জনগণের ‘বোবা কান্না’

বর্তমানে কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে মাছ, মাংসসহ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এক কথায় বাজারে এখন আগুন জ্বলছে। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এখন দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে ক্রেতা তার পছন্দ মতো ক্রয় করতে পারছে না। কারণ আয়ের ওপর নির্ভর করে কি পরিমাণ ও কেমন দ্রব্য ক্রয় করবে। সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়নি।

নতুন করে যোগ হয়েছে এখন ডিজেল ও কেরোসিনের বাড়তি দাম। ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়াই যাতায়াত ভাড়া বৃদ্ধি করেছে কর্তৃপক্ষ। পরিবহন ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়ার পরও মানা হচ্ছে না সেই নির্দেশনা। দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। গ্যাস দিয়ে চালিত পরিবহনগুলোও দাবি করছে যে তারা ডিজেল ব্যবহার করছে। তাই ভাড়া বেশি নিচ্ছে। তাছাড়া বিশেষ তদারকি ছাড়া পরিবহন দেখে বোঝার উপায় নেই যে কোনটা ডিজেল দিয়ে চালিত আর কোনটা গ্যাস দিয়ে। ফলে পরিবহনগুলো সহজেই যাতায়াত ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছে।

যাতায়াত ভাড়া বৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, যা দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে বোবা কান্না। কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ের ওপর বিশেষ নজর ও তদারকি করা প্রয়োজন। বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং করতে হবে। বাজারে নির্ধারিত মূল্যের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। আর যাতায়াত ভাড়া নির্ধারিত ভাড়া থেকে যেন বেশি না হয়, সাধারণ মানুষকে যেন ভোগান্তিতে পড়তে না হয়। তাহলে জনজীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে।

মানছুরা আক্তার সাদিয়া

বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১ , ২ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১১ রবিউস সানি ১৪৪৩

জনগণের ‘বোবা কান্না’

বর্তমানে কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে মাছ, মাংসসহ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এক কথায় বাজারে এখন আগুন জ্বলছে। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এখন দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে ক্রেতা তার পছন্দ মতো ক্রয় করতে পারছে না। কারণ আয়ের ওপর নির্ভর করে কি পরিমাণ ও কেমন দ্রব্য ক্রয় করবে। সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়নি।

নতুন করে যোগ হয়েছে এখন ডিজেল ও কেরোসিনের বাড়তি দাম। ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়াই যাতায়াত ভাড়া বৃদ্ধি করেছে কর্তৃপক্ষ। পরিবহন ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়ার পরও মানা হচ্ছে না সেই নির্দেশনা। দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। গ্যাস দিয়ে চালিত পরিবহনগুলোও দাবি করছে যে তারা ডিজেল ব্যবহার করছে। তাই ভাড়া বেশি নিচ্ছে। তাছাড়া বিশেষ তদারকি ছাড়া পরিবহন দেখে বোঝার উপায় নেই যে কোনটা ডিজেল দিয়ে চালিত আর কোনটা গ্যাস দিয়ে। ফলে পরিবহনগুলো সহজেই যাতায়াত ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছে।

যাতায়াত ভাড়া বৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, যা দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে বোবা কান্না। কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ের ওপর বিশেষ নজর ও তদারকি করা প্রয়োজন। বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং করতে হবে। বাজারে নির্ধারিত মূল্যের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। আর যাতায়াত ভাড়া নির্ধারিত ভাড়া থেকে যেন বেশি না হয়, সাধারণ মানুষকে যেন ভোগান্তিতে পড়তে না হয়। তাহলে জনজীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে।

মানছুরা আক্তার সাদিয়া