সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ভারতের জন্য লজ্জাজনক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার চায় না সীমান্তে একটি লোকও মারা যাক। এ নিয়ে দুই দেশের সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও বৈঠক হয়েছে। এতকিছু হওয়ার পরও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটছে, যা বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক ও ভারতের জন্য লজ্জাজনক।

গতকাল দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সামাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সব দেশ এক বাক্যে রোহিঙ্গারা যাতে তাদের দেশে ফেরত যায় সে ব্যাপারে বলেছে। ইতোমধ্যে রেজুলেশন পাস হয়েছে। আমরা যেটা এতদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মায়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। এর আগে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কথা বললেও তারা তাদের কথা রাখেনি।

ড. মো?মেন বলেন, ‘সারা পৃথিবীর সব দেশ এতদিন ধরে আমরা যেটা প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম, জাতিসংঘে সব দেশ সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন পাস করেছে। এর ফলে আমরা বিশ্বাস করি মায়ানমারের ওপর আরও চাপ পড়বে তাদের লোকগুলো ফেরত নেয়ার জন্য।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে ব?লেন, ‘আশা করা যায় আগামীতে মায়ানমার তাদের নাগরিকদের ফেরত নেবে। কারণ মায়ানমার কখনও বলেনি যে, তারা তাদের নাগরিকদের ফেরত নেবে না। তারা আমাদের সঙ্গে চু?ক্তি করেছে যে, তারা তাদের লোকদের নিয়ে যাবে এবং তারা যাতে স্বেচ্ছায় যায় সেজন্য পরিবেশ সৃষ্টি করবে। আমরা আশা করি, আগামীতে তারা তাদের কথা রাখবে।’

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

এ সময় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১ , ৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ভারতের জন্য লজ্জাজনক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার চায় না সীমান্তে একটি লোকও মারা যাক। এ নিয়ে দুই দেশের সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও বৈঠক হয়েছে। এতকিছু হওয়ার পরও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটছে, যা বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক ও ভারতের জন্য লজ্জাজনক।

গতকাল দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সামাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সব দেশ এক বাক্যে রোহিঙ্গারা যাতে তাদের দেশে ফেরত যায় সে ব্যাপারে বলেছে। ইতোমধ্যে রেজুলেশন পাস হয়েছে। আমরা যেটা এতদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মায়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। এর আগে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কথা বললেও তারা তাদের কথা রাখেনি।

ড. মো?মেন বলেন, ‘সারা পৃথিবীর সব দেশ এতদিন ধরে আমরা যেটা প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম, জাতিসংঘে সব দেশ সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন পাস করেছে। এর ফলে আমরা বিশ্বাস করি মায়ানমারের ওপর আরও চাপ পড়বে তাদের লোকগুলো ফেরত নেয়ার জন্য।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে ব?লেন, ‘আশা করা যায় আগামীতে মায়ানমার তাদের নাগরিকদের ফেরত নেবে। কারণ মায়ানমার কখনও বলেনি যে, তারা তাদের নাগরিকদের ফেরত নেবে না। তারা আমাদের সঙ্গে চু?ক্তি করেছে যে, তারা তাদের লোকদের নিয়ে যাবে এবং তারা যাতে স্বেচ্ছায় যায় সেজন্য পরিবেশ সৃষ্টি করবে। আমরা আশা করি, আগামীতে তারা তাদের কথা রাখবে।’

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

এ সময় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।