রাজধানীতে তেলাপোকার ওষুধ খেয়ে শিশুর মৃত্যু

রাজধানীতে তেলাপোকা মারার ওষুধ খেয়ে আমানুল্লাহ আইয়ান নামের ১১ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাতে মগবাজার নয়াটোলা এলাকার একটি বাসা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শিশুটির দাদা মো. ফজলু মিয়া জানান, তাদের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হামদিরপাড়া গ্রামে। বর্তমানে মগবাজার নয়াটোলা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। শিশু আইয়ানের বাবা রেজাউল করিম প্রাইভেটকার চালক। মা নাজমিন আক্তার গৃহিণী। বাবা রেজাউল কাজে বাইরে ছিলেন। মা নাজমিন দুই ছেলেকে নিয়ে বাসাতেই ছিলেন। বাসায় তেলাপোকা থাকায় তেলাপোকা মারার ওষুধ এনে তোষকের নিচে রেখেছিল।

সন্ধ্যার দিকে আইয়ান তোষকের নিচে তেলাপোকা মারার ওষুধ পেয়ে খাবার মনে করে খেয়ে ফেলে, পরে বমি করতে থাকে। মা নাজমিন আক্তার টের পেয়ে অন্য স্বজনদের সহায়তায় মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১ , ২ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১১ রবিউস সানি ১৪৪৩

রাজধানীতে তেলাপোকার ওষুধ খেয়ে শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীতে তেলাপোকা মারার ওষুধ খেয়ে আমানুল্লাহ আইয়ান নামের ১১ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাতে মগবাজার নয়াটোলা এলাকার একটি বাসা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শিশুটির দাদা মো. ফজলু মিয়া জানান, তাদের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হামদিরপাড়া গ্রামে। বর্তমানে মগবাজার নয়াটোলা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। শিশু আইয়ানের বাবা রেজাউল করিম প্রাইভেটকার চালক। মা নাজমিন আক্তার গৃহিণী। বাবা রেজাউল কাজে বাইরে ছিলেন। মা নাজমিন দুই ছেলেকে নিয়ে বাসাতেই ছিলেন। বাসায় তেলাপোকা থাকায় তেলাপোকা মারার ওষুধ এনে তোষকের নিচে রেখেছিল।

সন্ধ্যার দিকে আইয়ান তোষকের নিচে তেলাপোকা মারার ওষুধ পেয়ে খাবার মনে করে খেয়ে ফেলে, পরে বমি করতে থাকে। মা নাজমিন আক্তার টের পেয়ে অন্য স্বজনদের সহায়তায় মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।