বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রীদের জন্য মোট আবাসিক হল ৪টি। এই স্বল্পসংখ্যক হলের বিপরীতে ছাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। আবাসন সংকট মেটাতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নুুন হল নির্মাণের প্রস্তাবনা রয়েছে। সাময়িক সমাধান হিসেবে কিছু ছাত্রীর বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথকেয়ারে রাখা হয়েছে। চারতলা বিশিষ্ট এই হেলথকেয়ারের উপরের দুইতলা ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন অনুষদের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান করছে।
প্রকৃতপক্ষে এটা কোনো হল না হওয়ায় এখানে হলের পরিবেশ বা একটি হলের সাধারণ সুযোগ-সুবিধা কোনোটিই দেয়া হচ্ছে না। খাওয়া-দাওয়া বা ওয়াশরুম এমনকি খাবার পানি সংগ্রহ করতে গেলেও অনেক বেগ পেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। হেলথকেয়ারের ভেতরে বা আশপাশে নেই কোনো ক্যান্টিন বা খাবার হোটেল। যার ফলে প্রত্যেককে খাবারের জন্য নির্ভর করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ের হোটেলগুলোর ওপর।
জব্বারের মোড়সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের খাবার তৈরি করা হয়। ফলে হেলথকেয়ারে থাকা নতুন শিক্ষার্থীদের কোনো না কোনো শারীরিক সমস্যা লেগেই থাকে। তাছাড়া এখানে রান্নার জন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পক্ষে রান্না করাও সম্ভব হয় না। খাবারের এমন সমস্যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। হেলথকেয়ারে থাকা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসম্মত ক্যান্টিন স্থাপনে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শিলমুন নাহার মুন
শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৩
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রীদের জন্য মোট আবাসিক হল ৪টি। এই স্বল্পসংখ্যক হলের বিপরীতে ছাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। আবাসন সংকট মেটাতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নুুন হল নির্মাণের প্রস্তাবনা রয়েছে। সাময়িক সমাধান হিসেবে কিছু ছাত্রীর বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথকেয়ারে রাখা হয়েছে। চারতলা বিশিষ্ট এই হেলথকেয়ারের উপরের দুইতলা ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন অনুষদের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান করছে।
প্রকৃতপক্ষে এটা কোনো হল না হওয়ায় এখানে হলের পরিবেশ বা একটি হলের সাধারণ সুযোগ-সুবিধা কোনোটিই দেয়া হচ্ছে না। খাওয়া-দাওয়া বা ওয়াশরুম এমনকি খাবার পানি সংগ্রহ করতে গেলেও অনেক বেগ পেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। হেলথকেয়ারের ভেতরে বা আশপাশে নেই কোনো ক্যান্টিন বা খাবার হোটেল। যার ফলে প্রত্যেককে খাবারের জন্য নির্ভর করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ের হোটেলগুলোর ওপর।
জব্বারের মোড়সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের খাবার তৈরি করা হয়। ফলে হেলথকেয়ারে থাকা নতুন শিক্ষার্থীদের কোনো না কোনো শারীরিক সমস্যা লেগেই থাকে। তাছাড়া এখানে রান্নার জন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পক্ষে রান্না করাও সম্ভব হয় না। খাবারের এমন সমস্যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। হেলথকেয়ারে থাকা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসম্মত ক্যান্টিন স্থাপনে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শিলমুন নাহার মুন