সমুদ্রে পাইপলাইনে বছরে সাশ্রয় হবে ১ হাজার কোটি -জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি বলেছেন, শহরের সবধরনের সংযোগ লাইন মাটির নিচে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে সরকার কাজ করছে। ভবিষ্যতে শহরে যত্রতত্র ঝুলন্ত তার দেখা যাবে না। শুধু চট্টগ্রাম নয়, ঢাকাসহ দেশের সব বড় শহরে এ কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের রেডিসন ব্লু’র মোহনা হলে রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) চট্টগ্রাম ফেয়ার এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দুই-আড়াই বছরের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দেড় বছরের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম হবে দেশের প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী নগরী। মুজিবর্ষে দেশের সব এলাকা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসছে বলেও জানান তিনি।

রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট আলমগীর সামশুল আল আমিন কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল মাহমুদ, চট্টগ্রাম রিজিওনের সভাপতি আব্দুল কয়্যুম চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের একমাত্র তেল শোধনাগারকে আধুনিকীকরণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। প্রায় ১৬০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে পাইপলাইন বসানো হচ্ছে। এতে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা বড় জাহাজ থেকে মাত্র ১২ ঘণ্টায় সহজে তেল খালাস হবে। ফলে তেলের দামে প্রতি বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এসময় পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ না দিতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

‘স্বপ্নীল আবাসন সবুজ দেশ, লাল সবুজের বাংলাদেশ’ স্লোগানে নগরের হোটেল রেডিসন ব্লু’তে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার-২০২১ এ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৭১টি স্টল স্থান পেয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসসহ কয়েকটি লিংকেজ প্রতিষ্ঠানকে ফেয়ারে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এই ফেয়ারে গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ৪টি প্রতিষ্ঠান, কো-স্পন্সর হিসেবে ১৫টি, ৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ৮টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৪৬টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। ফেয়ার চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।

শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

সমুদ্রে পাইপলাইনে বছরে সাশ্রয় হবে ১ হাজার কোটি -জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো

বিদ্যুৎ খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি বলেছেন, শহরের সবধরনের সংযোগ লাইন মাটির নিচে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে সরকার কাজ করছে। ভবিষ্যতে শহরে যত্রতত্র ঝুলন্ত তার দেখা যাবে না। শুধু চট্টগ্রাম নয়, ঢাকাসহ দেশের সব বড় শহরে এ কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের রেডিসন ব্লু’র মোহনা হলে রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) চট্টগ্রাম ফেয়ার এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দুই-আড়াই বছরের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দেড় বছরের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম হবে দেশের প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী নগরী। মুজিবর্ষে দেশের সব এলাকা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসছে বলেও জানান তিনি।

রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট আলমগীর সামশুল আল আমিন কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল মাহমুদ, চট্টগ্রাম রিজিওনের সভাপতি আব্দুল কয়্যুম চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের একমাত্র তেল শোধনাগারকে আধুনিকীকরণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। প্রায় ১৬০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে পাইপলাইন বসানো হচ্ছে। এতে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা বড় জাহাজ থেকে মাত্র ১২ ঘণ্টায় সহজে তেল খালাস হবে। ফলে তেলের দামে প্রতি বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এসময় পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ না দিতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

‘স্বপ্নীল আবাসন সবুজ দেশ, লাল সবুজের বাংলাদেশ’ স্লোগানে নগরের হোটেল রেডিসন ব্লু’তে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার-২০২১ এ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৭১টি স্টল স্থান পেয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসসহ কয়েকটি লিংকেজ প্রতিষ্ঠানকে ফেয়ারে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এই ফেয়ারে গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ৪টি প্রতিষ্ঠান, কো-স্পন্সর হিসেবে ১৫টি, ৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ৮টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৪৬টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। ফেয়ার চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।