রূপগঞ্জে ইটভাটাসহ ৮৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ইটভাটা ও টিকে গ্রুপের অবৈধ স্থাপনাসহ প্রায় ৮৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। গতকাল বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার তারাব পৌরসভা, কাঞ্চন পৌরসভা ও দাউদপুর ইউনিয়ন এলাকায় চলে এ উচ্ছেদ অভিযান। তারাব পৌরসভা এলাকায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন, বিআইডব্লিউটি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোভন রাংসার। আরও উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক ইসমাইল হোসেন, সীমানা পিলার এবং ওয়াকওয়ে প্রকল্পের পরিচালক শাহনেওয়াজ কবির প্রমুখ।

অভিযানকালে তারাবো এলাকায় সুলতানা কামাল সেতু সংলগ্ন টিকে গ্রুপের বাউন্ডারি দেয়ালসহ ৬টি টিনশেড স্থাপনা, তারাবো বাজার এলাকায় নদীর জমি দখল করে গড়ে তোলা ১টি পাকা দোতলা ভবনের আংশিক, ১০টি সেমিপাকা দোকান, ৬টি করাতকলের বর্ধিতাংশ, ১১টি কাঁচাপাকা স্থাপনাসহ ৩৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় নদীর কমপক্ষে দেড় একর জমি দখলমুক্ত করা হয়। উচ্ছেদকৃত জমিতে শীঘ্রই সীমানা পিলার স্থাপন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, কাঞ্চন পৌর এলাকা শীতলক্ষ্যা নদীর তীর থেকে শুরু করে দাউদপুর ইউনিয়ন এলাকার ১৫টি ইটভাটাসহ প্রায় ৫০টি অবৈধভাবে দখল করা জমি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দখলমুক্ত করা হয়। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন, বিআইডব্লিউটি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দুল্লাহ। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঘোড়াশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক নুর হোসেন, তিতাস গ্যাস রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও শাখার কারিগরি টেকনিশিয়ান আরিফ হোসেন, খৈয়াম ব্যাপারীসহ আরও অনেকে।

বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিএস জরিপ অনুযায়ী নতুন সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ চলছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নতুন সীমানা পিলার স্থাপন নিয়ে জটিলতা ছিল। সেগুলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরসন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর তীরভূমি উদ্ধার করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজও যাতে দ্রুত শুরু করা যায় সে লক্ষ্যে নদীর দু’পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এছাড়া শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।

ঘোড়াশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মো. নুর হোসেন বলেন, আজকে ১৫টি ইটভাটাসহ মোট ৫০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আগামীকালও এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আরও খবর

মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৩

রূপগঞ্জে ইটভাটাসহ ৮৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ

প্রতিনিধি, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ইটভাটা ও টিকে গ্রুপের অবৈধ স্থাপনাসহ প্রায় ৮৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। গতকাল বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার তারাব পৌরসভা, কাঞ্চন পৌরসভা ও দাউদপুর ইউনিয়ন এলাকায় চলে এ উচ্ছেদ অভিযান। তারাব পৌরসভা এলাকায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন, বিআইডব্লিউটি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোভন রাংসার। আরও উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক ইসমাইল হোসেন, সীমানা পিলার এবং ওয়াকওয়ে প্রকল্পের পরিচালক শাহনেওয়াজ কবির প্রমুখ।

অভিযানকালে তারাবো এলাকায় সুলতানা কামাল সেতু সংলগ্ন টিকে গ্রুপের বাউন্ডারি দেয়ালসহ ৬টি টিনশেড স্থাপনা, তারাবো বাজার এলাকায় নদীর জমি দখল করে গড়ে তোলা ১টি পাকা দোতলা ভবনের আংশিক, ১০টি সেমিপাকা দোকান, ৬টি করাতকলের বর্ধিতাংশ, ১১টি কাঁচাপাকা স্থাপনাসহ ৩৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় নদীর কমপক্ষে দেড় একর জমি দখলমুক্ত করা হয়। উচ্ছেদকৃত জমিতে শীঘ্রই সীমানা পিলার স্থাপন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, কাঞ্চন পৌর এলাকা শীতলক্ষ্যা নদীর তীর থেকে শুরু করে দাউদপুর ইউনিয়ন এলাকার ১৫টি ইটভাটাসহ প্রায় ৫০টি অবৈধভাবে দখল করা জমি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দখলমুক্ত করা হয়। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন, বিআইডব্লিউটি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দুল্লাহ। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঘোড়াশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক নুর হোসেন, তিতাস গ্যাস রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও শাখার কারিগরি টেকনিশিয়ান আরিফ হোসেন, খৈয়াম ব্যাপারীসহ আরও অনেকে।

বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিএস জরিপ অনুযায়ী নতুন সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ চলছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নতুন সীমানা পিলার স্থাপন নিয়ে জটিলতা ছিল। সেগুলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরসন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর তীরভূমি উদ্ধার করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজও যাতে দ্রুত শুরু করা যায় সে লক্ষ্যে নদীর দু’পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এছাড়া শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।

ঘোড়াশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মো. নুর হোসেন বলেন, আজকে ১৫টি ইটভাটাসহ মোট ৫০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আগামীকালও এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।