সিডস ফর দ্য ফিউচার : চীনের ট্রেনিং শেষে এখন গ্লোবাল কম্পিটিশনে বাংলাদেশ দল

হুয়াওয়ে সদর দপ্তরের সমন্বয়ে এক অনলাইন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১-এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার দেশের আটটি স্বনামধন্য বিশ^বিদ্যালয় থেকে এই কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত সেরা ১৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ও প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা। এ বছর বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়ে সদর দপ্তর থেকে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ পান এবং প্রযুক্তিগত নানাবিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেন। টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক, আইসিটি’র গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, ফাইভজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদি বিষয়ে তারা ধারণা লাভ করেন। এর পাশাপাশি, এ প্রোগ্রামে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে একটি বিশেষ সেশনেও অংশ নেন। ‘Tech4all’ (টেক ফর অল) থীমের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা তাদের প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন জমা দিয়েছে যা এই প্রতিযোগিতার পরবর্তী রাউন্ডের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই রাউন্ডে ১৩০টি দেশ ও অঞ্চলের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। বিভিন্ন মাপকাঠির বিচারে শীর্ষ তিনটি প্রকল্প ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ঘোষণা করা হবে।

গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, যেকোনো উন্নয়নেরই মূল শক্তি হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। তাই, তাদের ইতিবাচক দিকে উৎসাহিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার এমন একটি প্রোগ্রাম, যা তরুণদের আইসিটি দক্ষতা বিকাশের মধ্য দিয়ে তাদের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এই প্রোগ্রামটি কেবল শিক্ষার্থীদের নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে সহায়তা করবে না, তাদের নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের অসংখ্য উদ্ভাবনী আইডিয়া রয়েছে। সঠিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে তারা এসব আইডিয়াকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবে। বিশ^বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা এ ব্যাপারে সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু, ইকোসিস্টেমও গুরুত্বপূর্ণ। সবসময় আমাদের পাশে থেকে ভবিষ্যতের কল্যাণে আইসিটি’তে দক্ষ জনবল গড়ে তোলায় কাজ করার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই। আমি মনে করি, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু শিখেছে, যা তারা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাবে।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক জনসম্পদ রয়েছে, যার একটি বড় অংশ হল প্রতিভাবান তরুণ। হুয়াওয়ে বিশ^াস করে ডিজিটাল অগ্রগতির পাশাপাশি উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তরুণ সমাজ। হুয়াওয়ে তরুণদের মূল্যবান বলে মনে করে এবং তাদের দক্ষতাকে মূল্যায়ন করে। তারা যাতে সঠিক পথ বেছে নিতে পারে, তাদের নিজেদের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে, এজন্য তাদের সঠিক পথ দেখানোকে আমরা দায়িত্ব বলে মনে করি। এই অনুপ্রেরণা থেকেই হুয়াওয়ে দেশে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হুয়াং বাওশিওং বলেন, হুয়াওয়ে তরুণদের অঙ্কুর হিসেবে বিবেচনা করে। তারা উদ্ভাবক, সৃষ্টিশীল এবং নেতৃত্বের অধিকারী; এবং তারাই একটি টেকসই সমৃদ্ধির দিকে বিশ^কে পরিচালিত করবে। আর তাই, তাদের শিক্ষানুরাগী, সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম উদ্যোক্তা ও ডেভেলপার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এটিই সিডস ফর দ্য ফিউচারের লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এ বছর বাংলাদেশে সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রাম শুরু হয়। প্রোগ্রামের ঘোষণার পর, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (কুয়েট) এর পাশাপাশি প্রথমবারের মতো বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় অংশ নেয় যেখানে ছিল ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি। পাশাপাশি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজি (আইইউটি) এর মতো আন্তর্জাতিক বিশ^বিদ্যালয়। পরবর্তীতে, বাছাই পর্বের মাধ্যমে এ বিশ^বিদ্যালয়গুলো থেকে ১৬ জন দক্ষ মেধাবী শিক্ষার্থী (প্রতিটি বিশ^বিদ্যালয় থেকে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে শিক্ষার্থী) নির্বাচিত হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৩

