স্কুলে অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু ২৫

ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ভর্তির জন্য আবেদন নেয়া শুরু হবে ২৫ নভেম্বর। শেষ হবে ৮ ডিসেম্বর। আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১১০ টাকা, পরিশোধ করতে হবে টেলিটকের মাধ্যমে। গতকাল ভর্তির নিয়মাবলি ও আবেদন প্রক্রিয়া প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, একজন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদনে ৫টি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর অনলাইনের মাধ্যমে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারি অনুষ্ঠিত হবে। আর আগামী ১৯ ডিসেম্বর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারি অনুষ্ঠিত হবে। লটারির মাধ্যমে বিদ্যালয় নির্বাচিত হওয়ার পর শিক্ষার্থী নির্বাচিত বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে।

সরকারি বিদ্যালয় : ঢাকা মহানগরে ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপের পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয় বার পছন্দ করা যাবে না।

বেসরকারি বিদ্যালয় : ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে।

এ ছাড়া আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয় বার পছন্দ করা যাবে না।

এছাড়া, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন ওই প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত থাকবে।

এ ক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালক বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। অর্থাৎ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরতদের সন্তান ভর্তিতে যে দুই শতাংশ কোটা নীতিমালায় সংরক্ষিত ছিল তা এবার তুলে দেয়া হয়েছে।

বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১ , ২ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১১ রবিউস সানি ১৪৪৩

স্কুলে অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু ২৫

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ভর্তির জন্য আবেদন নেয়া শুরু হবে ২৫ নভেম্বর। শেষ হবে ৮ ডিসেম্বর। আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১১০ টাকা, পরিশোধ করতে হবে টেলিটকের মাধ্যমে। গতকাল ভর্তির নিয়মাবলি ও আবেদন প্রক্রিয়া প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, একজন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদনে ৫টি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর অনলাইনের মাধ্যমে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারি অনুষ্ঠিত হবে। আর আগামী ১৯ ডিসেম্বর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারি অনুষ্ঠিত হবে। লটারির মাধ্যমে বিদ্যালয় নির্বাচিত হওয়ার পর শিক্ষার্থী নির্বাচিত বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে।

সরকারি বিদ্যালয় : ঢাকা মহানগরে ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপের পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয় বার পছন্দ করা যাবে না।

বেসরকারি বিদ্যালয় : ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে।

এ ছাড়া আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয় বার পছন্দ করা যাবে না।

এছাড়া, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন ওই প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত থাকবে।

এ ক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালক বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। অর্থাৎ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরতদের সন্তান ভর্তিতে যে দুই শতাংশ কোটা নীতিমালায় সংরক্ষিত ছিল তা এবার তুলে দেয়া হয়েছে।