আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে জাহাঙ্গীর

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু আমি কোন পাপ বা অন্যায় করিনি। আমার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সঠিক তথ্য না দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা ভুল বুঝিয়েছে। ভুল করলে ক্ষমা পাওয়া যায়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চাই। আমি নেতা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। তিনি বলেন, আমি গত দুই মাস যাবৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি। কিন্তু দেখা করতে পারিনি বলে মিথ্যা অপবাদের শিকার হয়েছি।’ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।

মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শনিবার দুপুরে মহানগরীর ছয়দানা এলাকায় তার বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিং-এ এসব কথা বলেন। মেয়র ইতোপূর্বে তার বাসভবনে ঘরোয়া আলাপচারিতায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথিত বিতর্কিত মন্তব্য করায় তাকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কারের ঘটনার ব্যাখ্যায় তিনি এমনটি বলেন। বাসার চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সামনে তার বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় তাকে অত্যন্ত ব্যথাতুর ও অস্ত্রসজল দেখা যায়। এর আগে বাসার দোতলার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে সমবেত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি কথা বলেন। মেয়র কান্নাজড়িত কন্ঠে কথা বলার সময় নেতাকর্মীরাও কাঁদেন। অনেককে বিলাপ করে কাঁদতে দেখা যায়। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও জিসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং সাধারণ নাগরিক মেয়রের বাসায় জড়ো হন। নেতাকর্মীরা মেয়রের সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকেন।

মেয়র বলেন, সিটি নির্বাচনের পূর্ব থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, মহানগরীর ২৮০০ কারখানা থেকে কোন অর্থ সাহায্য নেইনি, বরং তাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছি। আমি যদি অন্যায় করে থাকি তবে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার নয়, আমি নিজে গিয়ে সারেন্ডার করব। আমাকে ফাঁসি দিলেও মেনে নিব। কিন্তু আমার জন্য যেন কোন কর্মী হয়রানির শিকার না হয়। তিনি বলেন, যারা ঘরে গিয়ে গোপনে অডিও করে তারা মানুষও হত্যা করতে পারে। দুই-তিন ঘণ্টার অডিওর মধ্যে কাটছাঁট করে তিন চার মিনিট অথবা ত্রিশ সেকেন্ডের অডিও জোড়া দিয়ে মূল কথা প্রকাশ না করে আংশিক প্রকাশ করে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি আবার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, আমার কাছে আপনি মায়ের স্থানে, আদর্শের স্থানে রয়েছেন।

রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১ , ৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে জাহাঙ্গীর

প্রতিনিধি, গাজীপুর

image

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু আমি কোন পাপ বা অন্যায় করিনি। আমার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সঠিক তথ্য না দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা ভুল বুঝিয়েছে। ভুল করলে ক্ষমা পাওয়া যায়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চাই। আমি নেতা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। তিনি বলেন, আমি গত দুই মাস যাবৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি। কিন্তু দেখা করতে পারিনি বলে মিথ্যা অপবাদের শিকার হয়েছি।’ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।

মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শনিবার দুপুরে মহানগরীর ছয়দানা এলাকায় তার বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিং-এ এসব কথা বলেন। মেয়র ইতোপূর্বে তার বাসভবনে ঘরোয়া আলাপচারিতায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথিত বিতর্কিত মন্তব্য করায় তাকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কারের ঘটনার ব্যাখ্যায় তিনি এমনটি বলেন। বাসার চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সামনে তার বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় তাকে অত্যন্ত ব্যথাতুর ও অস্ত্রসজল দেখা যায়। এর আগে বাসার দোতলার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে সমবেত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি কথা বলেন। মেয়র কান্নাজড়িত কন্ঠে কথা বলার সময় নেতাকর্মীরাও কাঁদেন। অনেককে বিলাপ করে কাঁদতে দেখা যায়। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও জিসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং সাধারণ নাগরিক মেয়রের বাসায় জড়ো হন। নেতাকর্মীরা মেয়রের সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকেন।

মেয়র বলেন, সিটি নির্বাচনের পূর্ব থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, মহানগরীর ২৮০০ কারখানা থেকে কোন অর্থ সাহায্য নেইনি, বরং তাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছি। আমি যদি অন্যায় করে থাকি তবে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার নয়, আমি নিজে গিয়ে সারেন্ডার করব। আমাকে ফাঁসি দিলেও মেনে নিব। কিন্তু আমার জন্য যেন কোন কর্মী হয়রানির শিকার না হয়। তিনি বলেন, যারা ঘরে গিয়ে গোপনে অডিও করে তারা মানুষও হত্যা করতে পারে। দুই-তিন ঘণ্টার অডিওর মধ্যে কাটছাঁট করে তিন চার মিনিট অথবা ত্রিশ সেকেন্ডের অডিও জোড়া দিয়ে মূল কথা প্রকাশ না করে আংশিক প্রকাশ করে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি আবার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, আমার কাছে আপনি মায়ের স্থানে, আদর্শের স্থানে রয়েছেন।