রাজধানীতে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি কারখানায় কাজ করার সময় বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে রিপন দাস (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই শ্যামল কৃষ্ণ দাস জানান, কামরাঙ্গীরচরে বাচ্চাদের প্লাস্টিকের বিভিন্ন খেলনা ও ক্লিপবোর্ড তৈরির একটি কারখানায় কাজ করার সময় বিদুৎস্পৃষ্ট হন রিপন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, নিহত রিপন দাস বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার গাররিয়া গ্রামের মৃত হরিপদ দাসের ছেলে সন্তান। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।
অপরদিকে রাজধানীর দারুসসালাম থানার গাবতলী সিটি কলোনি এলাকার একটি নয়তলা নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে মো. রেজাউল ইসলাম (২৫) নামের এক নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই জাহিদুল ইসলাম জানান, গাবতলী সিটি কলোনি এলাকায় একটি ১৫ তলা ভবন হবে। ওই ভবন নয়তলা কমপ্লিট হয়েছে। নির্মাণাধীন ওই ভবনে বাঁশ বাঁধার সময় হঠাৎ নিচে পড়ে যায় রেজাউল। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বিকেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, নিহত রেজাউল নীলফামারী জেলার ডোমার থানার পশ্চিম সোনারাগা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ইসিবি চত্বর এলাকায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে মো. সাকিব (২৩) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা যান তিনি।
নিহতের সহকর্মী লেবু মিয়া জানান, ক্যান্টনমেন্টের ইসিবি চত্বর এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাজ করার সময় হঠাৎ নিচে পড়ে যান সাকিব। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসলে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানার বসুনিয়া গ্রামে।
নির্মাণশ্রমিক দুজনের মৃত্যুর বিষয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত নির্মাণশ্রমিক দু’জনের ও প্লাস্টিক কারখানার শ্রমিকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত তিন জনের মৃত্যুর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে জানানো হয়েছে।
রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১ , ৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
রাজধানীতে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি কারখানায় কাজ করার সময় বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে রিপন দাস (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই শ্যামল কৃষ্ণ দাস জানান, কামরাঙ্গীরচরে বাচ্চাদের প্লাস্টিকের বিভিন্ন খেলনা ও ক্লিপবোর্ড তৈরির একটি কারখানায় কাজ করার সময় বিদুৎস্পৃষ্ট হন রিপন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, নিহত রিপন দাস বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার গাররিয়া গ্রামের মৃত হরিপদ দাসের ছেলে সন্তান। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।
অপরদিকে রাজধানীর দারুসসালাম থানার গাবতলী সিটি কলোনি এলাকার একটি নয়তলা নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে মো. রেজাউল ইসলাম (২৫) নামের এক নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই জাহিদুল ইসলাম জানান, গাবতলী সিটি কলোনি এলাকায় একটি ১৫ তলা ভবন হবে। ওই ভবন নয়তলা কমপ্লিট হয়েছে। নির্মাণাধীন ওই ভবনে বাঁশ বাঁধার সময় হঠাৎ নিচে পড়ে যায় রেজাউল। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বিকেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, নিহত রেজাউল নীলফামারী জেলার ডোমার থানার পশ্চিম সোনারাগা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ইসিবি চত্বর এলাকায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে মো. সাকিব (২৩) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা যান তিনি।
নিহতের সহকর্মী লেবু মিয়া জানান, ক্যান্টনমেন্টের ইসিবি চত্বর এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাজ করার সময় হঠাৎ নিচে পড়ে যান সাকিব। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসলে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানার বসুনিয়া গ্রামে।
নির্মাণশ্রমিক দুজনের মৃত্যুর বিষয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত নির্মাণশ্রমিক দু’জনের ও প্লাস্টিক কারখানার শ্রমিকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত তিন জনের মৃত্যুর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে জানানো হয়েছে।