প্লাস্টিকের বিনিময়

পরিবেশের সচেতনতা বাড়াতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। সারাদেশের শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট নির্ভরতা বেড়েছে। তাই শহরে-গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তাদের বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে হবে। প্লাস্টিকের বিনিময়ে তাদের বই হাতে তুলে দেয়া যেতে পারে। এ উদ্যোগটি নিতে হবে প্রতিটি লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ানকে। বইগুলি সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে দিতে হবে। লাইব্রেরিয়ান তিন চাকার গাড়ি নিয়ে একটা নিয়ম করে বিভিন্ন এলাকায় যাবেন। শিশুরা কুড়িয়ে আনা প্লাস্টিক তুলে দিবে লাইব্রেরিয়ানের হাতে, এর বিনিময়ে শিশু -কিশোররা পাবে মজার মজার বই।

এমন ব্যবস্থা চালু করতে পারলে একদিকে শিশু-কিশোরদের বই পড়তে উদ্ধুদ্ধ করা যাবে। পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতাও বাড়ানো যাবে। কুড়িয়ে পাওয়া প্লস্টিকের কাপ, বোতল, ব্যাগ ইত্যাদির বিনিময়ে ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার থেকে বই নিয়ে শিশু-কিশোররাই যে শুধু উপকৃত হবে, তা কিন্তু নয়। বাংলাদেশের পরিবেশ দূষণে অন্যতম কারণ প্লাস্টিক। আর সংগৃহীত এসব প্লাস্টিক পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে এগুলো পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করা যাবে। সারাদেশে তিন চাকার পাঠাগার গড়ে প্লাস্টিকের সামগ্রী নিয়ে বই দেয়ার কর্মসূচি এখনই নেয়া দরকার।

কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করে পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে এ ধরনের আবর্জনা কমানোর কাজ গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে। প্লাস্টিকের বিনিময়ে বই দেয়া হলে পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবেন।

লিয়াকত হোসেন খোকন

মিরপুর, ঢাকা

মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৩

প্লাস্টিকের বিনিময়

পরিবেশের সচেতনতা বাড়াতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। সারাদেশের শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট নির্ভরতা বেড়েছে। তাই শহরে-গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তাদের বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে হবে। প্লাস্টিকের বিনিময়ে তাদের বই হাতে তুলে দেয়া যেতে পারে। এ উদ্যোগটি নিতে হবে প্রতিটি লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ানকে। বইগুলি সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে দিতে হবে। লাইব্রেরিয়ান তিন চাকার গাড়ি নিয়ে একটা নিয়ম করে বিভিন্ন এলাকায় যাবেন। শিশুরা কুড়িয়ে আনা প্লাস্টিক তুলে দিবে লাইব্রেরিয়ানের হাতে, এর বিনিময়ে শিশু -কিশোররা পাবে মজার মজার বই।

এমন ব্যবস্থা চালু করতে পারলে একদিকে শিশু-কিশোরদের বই পড়তে উদ্ধুদ্ধ করা যাবে। পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতাও বাড়ানো যাবে। কুড়িয়ে পাওয়া প্লস্টিকের কাপ, বোতল, ব্যাগ ইত্যাদির বিনিময়ে ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার থেকে বই নিয়ে শিশু-কিশোররাই যে শুধু উপকৃত হবে, তা কিন্তু নয়। বাংলাদেশের পরিবেশ দূষণে অন্যতম কারণ প্লাস্টিক। আর সংগৃহীত এসব প্লাস্টিক পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে এগুলো পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করা যাবে। সারাদেশে তিন চাকার পাঠাগার গড়ে প্লাস্টিকের সামগ্রী নিয়ে বই দেয়ার কর্মসূচি এখনই নেয়া দরকার।

কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করে পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে এ ধরনের আবর্জনা কমানোর কাজ গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে। প্লাস্টিকের বিনিময়ে বই দেয়া হলে পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবেন।

লিয়াকত হোসেন খোকন

মিরপুর, ঢাকা