছে। এ সময় দুই দালালকে কারাদণ্ড দেয়া হয় সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান।

বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১ , ২ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১১ রবিউস সানি ১৪৪৩

অতিরিক্ত বাসভাড়া নিয়ে প্রতিদিনই হাতাহাতি বিতর্ক

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

image

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ করলে জরিমানা -সংবাদ

ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাস ও মিনিবাসে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হয়নি। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নির্দেশে সিটিং সার্ভিস বাদ হয়েছে গণপরিবহনে। তাই বর্তমানে রাজধানীর প্রায় সব বাসেই দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়। কিন্তু ভাড়া কমানো হয়নি। আগের মতো বেশি ভাড়া নেয়ার কারণে যাত্রীদের সঙ্গে এই নিয়ে হাতাহাতি ও বিতর্কের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিনই।

অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অপরাধে গতকাল ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩৪২ বাস-মিনিবাসে অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় একটি পরিবহন একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করায় ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবারও রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও বাস স্টাফদের তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বাসের দুই কর্মচারীকে যাত্রীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ করে বাস শ্রমিকরা। এর প্রতিবাদে গতকাল দুপুর ২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিসহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভূইয়া হুমায়ুন কবির তপন সংবাদকে বলেন, ‘ভাড়ার বেশি নেয়ার অভিযোগে পরিস্থান ও প্রজাপতি বাসের দুই চালককে মারধর করেছে যাত্রীরা। এর প্রতিবাদে মিরপুর থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল চালকরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।’

এ বিষয়ে পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘ভাড়া নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে চালকদের একটি অংশ বাস চালানো বন্ধ করে দেয়। পরে তা সমাধান করা হয়েছে। হঠাৎ করে তেলের দাম বৃদ্ধিতে বাসের ভাড়া বেড়েছে। আমরা সরকার নির্ধারিত ভাড়াই যাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছি। তারপরও অনেক যাত্রী এটা মানতে পারছে না।’

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বাসসহ ডিজেলচালিত সব যানবাহনের ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। যদিও ভাড়া বৃদ্ধির এ প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ ছিল। সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হওয়ার পর থেকেই সিনজিচালিত সব যানবাহনও বাড়তি ভাড়া আদায় করছিল। এ নিয়ে প্রত্যেক দিন বাসে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।

মিরপুর থেকে হঠাৎ বাস বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে গতকাল দুপুরে মিরপুরে বাগবিতণ্ডায় জড়ান যাত্রী ও চালকরা। এরই জেরে দুপুর ২টার পর থেকে মিরপুর এলাকায় সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেন চালকরা। পরে বিকেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় চরম বিপাকে পড়তে হয় বলে যাত্রীরা জানান। মামুন নামের উত্তরাগামী এক যাত্রী বলেন, ‘জরুরি কাজে উত্তরা যাওয়া প্রয়োজন। বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও বাসের দেখা পাচ্ছি না। যে দুই একটা বাস আসছে সেগুলোও মিরপুর ১ ও ২ নম্বরের যাত্রী নিচ্ছে। কী কারণে বাস বন্ধ রয়েছে সেটাও জানি না।’ তিনি জানান, কয়েকজন যাত্রীর কাছ থেকে জানতে পারলাম বাসচালকরা ধর্মঘটে গেছেন। এজন্য বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কবে থেকে তারা এ ধর্মঘট শুরু করেছেন সেটা তো আমরা জানতে পারলাম না। আসলে সব কিছুই তাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। এখানে সবসময় যাত্রীদেরই ভোগান্তি পোহাতে হয়। চালক কিংবা বাস মালিকদের কোন সমস্যা নেই।

মিলন নামের আরেকজন বলেন, ‘আমি উত্তরা হাউজ বিল্ডিং যাব। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মিরপুর-১০ নম্বরের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু কোন বাস পেলাম না। সব বাসের হেলপার বলছে, মিরপুর-১২ নম্বর যাবে। কী কারণে বাস যাচ্ছে না, সেটা আমি নিজেও জানি না। কেউ বলছে তেলের দাম না কমা পর্যন্ত বাস বন্ধ থাকবে। কেউ বলছে ভাড়া বৃদ্ধি সঠিকভাবে কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। একেকজন একেক কথা বলছে।’

বিকল্প পরিবহনের এক হেলপার বলেন, ‘মালিক ফোনে জানিয়েছেন গাড়ি মিরপুর-১২ নম্বর নিয়ে পার্কিং করে রাখতে। এ সমস্যার সমাধান না হলে গাড়ি বের না করতে নির্দেশ দিয়েছেন মালিক। এজন্যই মিরপুর-১২ নম্বরের যাত্রী ডাকা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না পেলে ১২ নম্বর থেকে গাড়ি বের করা হবে না। মিরপুর-১০ নম্বর থেকে যাত্রী নিয়ে মিরপুর-১২ নম্বর গিয়ে পার্কিং করে রাখা হবে।’

প্রজাপতি পরিবহনের কন্ট্রাক্টর রিয়াজ বলেন, ‘আমাদের গাড়ি মিরপুর-১ নম্বর নিয়ে পার্ক করব। ডিজেলের দাম বাড়ায় আমাদের ভাড়া বেড়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া দিতে চায় না। এজন্য সমস্যা তৈরি হয়েছে। হয় তেলের দাম কমাতে হবে অথবা যাত্রীদের নির্ধারিত ভাড়া দিতে হবে। এই সমস্যার সমাধান না হলে আমরা আর গাড়ি চালাব না।’

গত রোববার থেকে রাজধানীতে কোন ধরনের সিটিং সার্ভিস অথবা গেট লক সার্ভিস বাস থাকবে না বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। ১০ নভেম্বর মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর থেকে সিটিং ও লোকাল(দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন) সার্ভিসের ভাড়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয় যাত্রী ও বাস স্টাফদের মধ্যে।

বিআরটিএ’র সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অপরাধে ১০৪টি বাস-মিনিবাসে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযান চালানো হয় ৩৪২টি বাস-মিনিবাসে। এর মধ্যে ২৮২টি ডিজেল চালিত ও ৬১টি গ্যাস চালিত বাস-মিনিবাস রয়েছে। এ সময় দুই দালালকে কারাদণ্ড দেয়া হয় সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান।