চিঠি : স্মার্টফোনের দাম কমানো হোক

স্মার্টফোনের দাম কমানো হোক

বর্তমান সময় গতিশীলতার যুগ। এই সময়ে আমরা সবাই ছুটে চলেছি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। যুগের হয়েছে পরিবর্তন, সমাজ হয়েছে আধুনিক। আমরাও নিজেদের রুচিশীলতার পরিবর্তন করেছি। যুগের সঙ্গে নিজেকে চালিয়ে নিয়ে এক অদম্য প্রয়াস চলছে আমাদের মাঝে। আর বর্তমান সময়ের কথা উঠলেই ওঠে আসে হাতে রাখা সেই স্মার্টফোন। দিনেরাতের যেন সর্বক্ষণের সঙ্গী সেই স্মার্টফোন। স্মার্টফোন মানেই সেই জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ যা নিত্যদিনের নিত্য মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, কখনও বা চাকরি সূত্রে, কখনও প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে গল্পালাপে অন্যতম বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। এসব মাধ্যমে ছবি পোস্ট আর তাতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এই নিয়েও চলে মনের মাঝে দড়ি টানাটানির খেলা।

সময়টা যতই এগোচ্ছে আমরা হয়তো আরও তার বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ছি। এর থেকে নিস্তার মিলবে এমনটি ভাবা প্রায় অকল্পনীয়। অনেকে মনে করেন, ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপের চেয়ে ভালো বন্ধু হয়তো অদ্বিতীয় আর কিছু নেই। আর হাতের মুঠোতে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম স্মার্টফোন।

বর্তমান সময়ে বাজারে স্মার্টফোনের দাম অত্যধিক। তাই স্মার্টফোনের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনা হোক।

লিয়াকত হোসেন খোকন

রূপনগর, ঢাকা

পরিবেশবান্ধব বাহন

পরিবেশবান্ধব বাহন হিসেবে সাইকেল সারা পৃথিবীতেই জনপ্রিয়। একই সঙ্গে এটি স্বাস্থ্যসম্মত ও সাশ্রয়ী। এছাড়া নগরে যানজটের ভোগান্তি থেকে বাঁচতেও সাইকেলের জুড়ি নেই। ক্রমবর্ধমান নগরায়ন এবং গতিশীল যান্ত্রিক সমাজে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস দিতে পারে দুই চাকার সাইকেল।

পৃথিবীর অনেক আধুনিক দেশ বর্তমানে এই বাহনটিকে বেশ পৃৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। সাইকেল শুধুমাত্র নগরায়নের প্রশান্তি নয়, চালকের স্বাস্থ্য উন্নয়নের বিচারেও এর ভূমিকা অপরিসীম। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে, ছোট থেকে বৃদ্ধ সবাই সাইকেল চালিয়ে তাদের নিত্যদিনের কাজ সম্পন্ন করছেন। সাইকেল যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমনি পরিবেশের জন্যও বেশ উপকারী। এজন্য সাইকেলকে পরিবেশবান্ধব সবুজ বাহন বলা হয়ে থাকে।

সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করে থাকি। তবে সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম হচ্ছে সাইক্লিং ও সাঁতার কাটা। সাইক্লিং বা সাইকেল চালোনায় অনেক শারীরিক পরিশ্রম হয় এবং ওজন কমাতে ব্যাপক সহায়তা করে। এছাড়া ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, প্রেসারসহ নানা ধরনের রোগের ঝুঁকিও বহুলাংশে কমিয়ে দেয়। সাইকেল চালানো শুধুমাত্র বাহ্যিকভাবেই ফিট রাখে না, অভ্যন্তরীণভাবেও সুস্থ রাখে। অনেকেই শুধুমাত্র আনন্দের জন্য সাইকেল চালান। তবে এর উপকারিতাগুলো জানলে, অনেকেই উৎসাহ নিয়ে সাইকেল চালাবেন। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাইকেল চালানোর অভ্যাসের বিকল্প নেই।

অন্য যানবাহনের ক্ষতিকর ধোঁয়া পরিবেশের যে চরম ক্ষতি করে, সাইকেল তার বিন্দুমাত্র ক্ষতি করে না। সাইকেল চালানো শুধু পরিবেশ দূষণ থেকেই আমাদের রক্ষা করে না, শব্দ দূষণ থেকেও রক্ষা করে। সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, করোনাকালীন সামাজিক দূরত্ব বজায় কর্মস্থল বা বাইরে গমনের জন্য দেশে-বিদেশে সাইকেলের উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রয় উৎসাহজনক হারে বাড়ছে। সামাজিক দূরত্ব ও পরিবেশ রক্ষায় এ সুযোগটি আমাদেরও কাজে লাগানো দরকার। তাই আসুন আমরা নির্মল পরিবেশ বজায় রাখতে সাইকেল চালাই এবং জলবায়ুর উষ্ণতা থেকে পরিবেশকেও রক্ষা করি।

জিল্লুর রহমান

গেন্ডারিয়া, ঢাকা

আরও খবর

শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১ , ৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৩