সিডস ফর দ্য ফিউচার : চীনের ট্রেনিং শেষে এখন গ্লোবাল কম্পিটিশনে বাংলাদেশ দল

image

হুয়াওয়ে সদর দপ্তরের সমন্বয়ে এক অনলাইন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১-এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার দেশের আটটি স্বনামধন্য বিশ^বিদ্যালয় থেকে এই কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত সেরা ১৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ও প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা। এ বছর বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়ে সদর দপ্তর থেকে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ পান এবং প্রযুক্তিগত নানাবিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেন। টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক, আইসিটি’র গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, ফাইভজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদি বিষয়ে তারা ধারণা লাভ করেন। এর পাশাপাশি, এ প্রোগ্রামে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে একটি বিশেষ সেশনেও অংশ নেন। ‘Tech4all’ (টেক ফর অল) থীমের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা তাদের প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন জমা দিয়েছে যা এই প্রতিযোগিতার পরবর্তী রাউন্ডের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই রাউন্ডে ১৩০টি দেশ ও অঞ্চলের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। বিভিন্ন মাপকাঠির বিচারে শীর্ষ তিনটি প্রকল্প ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ঘোষণা করা হবে।

গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, যেকোনো উন্নয়নেরই মূল শক্তি হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। তাই, তাদের ইতিবাচক দিকে উৎসাহিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার এমন একটি প্রোগ্রাম, যা তরুণদের আইসিটি দক্ষতা বিকাশের মধ্য দিয়ে তাদের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এই প্রোগ্রামটি কেবল শিক্ষার্থীদের নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে সহায়তা করবে না, তাদের নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের অসংখ্য উদ্ভাবনী আইডিয়া রয়েছে। সঠিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে তারা এসব আইডিয়াকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবে। বিশ^বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা এ ব্যাপারে সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু, ইকোসিস্টেমও গুরুত্বপূর্ণ। সবসময় আমাদের পাশে থেকে ভবিষ্যতের কল্যাণে আইসিটি’তে দক্ষ জনবল গড়ে তোলায় কাজ করার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই। আমি মনে করি, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু শিখেছে, যা তারা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাবে।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক জনসম্পদ রয়েছে, যার একটি বড় অংশ হল প্রতিভাবান তরুণ। হুয়াওয়ে বিশ^াস করে ডিজিটাল অগ্রগতির পাশাপাশি উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তরুণ সমাজ। হুয়াওয়ে তরুণদের মূল্যবান বলে মনে করে এবং তাদের দক্ষতাকে মূল্যায়ন করে। তারা যাতে সঠিক পথ বেছে নিতে পারে, তাদের নিজেদের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে, এজন্য তাদের সঠিক পথ দেখানোকে আমরা দায়িত্ব বলে মনে করি। এই অনুপ্রেরণা থেকেই হুয়াওয়ে দেশে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হুয়াং বাওশিওং বলেন, হুয়াওয়ে তরুণদের অঙ্কুর হিসেবে বিবেচনা করে। তারা উদ্ভাবক, সৃষ্টিশীল এবং নেতৃত্বের অধিকারী; এবং তারাই একটি টেকসই সমৃদ্ধির দিকে বিশ^কে পরিচালিত করবে। আর তাই, তাদের শিক্ষানুরাগী, সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম উদ্যোক্তা ও ডেভেলপার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এটিই সিডস ফর দ্য ফিউচারের লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এ বছর বাংলাদেশে সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রাম শুরু হয়। প্রোগ্রামের ঘোষণার পর, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (কুয়েট) এর পাশাপাশি প্রথমবারের মতো বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় অংশ নেয় যেখানে ছিল ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি। পাশাপাশি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজি (আইইউটি) এর মতো আন্তর্জাতিক বিশ^বিদ্যালয়। পরবর্তীতে, বাছাই পর্বের মাধ্যমে এ বিশ^বিদ্যালয়গুলো থেকে ১৬ জন দক্ষ মেধাবী শিক্ষার্থী (প্রতিটি বিশ^বিদ্যালয় থেকে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে শিক্ষার্থী) নির্বাচিত হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।