হিলি বন্দরে চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এ সময়ে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এর বিপরীতে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) আহরণ হয়েছে ১২৯ কোটি ৭৭ কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের বাকি সময়ে বন্দর দিয়ে দুই দেশের আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক থাকলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ হওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

আগস্ট মাসে ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরিতে আদায় হয়েছে ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অক্টোবর মাসে ৩৯ কোটি দুই লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান বলেন, ‘গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ হওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআর থেকে অনেক বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়ায় কাংখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হচ্ছে না। পণ্য আমদানি-রফতানির ওপর নির্ভর করে বন্দরের রাজস্ব আহরণ। যদি আমদানি-রফতানি বাড়ে তাহলে রাজস্ব আহরণ বাড়বে। যদি ধর্মঘটসহ অন্য কোনও কারণে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকে তাহলে কমবে।’

তিনি বলেন, ‘বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার। শুধুমাত্র আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য ছাড়া সবই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করতে পারবেন আমদানিকারকরা। সেক্ষেত্রে আমদানিকৃত পণ্যের ওজন সঠিক থাকতে হবে। ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য আনতে হবে। এইচএসকোড ঠিক থাকতে হবে। বর্তমানে যে হারে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি চলছে তাতে অর্থবছরের বাকি সময়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। তবে সম্প্রতি রেয়াতি শুল্কহারে চাল আমদানির সময়সীমা শেষ হওয়ায় চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। পেঁয়াজের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে কাংখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হবে না।’

বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১ , ৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১২ রবিউস সানি ১৪৪৩

হিলি বন্দরে চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা

চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এ সময়ে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এর বিপরীতে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) আহরণ হয়েছে ১২৯ কোটি ৭৭ কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের বাকি সময়ে বন্দর দিয়ে দুই দেশের আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক থাকলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ হওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

আগস্ট মাসে ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরিতে আদায় হয়েছে ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অক্টোবর মাসে ৩৯ কোটি দুই লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান বলেন, ‘গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ হওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআর থেকে অনেক বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়ায় কাংখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হচ্ছে না। পণ্য আমদানি-রফতানির ওপর নির্ভর করে বন্দরের রাজস্ব আহরণ। যদি আমদানি-রফতানি বাড়ে তাহলে রাজস্ব আহরণ বাড়বে। যদি ধর্মঘটসহ অন্য কোনও কারণে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকে তাহলে কমবে।’

তিনি বলেন, ‘বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার। শুধুমাত্র আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য ছাড়া সবই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করতে পারবেন আমদানিকারকরা। সেক্ষেত্রে আমদানিকৃত পণ্যের ওজন সঠিক থাকতে হবে। ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য আনতে হবে। এইচএসকোড ঠিক থাকতে হবে। বর্তমানে যে হারে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি চলছে তাতে অর্থবছরের বাকি সময়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। তবে সম্প্রতি রেয়াতি শুল্কহারে চাল আমদানির সময়সীমা শেষ হওয়ায় চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। পেঁয়াজের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে কাংখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হবে না।’