চিঠি : স্মার্টফোনের দাম কমানো হোক

স্মার্টফোনের দাম কমানো হোক

বর্তমান সময় গতিশীলতার যুগ। এই সময়ে আমরা সবাই ছুটে চলেছি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। যুগের হয়েছে পরিবর্তন, সমাজ হয়েছে আধুনিক। আমরাও নিজেদের রুচিশীলতার পরিবর্তন করেছি। যুগের সঙ্গে নিজেকে চালিয়ে নিয়ে এক অদম্য প্রয়াস চলছে আমাদের মাঝে। আর বর্তমান সময়ের কথা উঠলেই ওঠে আসে হাতে রাখা সেই স্মার্টফোন। দিনেরাতের যেন সর্বক্ষণের সঙ্গী সেই স্মার্টফোন। স্মার্টফোন মানেই সেই জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ যা নিত্যদিনের নিত্য মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, কখনও বা চাকরি সূত্রে, কখনও প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে গল্পালাপে অন্যতম বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। এসব মাধ্যমে ছবি পোস্ট আর তাতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এই নিয়েও চলে মনের মাঝে দড়ি টানাটানির খেলা।

সময়টা যতই এগোচ্ছে আমরা হয়তো আরও তার বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ছি। এর থেকে নিস্তার মিলবে এমনটি ভাবা প্রায় অকল্পনীয়। অনেকে মনে করেন, ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপের চেয়ে ভালো বন্ধু হয়তো অদ্বিতীয় আর কিছু নেই। আর হাতের মুঠোতে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম স্মার্টফোন।

বর্তমান সময়ে বাজারে স্মার্টফোনের দাম অত্যধিক। তাই স্মার্টফোনের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনা হোক।

লিয়াকত হোসেন খোকন

রূপনগর, ঢাকা

পরিবেশবান্ধব বাহন

পরিবেশবান্ধব বাহন হিসেবে সাইকেল সারা পৃথিবীতেই জনপ্রিয়। একই সঙ্গে এটি স্বাস্থ্যসম্মত ও সাশ্রয়ী। এছাড়া নগরে যানজটের ভোগান্তি থেকে বাঁচতেও সাইকেলের জুড়ি নেই। ক্রমবর্ধমান নগরায়ন এবং গতিশীল যান্ত্রিক সমাজে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস দিতে পারে দুই চাকার সাইকেল।

পৃথিবীর অনেক আধুনিক দেশ বর্তমানে এই বাহনটিকে বেশ পৃৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। সাইকেল শুধুমাত্র নগরায়নের প্রশান্তি নয়, চালকের স্বাস্থ্য উন্নয়নের বিচারেও এর ভূমিকা অপরিসীম। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে, ছোট থেকে বৃদ্ধ সবাই সাইকেল চালিয়ে তাদের নিত্যদিনের কাজ সম্পন্ন করছেন। সাইকেল যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমনি পরিবেশের জন্যও বেশ উপকারী। এজন্য সাইকেলকে পরিবেশবান্ধব সবুজ বাহন বলা হয়ে থাকে।

সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করে থাকি। তবে সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম হচ্ছে সাইক্লিং ও সাঁতার কাটা। সাইক্লিং বা সাইকেল চালোনায় অনেক শারীরিক পরিশ্রম হয় এবং ওজন কমাতে ব্যাপক সহায়তা করে। এছাড়া ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, প্রেসারসহ নানা ধরনের রোগের ঝুঁকিও বহুলাংশে কমিয়ে দেয়। সাইকেল চালানো শুধুমাত্র বাহ্যিকভাবেই ফিট রাখে না, অভ্যন্তরীণভাবেও সুস্থ রাখে। অনেকেই শুধুমাত্র আনন্দের জন্য সাইকেল চালান। তবে এর উপকারিতাগুলো জানলে, অনেকেই উৎসাহ নিয়ে সাইকেল চালাবেন। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাইকেল চালানোর অভ্যাসের বিকল্প নেই।

অন্য যানবাহনের ক্ষতিকর ধোঁয়া পরিবেশের যে চরম ক্ষতি করে, সাইকেল তার বিন্দুমাত্র ক্ষতি করে না। সাইকেল চালানো শুধু পরিবেশ দূষণ থেকেই আমাদের রক্ষা করে না, শব্দ দূষণ থেকেও রক্ষা করে। সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, করোনাকালীন সামাজিক দূরত্ব বজায় কর্মস্থল বা বাইরে গমনের জন্য দেশে-বিদেশে সাইকেলের উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রয় উৎসাহজনক হারে বাড়ছে। সামাজিক দূরত্ব ও পরিবেশ রক্ষায় এ সুযোগটি আমাদেরও কাজে লাগানো দরকার। তাই আসুন আমরা নির্মল পরিবেশ বজায় রাখতে সাইকেল চালাই এবং জলবায়ুর উষ্ণতা থেকে পরিবেশকেও রক্ষা করি।

জিল্লুর রহমান

গেন্ডারিয়া, ঢাকা