নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী মেম্বারের সমর্থকদের সঙ্গে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত আট জন আহত হয়েছেন। গত শনিবার রাতে উপজেলার বড়ালু পাড়াগাঁও এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১১ নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে সাবেক মেম্বার মহিউদ্দিনকে পরাজিত করে মানিক মিয়া বিজয়ী হয়। বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকদের মাঝে বিভিন্ন সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। শনিবার রাত ৮টার দিকে বিজয়ী মেম্বার মানিক মিয়ার সমর্থকরা বড়ালু পাড়াগাঁও এলাকায় একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মহিউদ্দিনের অফিসের সামনে আসলে দুই পক্ষের সমর্থকরা তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পথচারীসহ উভয় পক্ষের আলতাফ হোসেন, মহিবুর রহমান, সালাউদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন, মধুবালাসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আলতাফ হোসেন ও মধাবালাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে পরাজিত মেম্বার মহিউদ্দিন দাবি করেন, তার অফিসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় মানিক মিয়ার লোকজন। খবর পেয়ে রুপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ বিষয়ে রুপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ ফের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী মেম্বারের সমর্থকদের সঙ্গে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত আট জন আহত হয়েছেন। গত শনিবার রাতে উপজেলার বড়ালু পাড়াগাঁও এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১১ নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে সাবেক মেম্বার মহিউদ্দিনকে পরাজিত করে মানিক মিয়া বিজয়ী হয়। বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকদের মাঝে বিভিন্ন সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। শনিবার রাত ৮টার দিকে বিজয়ী মেম্বার মানিক মিয়ার সমর্থকরা বড়ালু পাড়াগাঁও এলাকায় একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মহিউদ্দিনের অফিসের সামনে আসলে দুই পক্ষের সমর্থকরা তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পথচারীসহ উভয় পক্ষের আলতাফ হোসেন, মহিবুর রহমান, সালাউদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন, মধুবালাসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আলতাফ হোসেন ও মধাবালাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে পরাজিত মেম্বার মহিউদ্দিন দাবি করেন, তার অফিসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় মানিক মিয়ার লোকজন। খবর পেয়ে রুপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ বিষয়ে রুপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ ফের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।