সায়েদাবাদে বিস্ফোরণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪

রাজধানীর সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দ্বগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শফিকুল ইসলাম (৪০)। গতকাল বুধবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয় । এ নিয়ে বিস্ফোরণের ৬ জন দ্বগ্ধ হয়। এ ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ জনে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন বলেন, মৃত শফিকুলের ৭৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল। শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরআগে রিপন মিয়া, আবুল কালাম ও বিশ্বনাথ নামে ৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছিল। বর্তমানে কবির হোসেন (৪০) ৮৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থাও শঙ্কটাপন্ন।

ডা. আইউব হোসেন আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী সায়দাবাদ জনপথ এলাকা থেকে ৬ জন দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসে। এদের মধ্যে শামসুদ্দিন রবিন নামে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

মৃত শফিকুলের বড় ভাই নুর আলম জানান, তাদের বাড়ি পুরান ঢাকার সুত্রাপুর হাজী আবদুল মজিদ লেনে। এক ছেলে এক মেয়ের জনক শফিকুল সায়েদাবাদের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে রংয়ের কাজ করতেন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সায়েদাবাদ জনপদ মোড়ে একটি দোতলা মার্কেটের নিচ তলাতে গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১ , ৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১২ রবিউস সানি ১৪৪৩

সায়েদাবাদে বিস্ফোরণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দ্বগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শফিকুল ইসলাম (৪০)। গতকাল বুধবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয় । এ নিয়ে বিস্ফোরণের ৬ জন দ্বগ্ধ হয়। এ ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ জনে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন বলেন, মৃত শফিকুলের ৭৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল। শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরআগে রিপন মিয়া, আবুল কালাম ও বিশ্বনাথ নামে ৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছিল। বর্তমানে কবির হোসেন (৪০) ৮৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থাও শঙ্কটাপন্ন।

ডা. আইউব হোসেন আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী সায়দাবাদ জনপথ এলাকা থেকে ৬ জন দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসে। এদের মধ্যে শামসুদ্দিন রবিন নামে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

মৃত শফিকুলের বড় ভাই নুর আলম জানান, তাদের বাড়ি পুরান ঢাকার সুত্রাপুর হাজী আবদুল মজিদ লেনে। এক ছেলে এক মেয়ের জনক শফিকুল সায়েদাবাদের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে রংয়ের কাজ করতেন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সায়েদাবাদ জনপদ মোড়ে একটি দোতলা মার্কেটের নিচ তলাতে গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে।