কাজে লাগানো হলো না বিপ্লবকে

শেরে বাংলায় ১২৭ ও ১২৩ রান করেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। করাচি, ফয়সলাবাদের স্লো পিচে খেলে বড় হওয়া পাকিস্তানিদের এমন স্লো উইকেটে এই রানের মধ্যে আটকে রাখা খুব কঠিন। তারপরও বাংলাদেশের বোলাররা ভালো বল করে খেলাকে শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে গেছেন।

দুই পেসার তাসকিন আর মোস্তাফিজের বলে পাওয়ার প্লে’তে সাজঘরে ফিরেছেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ বাবর আজম আর রিজওয়ান; কিন্তু একমাত্র লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে ১৯ ওভারের মধ্যে একটি ওভার বোলিং করালেন না অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ!

অথচ রিয়াদ নিজে ৩ ওভার (৩ ওভারে ০/১৯) বোলিং করেছেন। এর বাইরে তিন পেসার তাসকিন (৪ ওভারে ২/৩১), মোস্তাফিজ (৪ ওভারে ১/২৬) ও শরিফুল (৪ ওভারে ১/৩১) এবং অফস্পিনার শেখ মেহদিকে পুরো ৪ ওভারের (১/১৭) বোলিং কোটা পূর্ণ করানো হয়েছে। অথচ একদমই ব্যবহার করা হয়নি বিপ্লবকে।

বিশ্বের সব দলই লেগস্পিনারদের দিয়ে সাফল্য কুড়িয়ে নিচ্ছে। এখন টি-২০ ফরম্যাটে লেগস্পিনাররা হলেন ম্যাচ জয়ের হাতিয়ার। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের হারা ম্যাচে ৪ উইকেট দখল করেছিলেন লেগস্পিন গুগলি বোলার শাদাব খান।

এছাড়া অজি লেগি এডাম জাম্পা বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯ রানে ৫ উইকেট দখল করে টাইগারদের ৭৩ রানে অলআউট করে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। ভাবা হচ্ছিল তা দেখেই বুঝি ঘরের মাঠে বাংলাদেশ বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে বাইরে রেখে লেগস্পিনার বিপ্লবকে ১১ জনের দলে রেখেছে!

কিন্তু হায়! শুধু একাদশ থাকাই সার হলো বিপ্লবের। তাকে বোলিং করতে দেয়া হলো শেষ ওভারে। যখন পাকিস্তান প্রায় জয়ের দোরগোড়ায়। এটা এ তরুণের সঙ্গে স্রেফ তামাশা করা ছাড়া আর কী?

এই যে লেগস্পিনারের কোটায় খেলতে নেমে এক ওভার নাম মাত্র বোলিংয়ের সুযোগ পাওয়া, যখন প্রতিপক্ষের প্রয়োজন ২ রানের, হাতে ২ উইকেট- দু’জন সেট ব্যাটসম্যান শাদাব খান (২১) ও মোহাম্মদ নওয়াজ (১৮) ক্রিজে। ওই অবস্থায় একজন বোলারের আর কী করার থাকে?

বিপ্লবও কিছু করতে পারেননি। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হজমই সার হলো। এতে করে তার মনোবল কমবে বৈ বাড়বে না। এমনিতেই দলে লেগস্পিনারের আকাল। অবশেষে যাও বা নেয়া হলো, তারপরও তাকে ব্যবহার করা হলো নামে মাত্র। এভাবে লেগস্পিনারদের নিয়ে বারংবার তামাশা কেন?

শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

কাজে লাগানো হলো না বিপ্লবকে

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

শেরে বাংলায় ১২৭ ও ১২৩ রান করেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। করাচি, ফয়সলাবাদের স্লো পিচে খেলে বড় হওয়া পাকিস্তানিদের এমন স্লো উইকেটে এই রানের মধ্যে আটকে রাখা খুব কঠিন। তারপরও বাংলাদেশের বোলাররা ভালো বল করে খেলাকে শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে গেছেন।

দুই পেসার তাসকিন আর মোস্তাফিজের বলে পাওয়ার প্লে’তে সাজঘরে ফিরেছেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ বাবর আজম আর রিজওয়ান; কিন্তু একমাত্র লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে ১৯ ওভারের মধ্যে একটি ওভার বোলিং করালেন না অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ!

অথচ রিয়াদ নিজে ৩ ওভার (৩ ওভারে ০/১৯) বোলিং করেছেন। এর বাইরে তিন পেসার তাসকিন (৪ ওভারে ২/৩১), মোস্তাফিজ (৪ ওভারে ১/২৬) ও শরিফুল (৪ ওভারে ১/৩১) এবং অফস্পিনার শেখ মেহদিকে পুরো ৪ ওভারের (১/১৭) বোলিং কোটা পূর্ণ করানো হয়েছে। অথচ একদমই ব্যবহার করা হয়নি বিপ্লবকে।

বিশ্বের সব দলই লেগস্পিনারদের দিয়ে সাফল্য কুড়িয়ে নিচ্ছে। এখন টি-২০ ফরম্যাটে লেগস্পিনাররা হলেন ম্যাচ জয়ের হাতিয়ার। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের হারা ম্যাচে ৪ উইকেট দখল করেছিলেন লেগস্পিন গুগলি বোলার শাদাব খান।

এছাড়া অজি লেগি এডাম জাম্পা বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯ রানে ৫ উইকেট দখল করে টাইগারদের ৭৩ রানে অলআউট করে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। ভাবা হচ্ছিল তা দেখেই বুঝি ঘরের মাঠে বাংলাদেশ বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে বাইরে রেখে লেগস্পিনার বিপ্লবকে ১১ জনের দলে রেখেছে!

কিন্তু হায়! শুধু একাদশ থাকাই সার হলো বিপ্লবের। তাকে বোলিং করতে দেয়া হলো শেষ ওভারে। যখন পাকিস্তান প্রায় জয়ের দোরগোড়ায়। এটা এ তরুণের সঙ্গে স্রেফ তামাশা করা ছাড়া আর কী?

এই যে লেগস্পিনারের কোটায় খেলতে নেমে এক ওভার নাম মাত্র বোলিংয়ের সুযোগ পাওয়া, যখন প্রতিপক্ষের প্রয়োজন ২ রানের, হাতে ২ উইকেট- দু’জন সেট ব্যাটসম্যান শাদাব খান (২১) ও মোহাম্মদ নওয়াজ (১৮) ক্রিজে। ওই অবস্থায় একজন বোলারের আর কী করার থাকে?

বিপ্লবও কিছু করতে পারেননি। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হজমই সার হলো। এতে করে তার মনোবল কমবে বৈ বাড়বে না। এমনিতেই দলে লেগস্পিনারের আকাল। অবশেষে যাও বা নেয়া হলো, তারপরও তাকে ব্যবহার করা হলো নামে মাত্র। এভাবে লেগস্পিনারদের নিয়ে বারংবার তামাশা কেন?