হাসান আলী

‘বাংলাদেশ সবসময় নিজেদের কন্ডিশনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ প্রতিপক্ষ’

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের সেই দুঃস্বপ্ন হাসান আলীকে তাড়িয়ে বেড়াবে বহুদিন। ভুলতে পারবেন না পাকিস্তানি ভক্তরাও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯তম ওভারে তার ক্যাচ মিসে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় উড়তে থাকা পাকিস্তানের। তবে হাসান দমে যাননি, শেষ হয়ে যাননি। সেমিফাইনালের পরের ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নেমে অসাধারণ বোলিংই তার প্রমাণ। যার কারণে হাতে পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সেই ক্যাচ মিসের পরও হাসানের পাশে ছিল তার সতীর্থরা ও পাকিস্তানের ক্রিকেট ভক্তরা। তাদের ভুলে যাননি এই পেসার। তাইতো বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উৎসর্গ করলেন ভক্তদের। ‘আমি এই ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাকিস্তানের ক্রিকেট ভক্তদের উৎসর্গ করতে চাই। বিশ্বকাপে আমার পারফরম্যান্স ‘আপ টু দ্য মার্ক’ ছিল না। কিন্তু ভক্তরা আমাকে সমর্থন করে যায়। আমি এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ’- শুক্রবার ম্যাচ শেষে ঠিক এভাবেই বলেছেন হাসান আলী।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ মিস করেছিলেন হাসান। এরপর টানা তিন বলে তিন ছয় মেরে ম্যাচ জিতে ফাইনালে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচের পর হাসান ভেঙে যাননি, কাজ করেছেন নিজের ভুলগুলো নিয়ে। হাসান বলেন, ‘আমি ঢাকায় পৌঁছানোর পর আমার দুর্বলতা নিয়ে কাজ করেছিলাম। আর আজকের এটি ছিল আমার পরিশ্রমের পুরস্কার।’

বাংলাদেশ টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে। হাসান ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। টার্গেটে খেলতে নেমে মোস্তাফিজুর রহমান-তাসকিন আহমেদদের তোপে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে। বাংলাদেশ দল নিয়ে হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় নিজেদের কন্ডিশনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ প্রতিপক্ষ। আজও তারা অনেক ভালো খেলেছে।’

শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

হাসান আলী

‘বাংলাদেশ সবসময় নিজেদের কন্ডিশনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ প্রতিপক্ষ’

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের সেই দুঃস্বপ্ন হাসান আলীকে তাড়িয়ে বেড়াবে বহুদিন। ভুলতে পারবেন না পাকিস্তানি ভক্তরাও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯তম ওভারে তার ক্যাচ মিসে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় উড়তে থাকা পাকিস্তানের। তবে হাসান দমে যাননি, শেষ হয়ে যাননি। সেমিফাইনালের পরের ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নেমে অসাধারণ বোলিংই তার প্রমাণ। যার কারণে হাতে পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সেই ক্যাচ মিসের পরও হাসানের পাশে ছিল তার সতীর্থরা ও পাকিস্তানের ক্রিকেট ভক্তরা। তাদের ভুলে যাননি এই পেসার। তাইতো বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উৎসর্গ করলেন ভক্তদের। ‘আমি এই ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাকিস্তানের ক্রিকেট ভক্তদের উৎসর্গ করতে চাই। বিশ্বকাপে আমার পারফরম্যান্স ‘আপ টু দ্য মার্ক’ ছিল না। কিন্তু ভক্তরা আমাকে সমর্থন করে যায়। আমি এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ’- শুক্রবার ম্যাচ শেষে ঠিক এভাবেই বলেছেন হাসান আলী।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ মিস করেছিলেন হাসান। এরপর টানা তিন বলে তিন ছয় মেরে ম্যাচ জিতে ফাইনালে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচের পর হাসান ভেঙে যাননি, কাজ করেছেন নিজের ভুলগুলো নিয়ে। হাসান বলেন, ‘আমি ঢাকায় পৌঁছানোর পর আমার দুর্বলতা নিয়ে কাজ করেছিলাম। আর আজকের এটি ছিল আমার পরিশ্রমের পুরস্কার।’

বাংলাদেশ টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে। হাসান ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। টার্গেটে খেলতে নেমে মোস্তাফিজুর রহমান-তাসকিন আহমেদদের তোপে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে। বাংলাদেশ দল নিয়ে হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় নিজেদের কন্ডিশনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ প্রতিপক্ষ। আজও তারা অনেক ভালো খেলেছে।’