পাবনায় হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

পাবনা ভাঙ্গুড়ায় ভ্যানচালক ফারুক হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। গতকাল পাবনার বিশেষ জজ মো. আহসান তারেক এ রায় দেন বলে জানান জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুস সামাদ খান রতন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট রাত ১১টার ভাঙ্গুড়া উপজেলার চৌবাড়িয়া ভদ্রপাড়া থেকে ভ্যানচালক ফারুককে (১৯) বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যান আসামিরা। পরে বড়াল ব্রিজ ফুটবল মাঠে নিয়ে তাকে হত্যা করে রিকশাভ্যান, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেন তারা।

হত্যার পর তারা ফারুকের মরদেহ ভদ্রপাড়া বাঁশবাগান পুকুর পাড়ে মাটিতে পুঁতে রাখেন। প্রায় এক সপ্তাহ খোঁজাখুঁজির পর ৩১ আগস্ট পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত ফারুকের মা ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয়।

দণ্ডিতরা হলো- ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়িয়ার সুধীর চৌকিদারের ছেলে প্রভাস চন্দ্র দাস (১৮), শাহজাহান আলীর ছেলে শাহিন হোসেন (২১), ইব্রাহিম আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (২১), মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০), শরৎনগরের শ্রী মন্তোষের ছেলে প্রিন্স (২০), চরভাঙ্গুড়ার হাফিজুর ওরফে হাফেজের ছেলে ফরিদ আহমেদ (২২), বিলকিস বেগম ( ৪০), চৌবাড়িয়া গ্রামের ছন্নত আলীর ছেলে দুলাল হোসেন (২০), চরভাঙ্গুড়ার ইসহাক আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২২) ও চৌবাড়িয়া গ্রামের আবদুল করিম (৪৫)। এদের মধ্যে আবদুল করিম ও বিলসিক ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এই মামলায় হত্যা প্রমাণিত হয়েছে। ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম শামসুল হুদা ও এসএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, রায়ে তারা সংক্ষুব্ধ। উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১ , ৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১২ রবিউস সানি ১৪৪৩

পাবনায় হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পাবনা ভাঙ্গুড়ায় ভ্যানচালক ফারুক হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। গতকাল পাবনার বিশেষ জজ মো. আহসান তারেক এ রায় দেন বলে জানান জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুস সামাদ খান রতন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট রাত ১১টার ভাঙ্গুড়া উপজেলার চৌবাড়িয়া ভদ্রপাড়া থেকে ভ্যানচালক ফারুককে (১৯) বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যান আসামিরা। পরে বড়াল ব্রিজ ফুটবল মাঠে নিয়ে তাকে হত্যা করে রিকশাভ্যান, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেন তারা।

হত্যার পর তারা ফারুকের মরদেহ ভদ্রপাড়া বাঁশবাগান পুকুর পাড়ে মাটিতে পুঁতে রাখেন। প্রায় এক সপ্তাহ খোঁজাখুঁজির পর ৩১ আগস্ট পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত ফারুকের মা ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয়।

দণ্ডিতরা হলো- ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়িয়ার সুধীর চৌকিদারের ছেলে প্রভাস চন্দ্র দাস (১৮), শাহজাহান আলীর ছেলে শাহিন হোসেন (২১), ইব্রাহিম আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (২১), মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০), শরৎনগরের শ্রী মন্তোষের ছেলে প্রিন্স (২০), চরভাঙ্গুড়ার হাফিজুর ওরফে হাফেজের ছেলে ফরিদ আহমেদ (২২), বিলকিস বেগম ( ৪০), চৌবাড়িয়া গ্রামের ছন্নত আলীর ছেলে দুলাল হোসেন (২০), চরভাঙ্গুড়ার ইসহাক আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২২) ও চৌবাড়িয়া গ্রামের আবদুল করিম (৪৫)। এদের মধ্যে আবদুল করিম ও বিলসিক ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এই মামলায় হত্যা প্রমাণিত হয়েছে। ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম শামসুল হুদা ও এসএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, রায়ে তারা সংক্ষুব্ধ। উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।