বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পাকিস্তান সিরিজের দলে বড় পরিবর্তন আভাস আগেই ছিল। ক্রিকেট প্রেমীরা অপেক্ষায় ছিলেন কবে ঘোষণা হবে পাকিস্তান সিরিজের দল। অবশেষে মঙ্গলবার বিকালে
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েছেন পাঁচ ক্রিকেটার, প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে দুই ক্রিকেটার।
১৬ সদস্যের দলে নেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। বিশ্বকাপে থেকে ফিরে এসে তিনি টি-২০ সিরিজের জন্য বিশ্রাম চেয়েছিলেন।
মুশফিক বিশ্রাম পেলেও দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকারও আসন্ন সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে বাজে সব শট খেলে দ্রুত আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলেছিলেন এই দুই ব্যাটার। বিশ্বকাপ চলাকালেই দুজনকে নিয়ে বিপুল সমালোচনা হচ্ছিল। ৮ ম্যাচে লিটনের রান ছিল ১৩৩। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে সৌম্যর সংগ্রহ ২৭ রান। নিয়মিত এই দুই ব্যাটারে আস্থা রাখা নির্বাচকরা এবার আর তা রাখতে পারেননি।
এই তিন জনের বাইরে বিশ্বকাপ দল থেকে অনুমিতভাবেই বাদ পড়েছেন দুই ক্রিকেটার। সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ইনজুরিতে আগেভাগেই আরব আমিরাত ছেড়েছিলেন।
তাদের অনুপস্থিতিতে প্রথমবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছে দুই ক্রিকেটার। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল আকবর আলী। হুট করে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০তে তাকে যোগ করে চমক দেখালেন নির্বাচকরা। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করা পেসার শহীদুল ইসলামেরও সুযোগ হয়েছে টি-২০ দলে। বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ডানহাতি এই পেসারের।
এই দুজন ছাড়া বাকি তিন ক্রিকেটার কোন না কোন ফরম্যাটে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। যদিও ইয়াসির আলী রাব্বির এখনও জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি। সাইফ হাসান টেস্ট খেললেও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট খেলার সুযোগ পাননি। আরেক ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর সব ফরম্যাটেই খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে গত কয়েকটি সিরিজে তিনি টি-২০ দলে ছিলেন না।
বিশ্বকাপে স্ট্যান্ডবাই দলে ছিলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তাকে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ জনের দলে রাখা হয়েছে এই লেগ স্পিনারকে।
১৯, ২০ ও ২২ নভেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে মাঠে নামবে দুই দল।
যে কারণে মুশফিকের ‘বিশ্রাম’
মুশফিকের বিশ্রাম প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিকালে দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘মুশফিককে নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের পরপর চারটি টেস্ট আছে। পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু। তার পরপরই নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ আছে। মুশফিক আমাদের অন্যতম সেরা ও গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। আমরা চাইছি মুশফিক যেন সেরাটা দিতে পারে। এজন্য টি-২০ সিরিজে ওকে বিশ্রাম দিয়েছি।’
নান্নু জানান, ‘মুশফিকের বিশ্রাম চাওয়া? না না, এ ধরনের কোনও আলোচনাই হয়নি। আমরা টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে, সামনের চারটি টেস্টের কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তাহলে কি টেস্টের চেয়ে কম গুরুত্ব পাচ্ছে টি-২০ সিরিজ? এমন প্রশ্নে নান্নু বলেন, ‘শুধু পাকিস্তান সিরিজের জন্য ওকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আবার এভেইলেবল হতেই পারে।’
‘আমাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে। আমাদের চারটা টেস্ট আছে। এটাও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। সে (মুশফিক) আমাদের মূল খেলোয়াড়। অনেক মূল খেলোয়াড় ইনজুরিতে আছে। এজন্যই ওকে (মুশফিক) আমরা তরতাজা চাই।’
বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১ , ২ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১১ রবিউস সানি ১৪৪৩
