চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) আগামী ২৭ নভেম্বর খুলে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ থাকা চমেক খুলে দেয়ার ব্যাপারে সভা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে ৩০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চমেক একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান চমেকের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান খান চমেকের অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। এ সময় তদন্ত দলের পাঁচ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেকের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, প্রতিবেদনে কিছু পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। কোন সুপারিশ করা হয়নি। সংঘর্ষের ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের দুই পক্ষকে দায়ী করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি মূলত ওই দিনের সংঘর্ষে আহত ও প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
এদিকে চমেক অধ্যক্ষ জানান, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে। সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকার পরেও তারা তা করেছে। এছাড়া নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। মূলত এসব কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে ৮ জনকে দুই বছর, দু’জনকে দেড় বছর ও ২০ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে। সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও তারা তা করেছে।
তিনি আরও বলেন, কলেজে সভা-সমাবেশও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ আইন ভাঙলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাত্রীদের হল খুলে দেয়া হবে। ছাত্রদের হল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ছেলেদের হলের সিট বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে সিট বরাদ্দ দিয়ে হল খোলা হবে। এর জন্য আবেদন করতে হবে। কলেজ খোলা থাকলেও ছেলেদের হল বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর ও ৩০ অক্টোবর চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) আগামী ২৭ নভেম্বর খুলে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ থাকা চমেক খুলে দেয়ার ব্যাপারে সভা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে ৩০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চমেক একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান চমেকের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান খান চমেকের অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। এ সময় তদন্ত দলের পাঁচ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেকের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, প্রতিবেদনে কিছু পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। কোন সুপারিশ করা হয়নি। সংঘর্ষের ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের দুই পক্ষকে দায়ী করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি মূলত ওই দিনের সংঘর্ষে আহত ও প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
এদিকে চমেক অধ্যক্ষ জানান, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে। সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকার পরেও তারা তা করেছে। এছাড়া নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। মূলত এসব কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে ৮ জনকে দুই বছর, দু’জনকে দেড় বছর ও ২০ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে। সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও তারা তা করেছে।
তিনি আরও বলেন, কলেজে সভা-সমাবেশও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ আইন ভাঙলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাত্রীদের হল খুলে দেয়া হবে। ছাত্রদের হল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ছেলেদের হলের সিট বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে সিট বরাদ্দ দিয়ে হল খোলা হবে। এর জন্য আবেদন করতে হবে। কলেজ খোলা থাকলেও ছেলেদের হল বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর ও ৩০ অক্টোবর চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।