দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে সার্বক্ষণিক রাখা যায় কি না তা নিয়ে দুই বিচারপতির মতবিরোধে এজলাস ছেড়ে চলে যান জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। বিচারপতি এজলাস ছাড়ার কারণে গতকাল হাইকোর্টের এনেক্স ২৭ বেঞ্চের বিচার কাজ বন্ধ ছিল।
এর আগে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, এই আদালতে দুদকের অনেক মামলার শুনানি হয়। এই বেঞ্চে দুদকের একজন কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিক রাখা যায় কি না, সেটি দেখতে পারেন।
এ সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘?দুদকের মামলা যারা ঠিকমতো তদন্ত করতে পারছেন না তাদেরকে কোর্টে এনে বসিয়ে রাখুন।’ তখন বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান বলেন, ‘দুদকের কি আর কাজ নেই, একজন অফিসার এখানে এসে বসে থাকবেন?’
এ সময় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেন, ‘বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি এত কথা বললে তো সমস্যা।’ কনিষ্ঠ বিচারপতি জবাবে বলেন, ‘তাহলে বেঞ্চে দুই বিচারপতি রাখার দরকার কী?’ এরপর কনিষ্ঠ বিচারপতির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে এজলাস ছেড়ে চলে যান জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। পরে কনিষ্ঠ বিচারপতিও এজলাস ত্যাগ করেন।
শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১ , ৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৩
আদালত বার্তা পরিবেশক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে সার্বক্ষণিক রাখা যায় কি না তা নিয়ে দুই বিচারপতির মতবিরোধে এজলাস ছেড়ে চলে যান জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। বিচারপতি এজলাস ছাড়ার কারণে গতকাল হাইকোর্টের এনেক্স ২৭ বেঞ্চের বিচার কাজ বন্ধ ছিল।
এর আগে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, এই আদালতে দুদকের অনেক মামলার শুনানি হয়। এই বেঞ্চে দুদকের একজন কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিক রাখা যায় কি না, সেটি দেখতে পারেন।
এ সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘?দুদকের মামলা যারা ঠিকমতো তদন্ত করতে পারছেন না তাদেরকে কোর্টে এনে বসিয়ে রাখুন।’ তখন বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান বলেন, ‘দুদকের কি আর কাজ নেই, একজন অফিসার এখানে এসে বসে থাকবেন?’
এ সময় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেন, ‘বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি এত কথা বললে তো সমস্যা।’ কনিষ্ঠ বিচারপতি জবাবে বলেন, ‘তাহলে বেঞ্চে দুই বিচারপতি রাখার দরকার কী?’ এরপর কনিষ্ঠ বিচারপতির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে এজলাস ছেড়ে চলে যান জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। পরে কনিষ্ঠ বিচারপতিও এজলাস ত্যাগ করেন।