শরণখোলায় ইজারা খেয়াঘাটের টোল আদায় ফেরির! উত্তেজনা

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা-বড়মাছুয়া খেয়াঘাট ইজারা নিয়ে নব-চালিত ফেরির টোল আদায়কে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে। খেয়াঘাট থেকে ফেরিঘাটের দূরত্ব প্রায় ৫০০ মিটার। কিন্তু খেয়ার ইজারা নিয়ে ফেরিঘাটে এসে টোল আদায় করছেন ওই ইজারাদার। যা নিয়ে শরণখোলা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ভুক্তভোগী মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবাদে গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে শরণখোলা এলাকাবাসী রায়েন্দা পাড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও বড়মাছুয়া পারে ফেরিতে মানববন্ধন করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটের শরণখোলা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মধ্যবর্তী তিন কিলোমিটার চওড়া বলেশ্বর নদে খেয়া পারাপারে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দুই উপজেলাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে গেল ১০ নবেম্বর পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. রুস্তুল আলী ফরাজী ও বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলনের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে বলেশ্বর নদে ফেরি চালু হয়। ফেরি চালু হওয়ায় উপকূলীয় বরগুনা, পাথরঘাটা, মঠবাড়িয়া, শরণখোলা, মেরেলগঞ্জ ও মোংলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়ে যায়। কিন্তু খেয়াঘাট ইজারাদার অবৈধভাবে শুক্রবার থেকে ফেরিঘাটে এসে টোল আদায় শুরু করেন। ঘাটে টোল ঘর নির্মাণ করে বেড়া দিয়ে গেট বানিয়ে টোল আদায় করায় ভুক্তভোগী মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে রায়েন্দা ঘাটপাড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। একপর্যায়ে বেড়া ও টোলঘর ভেঙ্গে দেয় তারা। মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া ইউপি সদস্য মো. কাইয়ুম হোসেন, স্কুল শিক্ষক আলী হায়দার সোহেল, শরণখোলা উপজেলা তাতী লীগের নেতা শাহিন হোসেন, তাইজুল ইসলাম মিরাজ বলেন, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে খেয়াঘাটের ইজারা নিয়ে সড়ক বিভাগের ফেরিঘাটে টোল আদায় করা জনসাধারনের সঙ্গে চরম অন্যায় করা হচ্ছে। শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, এ ঘটনায় সরকারে ভাবমূর্তি ক্ষুণœœ হচ্ছে। শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত বলেন, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন থেকে খেয়াঘাটের ইজারাদার ফেরিঘাটে গিয়ে টোল আদায় করতে পারবে না। জানতে চাইলে রায়েন্দা-বড়মাছুয়া খেয়াঘাটের ইজারাদার মো. সালাম হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকায় খেয়ার ইজারা নিয়েছি। কিন্তু ফেরি চালু হওয়ার পর থেকে আমাদের লোকসান হলে টাকা ফেরত চেয়ে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করলে সেখানে নির্দেশনা অনুযায়ী টোল আদায় শুরু করি। কিন্তু ইজারা না পেয়ে আমাদের প্রতিপক্ষরা টোলঘর ভেঙ্গে দিয়েছে।

সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৩

শরণখোলায় ইজারা খেয়াঘাটের টোল আদায় ফেরির! উত্তেজনা

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা-বড়মাছুয়া খেয়াঘাট ইজারা নিয়ে নব-চালিত ফেরির টোল আদায়কে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে। খেয়াঘাট থেকে ফেরিঘাটের দূরত্ব প্রায় ৫০০ মিটার। কিন্তু খেয়ার ইজারা নিয়ে ফেরিঘাটে এসে টোল আদায় করছেন ওই ইজারাদার। যা নিয়ে শরণখোলা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ভুক্তভোগী মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবাদে গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে শরণখোলা এলাকাবাসী রায়েন্দা পাড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও বড়মাছুয়া পারে ফেরিতে মানববন্ধন করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটের শরণখোলা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মধ্যবর্তী তিন কিলোমিটার চওড়া বলেশ্বর নদে খেয়া পারাপারে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দুই উপজেলাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে গেল ১০ নবেম্বর পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. রুস্তুল আলী ফরাজী ও বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলনের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে বলেশ্বর নদে ফেরি চালু হয়। ফেরি চালু হওয়ায় উপকূলীয় বরগুনা, পাথরঘাটা, মঠবাড়িয়া, শরণখোলা, মেরেলগঞ্জ ও মোংলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়ে যায়। কিন্তু খেয়াঘাট ইজারাদার অবৈধভাবে শুক্রবার থেকে ফেরিঘাটে এসে টোল আদায় শুরু করেন। ঘাটে টোল ঘর নির্মাণ করে বেড়া দিয়ে গেট বানিয়ে টোল আদায় করায় ভুক্তভোগী মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে রায়েন্দা ঘাটপাড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। একপর্যায়ে বেড়া ও টোলঘর ভেঙ্গে দেয় তারা। মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া ইউপি সদস্য মো. কাইয়ুম হোসেন, স্কুল শিক্ষক আলী হায়দার সোহেল, শরণখোলা উপজেলা তাতী লীগের নেতা শাহিন হোসেন, তাইজুল ইসলাম মিরাজ বলেন, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে খেয়াঘাটের ইজারা নিয়ে সড়ক বিভাগের ফেরিঘাটে টোল আদায় করা জনসাধারনের সঙ্গে চরম অন্যায় করা হচ্ছে। শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, এ ঘটনায় সরকারে ভাবমূর্তি ক্ষুণœœ হচ্ছে। শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত বলেন, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন থেকে খেয়াঘাটের ইজারাদার ফেরিঘাটে গিয়ে টোল আদায় করতে পারবে না। জানতে চাইলে রায়েন্দা-বড়মাছুয়া খেয়াঘাটের ইজারাদার মো. সালাম হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকায় খেয়ার ইজারা নিয়েছি। কিন্তু ফেরি চালু হওয়ার পর থেকে আমাদের লোকসান হলে টাকা ফেরত চেয়ে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করলে সেখানে নির্দেশনা অনুযায়ী টোল আদায় শুরু করি। কিন্তু ইজারা না পেয়ে আমাদের প্রতিপক্ষরা টোলঘর ভেঙ্গে দিয়েছে।