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক
বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পাকিস্তান সিরিজের দলে বড় পরিবর্তন আভাস আগেই ছিল। ক্রিকেট প্রেমীরা অপেক্ষায় ছিলেন কবে ঘোষণা হবে পাকিস্তান সিরিজের দল। অবশেষে মঙ্গলবার বিকালে
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েছেন পাঁচ ক্রিকেটার, প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে দুই ক্রিকেটার।
১৬ সদস্যের দলে নেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। বিশ্বকাপে থেকে ফিরে এসে তিনি টি-২০ সিরিজের জন্য বিশ্রাম চেয়েছিলেন।
মুশফিক বিশ্রাম পেলেও দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকারও আসন্ন সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে বাজে সব শট খেলে দ্রুত আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলেছিলেন এই দুই ব্যাটার। বিশ্বকাপ চলাকালেই দুজনকে নিয়ে বিপুল সমালোচনা হচ্ছিল। ৮ ম্যাচে লিটনের রান ছিল ১৩৩। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে সৌম্যর সংগ্রহ ২৭ রান। নিয়মিত এই দুই ব্যাটারে আস্থা রাখা নির্বাচকরা এবার আর তা রাখতে পারেননি।
এই তিন জনের বাইরে বিশ্বকাপ দল থেকে অনুমিতভাবেই বাদ পড়েছেন দুই ক্রিকেটার। সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ইনজুরিতে আগেভাগেই আরব আমিরাত ছেড়েছিলেন।
তাদের অনুপস্থিতিতে প্রথমবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছে দুই ক্রিকেটার। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল আকবর আলী। হুট করে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০তে তাকে যোগ করে চমক দেখালেন নির্বাচকরা। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করা পেসার শহীদুল ইসলামেরও সুযোগ হয়েছে টি-২০ দলে। বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ডানহাতি এই পেসারের।
এই দুজন ছাড়া বাকি তিন ক্রিকেটার কোন না কোন ফরম্যাটে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। যদিও ইয়াসির আলী রাব্বির এখনও জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি। সাইফ হাসান টেস্ট খেললেও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট খেলার সুযোগ পাননি। আরেক ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর সব ফরম্যাটেই খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে গত কয়েকটি সিরিজে তিনি টি-২০ দলে ছিলেন না।
বিশ্বকাপে স্ট্যান্ডবাই দলে ছিলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তাকে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ জনের দলে রাখা হয়েছে এই লেগ স্পিনারকে।
১৯, ২০ ও ২২ নভেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে মাঠে নামবে দুই দল।
যে কারণে মুশফিকের ‘বিশ্রাম’
মুশফিকের বিশ্রাম প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিকালে দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘মুশফিককে নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের পরপর চারটি টেস্ট আছে। পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু। তার পরপরই নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ আছে। মুশফিক আমাদের অন্যতম সেরা ও গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। আমরা চাইছি মুশফিক যেন সেরাটা দিতে পারে। এজন্য টি-২০ সিরিজে ওকে বিশ্রাম দিয়েছি।’
নান্নু জানান, ‘মুশফিকের বিশ্রাম চাওয়া? না না, এ ধরনের কোনও আলোচনাই হয়নি। আমরা টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে, সামনের চারটি টেস্টের কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তাহলে কি টেস্টের চেয়ে কম গুরুত্ব পাচ্ছে টি-২০ সিরিজ? এমন প্রশ্নে নান্নু বলেন, ‘শুধু পাকিস্তান সিরিজের জন্য ওকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আবার এভেইলেবল হতেই পারে।’
‘আমাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে। আমাদের চারটা টেস্ট আছে। এটাও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। সে (মুশফিক) আমাদের মূল খেলোয়াড়। অনেক মূল খেলোয়াড় ইনজুরিতে আছে। এজন্যই ওকে (মুশফিক) আমরা তরতাজা চাই।’