বাঁধে ফেলতে না ফেলতেই ফেটে যাচ্ছে বালুর বস্তা!

নওগাঁর মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর বাঁধ সংস্কারে নিম্নœমানের চটের বস্তা ব্যবহারের অভিযোগ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছেন নিম্নœমানের বস্তা সরিয়ে নেয়া হবে। উপজেলা সদরের দশকলোনী এলাকায় আত্রাই নদীর পূর্বপারে সিসি ব্লক ফেলে বাঁধ সংস্কার করা হবে। এরআগে নদীতে চটের বস্তায় ও জিও ব্যাগে ভরে বালু ফেলা হচ্ছে। এর ওপর ব্লক সাজানো হবে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন যে, এই কাজে সম্পূর্ণ নতুন চটের বস্তা ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতীয় প্রায় নষ্ট হওয়া নিম্নœমানের বস্তা। এসব বস্তার কোন কোনটিতে বালু ভরার সময়, আবার কোনটাতে বালু ভরে নদীতে ফেলার সময় ফেটে যাচ্ছে। নদীতে ফেলা বালু যাতে পানির স্র্রোতে ভেঁসে না যায় সেজন্য বস্তায় ভরে বালু ফেলা হলেও বস্তা ফেটে যাওয়ায় সে উদ্দেশ্য ব্যহত হচ্ছে। গত রোববার বিকেলে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকেরা বস্তায় বালু ভরে জমা করছেন। পরে এগুলো নদীতে ফেলা হবে। বস্তাগুলোর গায়ে হিন্দি ভাষায় লেখা রয়েছে। নি¤œমানের এসব বস্তার অনেকগুলো পানিতে ভিজে রঙ নষ্ট হওয়া, প্রায় পঁচে যাওয়া। এগুলোই ব্যবহার করা হচ্ছে। শ্রমিকেরা জানালেন একাজের ঠিকাদার নওগাঁর রেজু শেখ। প্রকল্প এলাকায় পাওয়া গেল ঠিকাদারের ভাগ্নে নসিবকে। তিনি ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানালেন, যেসব বস্তা খারাপ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে পানি উন্নয়ন বোর্ড নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খান জানান, নওগাঁর ধামইরহাট, পতœীতলা ও মহাদেবপুর উপজেলার আত্রাই নদীর বাঁধ সংস্কারের জন্য ১৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে মহাদেবপুর দশকলোনী এলাকায় হবে ৫০০ মিটার। প্রকল্পের আওতায় প্রথমে নদীতে চটের বস্তায় ভরে বালু ফেলা হবে। তার ওপর ফেলা হবে জিও ব্যাগে ভরে বালু। তার ওপর সাজানো হবে সিসি ব্লক। তিনি জানান, এখানে নিম্নœমানের বস্তা ব্যবহারের অভিযোগ পেয়েছেন। তবে সেসব নিম্নœমানের বস্তা বাতিল করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৩

বাঁধে ফেলতে না ফেলতেই ফেটে যাচ্ছে বালুর বস্তা!

প্রতিনিধি, মহাদেবপুর (নওগাঁ)

image

মহাদেবপুর (নওগাঁ) : আত্রাইয় নদীর বাঁধে ফেলার আগে সাজিয়ে রাখা বালুভর্তি নিম্নমানের চটের বস্তা -সংবাদ

নওগাঁর মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর বাঁধ সংস্কারে নিম্নœমানের চটের বস্তা ব্যবহারের অভিযোগ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছেন নিম্নœমানের বস্তা সরিয়ে নেয়া হবে। উপজেলা সদরের দশকলোনী এলাকায় আত্রাই নদীর পূর্বপারে সিসি ব্লক ফেলে বাঁধ সংস্কার করা হবে। এরআগে নদীতে চটের বস্তায় ও জিও ব্যাগে ভরে বালু ফেলা হচ্ছে। এর ওপর ব্লক সাজানো হবে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন যে, এই কাজে সম্পূর্ণ নতুন চটের বস্তা ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতীয় প্রায় নষ্ট হওয়া নিম্নœমানের বস্তা। এসব বস্তার কোন কোনটিতে বালু ভরার সময়, আবার কোনটাতে বালু ভরে নদীতে ফেলার সময় ফেটে যাচ্ছে। নদীতে ফেলা বালু যাতে পানির স্র্রোতে ভেঁসে না যায় সেজন্য বস্তায় ভরে বালু ফেলা হলেও বস্তা ফেটে যাওয়ায় সে উদ্দেশ্য ব্যহত হচ্ছে। গত রোববার বিকেলে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকেরা বস্তায় বালু ভরে জমা করছেন। পরে এগুলো নদীতে ফেলা হবে। বস্তাগুলোর গায়ে হিন্দি ভাষায় লেখা রয়েছে। নি¤œমানের এসব বস্তার অনেকগুলো পানিতে ভিজে রঙ নষ্ট হওয়া, প্রায় পঁচে যাওয়া। এগুলোই ব্যবহার করা হচ্ছে। শ্রমিকেরা জানালেন একাজের ঠিকাদার নওগাঁর রেজু শেখ। প্রকল্প এলাকায় পাওয়া গেল ঠিকাদারের ভাগ্নে নসিবকে। তিনি ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানালেন, যেসব বস্তা খারাপ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে পানি উন্নয়ন বোর্ড নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খান জানান, নওগাঁর ধামইরহাট, পতœীতলা ও মহাদেবপুর উপজেলার আত্রাই নদীর বাঁধ সংস্কারের জন্য ১৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে মহাদেবপুর দশকলোনী এলাকায় হবে ৫০০ মিটার। প্রকল্পের আওতায় প্রথমে নদীতে চটের বস্তায় ভরে বালু ফেলা হবে। তার ওপর ফেলা হবে জিও ব্যাগে ভরে বালু। তার ওপর সাজানো হবে সিসি ব্লক। তিনি জানান, এখানে নিম্নœমানের বস্তা ব্যবহারের অভিযোগ পেয়েছেন। তবে সেসব নিম্নœমানের বস্তা বাতিল করা হচ্ছে।