সরকারি-বেসরকারিভাবে কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষিরা।
গাইবান্ধা জেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র-যুমনা নদীর চরাঞ্চলে বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে ব্যাপকভাবে কৃষি চাষ ও উৎপাদন হচ্ছে। বিশেষভাবে চরাঞ্চলের ভুট্টা, মরিচ, বাদাম, মিষ্টি আলুসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিবছর জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের ১৯০টি গ্রাম ও চরে প্রায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা ও মরিচ চাষ হয়ে থাকে। চাষিদের উৎপাদিত পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থাপনা না থাকায় ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর সরকারি-বেসরকারিভাবে ভুট্টা ও মরিচ সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা না থাকায় ক্ষতি পুষতে হচ্ছে চাষিদের।
সাঘাটার উত্তরদিঘলকান্দি গ্রামের চাষি রশিদ মোল্লা জানান, গতবছর ৫০ মণ শুকনো মরিচ পেয়েছিলাম। ২৫ মণ বিক্রি করে ২৫ মণ নিজ বাড়িতে সংরক্ষণ করেছি। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করায় অনেক ক্ষতি হয়। আবার মৌসুমকালীন বিক্রি মূল্য অনেক কম থাকে বলে তিনি জানান।
একই উপজেলার আ. করিম প্রামানিক জানান, চরের জমিগুলো ভুট্টা চাষ উপযোগী। ভুট্টাই চাষ করি, কিন্তু উৎপাদনের চেয়ে বাজারের বিক্রির ব্যয়ই বেশি।
ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের নিশ্চিতপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিন জালাল, চরাঞ্চলে ব্যাপক মরিচ হয়, কাচা মরিচের দাম থাকলেও স্থানীয়ভাবে বাজার না থাকায় চরম সঠিক সময়ে বিক্রি করা যায় না। একারণে মরিচ পাকিয়ে বিক্রি করতে হয়।
ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফ প্রামানিক জানান, চরাঞ্চলে ছোট ছোট হাটবাজার গড়ে উঠলেও পাইকারদের আসার মতো সুযোগ-সুবিধা গড়ে ওঠেনি। এজন্য তিনি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সাঘাটার ব্যবসায়ী আকতারুজ্জামান জানান, চরাঞ্চলের পণ্য ক্রয় বিক্রয়ে বড় ব্যবসায়ীদের উপর নির্ভর চাষিরা। এক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণে মরিচ ও ভুট্টার কোন সরকারি নীতিমালা না থাকায় বাজারমূল্যও আপ-ডাউন হয়ে থাকে।
গাইবান্ধা জেলার মার্কেটিং অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, সরকারিভাবে কৃষিচাষে বীজ ও সার সহায়তা ও পরামর্শ, বীজ ও উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণে ব্যবস্থা গ্রহণ, ন্যায্য মূল্যে ক্রয়ের উদ্যোগ, মার্কেটিং-এ সুযোগ সৃষ্টিতে পদক্ষেপ উদ্যোগ গ্রহণ করায় চরের চাষিরা কৃষি উৎপাদনের উৎসাহিত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, চরের চাষিরা যাতে ন্যায্যমূল্য পায় এজন্য কাজ করা হচ্ছে এবং পাইকার ও ব্যবসায়ীদের চরাঞ্চলের এনে চাষিদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে।
শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১ , ৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
সরকারি-বেসরকারিভাবে কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষিরা।
গাইবান্ধা জেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র-যুমনা নদীর চরাঞ্চলে বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে ব্যাপকভাবে কৃষি চাষ ও উৎপাদন হচ্ছে। বিশেষভাবে চরাঞ্চলের ভুট্টা, মরিচ, বাদাম, মিষ্টি আলুসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিবছর জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের ১৯০টি গ্রাম ও চরে প্রায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা ও মরিচ চাষ হয়ে থাকে। চাষিদের উৎপাদিত পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থাপনা না থাকায় ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর সরকারি-বেসরকারিভাবে ভুট্টা ও মরিচ সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা না থাকায় ক্ষতি পুষতে হচ্ছে চাষিদের।
সাঘাটার উত্তরদিঘলকান্দি গ্রামের চাষি রশিদ মোল্লা জানান, গতবছর ৫০ মণ শুকনো মরিচ পেয়েছিলাম। ২৫ মণ বিক্রি করে ২৫ মণ নিজ বাড়িতে সংরক্ষণ করেছি। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করায় অনেক ক্ষতি হয়। আবার মৌসুমকালীন বিক্রি মূল্য অনেক কম থাকে বলে তিনি জানান।
একই উপজেলার আ. করিম প্রামানিক জানান, চরের জমিগুলো ভুট্টা চাষ উপযোগী। ভুট্টাই চাষ করি, কিন্তু উৎপাদনের চেয়ে বাজারের বিক্রির ব্যয়ই বেশি।
ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের নিশ্চিতপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিন জালাল, চরাঞ্চলে ব্যাপক মরিচ হয়, কাচা মরিচের দাম থাকলেও স্থানীয়ভাবে বাজার না থাকায় চরম সঠিক সময়ে বিক্রি করা যায় না। একারণে মরিচ পাকিয়ে বিক্রি করতে হয়।
ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফ প্রামানিক জানান, চরাঞ্চলে ছোট ছোট হাটবাজার গড়ে উঠলেও পাইকারদের আসার মতো সুযোগ-সুবিধা গড়ে ওঠেনি। এজন্য তিনি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সাঘাটার ব্যবসায়ী আকতারুজ্জামান জানান, চরাঞ্চলের পণ্য ক্রয় বিক্রয়ে বড় ব্যবসায়ীদের উপর নির্ভর চাষিরা। এক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণে মরিচ ও ভুট্টার কোন সরকারি নীতিমালা না থাকায় বাজারমূল্যও আপ-ডাউন হয়ে থাকে।
গাইবান্ধা জেলার মার্কেটিং অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, সরকারিভাবে কৃষিচাষে বীজ ও সার সহায়তা ও পরামর্শ, বীজ ও উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণে ব্যবস্থা গ্রহণ, ন্যায্য মূল্যে ক্রয়ের উদ্যোগ, মার্কেটিং-এ সুযোগ সৃষ্টিতে পদক্ষেপ উদ্যোগ গ্রহণ করায় চরের চাষিরা কৃষি উৎপাদনের উৎসাহিত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, চরের চাষিরা যাতে ন্যায্যমূল্য পায় এজন্য কাজ করা হচ্ছে এবং পাইকার ও ব্যবসায়ীদের চরাঞ্চলের এনে চাষিদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে।