আহসানিয়া মিশনের প্রিন্টিং প্রেস থেকে ফাঁস হতো ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন

আশুলিয়ার আহসানিয়া মিশনের প্রিন্টিং প্রেসে নিরাপত্তা ও নজরদারির অভাবের সুযোগ নিয়েছিল প্রশ্নফাঁস চক্র। প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন প্রেসের কাটিংম্যান রবিউল ও পিয়ন দেলোয়ার। পরিকল্পনায় ছিলেন আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান ও ল্যাব সহকারী পারভেজ মিয়া। গত বুধবার রাতে এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও জোনাল টিম। নজরদারিতে রাখা হয়েছে আরও কয়েকজনকে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেনি ডিবি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহাদত হোসেন সুমা জানান, আগের অভিযানের ধারাবাহিকতায় দেলোয়ার, পারভেজ ও রবিউল নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল ৩ জনই প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে এডিসি সোমা বলেন, এখনও আরও কয়েকজন রয়েছে যারা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। ইতোমধ্যে ওই গ্রুপটিকে শনাক্ত করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনি তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

ডিবি জানায়, আশুলিয়ার ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এলাকায় আহসানিয়া মিশনের নিজস্ব প্রিন্টিং প্রেস। মিশনের বিভিন্ন কর্মসূচি ছাড়াও ছাপা হয় নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও। বেশ বড় এলাকাজুড়ে পরিপাটি আধুনিক প্রিন্টিং প্রেস। যেখানে কাটিং অ্যান্ড বাইন্ডিংয়ের কাজ করেন অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি প্রায় ২২ বছর ধরে এখানে আছি। সর্বশেষ ৫ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নও ছাপা হয়েছে এখানে। পিয়ন দেলোয়ারের অনুরোধে টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান ও পারভেজ মিয়াকে পরীক্ষার দুইদিন আগে প্রশ্নপত্র দেন রবিউল। চুক্তি হয় লাখ টাকায়। প্রেসের কাটিংম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, পিয়ন দেলোয়ার পারভেজ ও মুক্তারকে দেখিয়ে বলে তারা আমার ছোট ভাই তারা কি বলে একটু শুনেন। পরে তারা বলে ভাই আপনাকে আমরা কিছু টাকা দেব, খুশি করব, আপনি দয়া করে একবার আমাদের কথা শোনেন। এ সময় তারা বলল আমাকে এক লাখ টাকা দেবে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে মুক্তারের পর গ্রেপ্তার হন রবিউল। গা ঢাকা দেন দেলোয়ার ও পারভেজ মিয়া। পরে রাজশাহীর চারঘাট এলাকা থেকে দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এদিকে ধর-পাকড়ের খবরের পর নিজে এসেই পুলিশের কাছে দায় স্বীকার করেন পারভেজ। আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী পারভেজ মিয়া বলেন, আমি যদি সত্যি কথা বলি তাহলে এটা পুরোপুরি মুক্তার ভাইয়ের দোষ।

অনুসন্ধানে প্রকট হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ছাপার ক্ষেত্রে আহসানউল্লাহ কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও নিরাপত্তার অভাব। এ বিষয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফজলে ইলাহী বলেন, এটাতো কোন ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের একাডেমির ক্ষেত্রে এটা তো চিন্তারও বাইরে। কিন্তু প্রেস যে অবস্থায় আছে এবং আমি যা শুনছি সেখানে এ জাতীয় কাজ করা সম্ভব। যেটা একেবারে অবাঞ্ছিত ও অগ্রহণযোগ্য।

গত ৬ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও জোনাল টিম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলোÑ মোক্তারুজ্জামান রয়েল, শামসুল হক শ্যামল, জানে আলম মিলন, মোস্তাফিজুর রহামান মিলন ও রাইসুল ইসলাম স্বপন। পরের দিন গ্রেপ্তার করা হয় সোহেল রানা, এমদাদুল হক খোকন ও এবিএম জাহিদ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জানে আলম মিলন রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, শামসুল হক শ্যামল জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ও মোস্তাফিজুর রহমান মিলন পূবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার। এছাড়া সোহেল রানা ও এমদাদুল হক খোকন জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে সমন্বিত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করে আসছিল আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পরই পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, প্রশ্নফাঁস সিন্ডিকেটের সঙ্গে পাঁচ ব্যাংকারসহ আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় সিন্ডিকেট জড়িত। অফিস সহকারী দেলোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রেজারার কাজী শফিকুল আলমের পিয়ন হিসেবে ২০১৬ সালে যোগদান করেন। চাকরির শুরু থেকেই তিনি প্রশ্ন তৈরি ও ছাপা হওয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই সুযোগে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বিভিন্ন সময় চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন। গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রশ্ন তৈরির দায়িত্বে থাকা আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল খুবই দুর্বল। প্রশ্ন তৈরি থেকে শুরু হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে কাজে সম্পৃক্ত থাকা অনেকেই এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে থেকে প্রশ্ন ফাঁস করতেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার জানিয়েছে, লাখ টাকার চুক্তিতে তিনি প্রশ্ন ফাঁস করতেন। তার কাজ ছিল শুধু এক সেট প্রশ্ন বাইরে বের করে আনা। সর্বশেষ তিনি নিজে ও আহসানউল্লাহর প্রেসের কাটিং মাস্টার রবিউল ও পারভেজ মিলে একসেট প্রশ্ন এনে সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য মোক্তারজ্জুমান রয়েলসহ পাঁচ ব্যাংকারের হাতে তুলে দেন। তারাই সমন্বয় করে উত্তরপত্র তৈরি করে শিক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করতো।

শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১ , ৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৩

আহসানিয়া মিশনের প্রিন্টিং প্রেস থেকে ফাঁস হতো ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আশুলিয়ার আহসানিয়া মিশনের প্রিন্টিং প্রেসে নিরাপত্তা ও নজরদারির অভাবের সুযোগ নিয়েছিল প্রশ্নফাঁস চক্র। প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন প্রেসের কাটিংম্যান রবিউল ও পিয়ন দেলোয়ার। পরিকল্পনায় ছিলেন আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান ও ল্যাব সহকারী পারভেজ মিয়া। গত বুধবার রাতে এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও জোনাল টিম। নজরদারিতে রাখা হয়েছে আরও কয়েকজনকে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেনি ডিবি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহাদত হোসেন সুমা জানান, আগের অভিযানের ধারাবাহিকতায় দেলোয়ার, পারভেজ ও রবিউল নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল ৩ জনই প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে এডিসি সোমা বলেন, এখনও আরও কয়েকজন রয়েছে যারা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। ইতোমধ্যে ওই গ্রুপটিকে শনাক্ত করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনি তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

ডিবি জানায়, আশুলিয়ার ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এলাকায় আহসানিয়া মিশনের নিজস্ব প্রিন্টিং প্রেস। মিশনের বিভিন্ন কর্মসূচি ছাড়াও ছাপা হয় নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও। বেশ বড় এলাকাজুড়ে পরিপাটি আধুনিক প্রিন্টিং প্রেস। যেখানে কাটিং অ্যান্ড বাইন্ডিংয়ের কাজ করেন অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি প্রায় ২২ বছর ধরে এখানে আছি। সর্বশেষ ৫ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নও ছাপা হয়েছে এখানে। পিয়ন দেলোয়ারের অনুরোধে টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান ও পারভেজ মিয়াকে পরীক্ষার দুইদিন আগে প্রশ্নপত্র দেন রবিউল। চুক্তি হয় লাখ টাকায়। প্রেসের কাটিংম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, পিয়ন দেলোয়ার পারভেজ ও মুক্তারকে দেখিয়ে বলে তারা আমার ছোট ভাই তারা কি বলে একটু শুনেন। পরে তারা বলে ভাই আপনাকে আমরা কিছু টাকা দেব, খুশি করব, আপনি দয়া করে একবার আমাদের কথা শোনেন। এ সময় তারা বলল আমাকে এক লাখ টাকা দেবে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে মুক্তারের পর গ্রেপ্তার হন রবিউল। গা ঢাকা দেন দেলোয়ার ও পারভেজ মিয়া। পরে রাজশাহীর চারঘাট এলাকা থেকে দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এদিকে ধর-পাকড়ের খবরের পর নিজে এসেই পুলিশের কাছে দায় স্বীকার করেন পারভেজ। আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী পারভেজ মিয়া বলেন, আমি যদি সত্যি কথা বলি তাহলে এটা পুরোপুরি মুক্তার ভাইয়ের দোষ।

অনুসন্ধানে প্রকট হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ছাপার ক্ষেত্রে আহসানউল্লাহ কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও নিরাপত্তার অভাব। এ বিষয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফজলে ইলাহী বলেন, এটাতো কোন ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের একাডেমির ক্ষেত্রে এটা তো চিন্তারও বাইরে। কিন্তু প্রেস যে অবস্থায় আছে এবং আমি যা শুনছি সেখানে এ জাতীয় কাজ করা সম্ভব। যেটা একেবারে অবাঞ্ছিত ও অগ্রহণযোগ্য।

গত ৬ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও জোনাল টিম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলোÑ মোক্তারুজ্জামান রয়েল, শামসুল হক শ্যামল, জানে আলম মিলন, মোস্তাফিজুর রহামান মিলন ও রাইসুল ইসলাম স্বপন। পরের দিন গ্রেপ্তার করা হয় সোহেল রানা, এমদাদুল হক খোকন ও এবিএম জাহিদ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জানে আলম মিলন রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, শামসুল হক শ্যামল জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ও মোস্তাফিজুর রহমান মিলন পূবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার। এছাড়া সোহেল রানা ও এমদাদুল হক খোকন জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে সমন্বিত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করে আসছিল আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পরই পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, প্রশ্নফাঁস সিন্ডিকেটের সঙ্গে পাঁচ ব্যাংকারসহ আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় সিন্ডিকেট জড়িত। অফিস সহকারী দেলোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রেজারার কাজী শফিকুল আলমের পিয়ন হিসেবে ২০১৬ সালে যোগদান করেন। চাকরির শুরু থেকেই তিনি প্রশ্ন তৈরি ও ছাপা হওয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই সুযোগে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বিভিন্ন সময় চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন। গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রশ্ন তৈরির দায়িত্বে থাকা আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল খুবই দুর্বল। প্রশ্ন তৈরি থেকে শুরু হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে কাজে সম্পৃক্ত থাকা অনেকেই এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে থেকে প্রশ্ন ফাঁস করতেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার জানিয়েছে, লাখ টাকার চুক্তিতে তিনি প্রশ্ন ফাঁস করতেন। তার কাজ ছিল শুধু এক সেট প্রশ্ন বাইরে বের করে আনা। সর্বশেষ তিনি নিজে ও আহসানউল্লাহর প্রেসের কাটিং মাস্টার রবিউল ও পারভেজ মিলে একসেট প্রশ্ন এনে সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য মোক্তারজ্জুমান রয়েলসহ পাঁচ ব্যাংকারের হাতে তুলে দেন। তারাই সমন্বয় করে উত্তরপত্র তৈরি করে শিক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করতো।