বিএনপির আইনজীবীদের স্মারকলিপি, গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস আইনমন্ত্রীর

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। জবাবে আইনমন্ত্রী বলেছেন, আইনজীবীদের দেয়া ওই স্মারকলিপি তিনি ‘গুরুত্ব দিয়ে’ দেখবেন।

গতকাল দুপুর পৌনে ২টার দিকে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেন ১৫ জন আইনজীবী। পরে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই এক সময় কলিগ ছিলাম। আমি এখনও আপনাদের একজন। কথা হচ্ছে ৪০১ ধারা, এই আলোচনায় আপনাদের সঙ্গে যেতে চাই না। আপনারা আমার অতিথি। আমাদের স্বাভাবিক আইনের মতপার্থক্য থাকবে। আমারও আপনাদের সঙ্গে আইনে মতপার্থক্য আছে। আপনারা ৪০১ ধারার উপধারা ১ এর কথা বলেছেন, সেখানে কোথাও বলা নেই বিদেশে যাওয়া যাবে না। সেখানে একটা কথা বলা আছে, শর্তযুক্ত বা শর্তমুক্ত। সেখানে (খালেদা জিয়াকে) দুটি শর্ত দেয়া হয়েছিল।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা স্মারকলিপি দিয়েছেন। এটা আমি অবশ্যই এক্সামিন করবো। আপনারা জানেন, এখানে সিদ্ধান্ত এবং মতামতের বিষয়ে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন আছে। সেটাও আমরা করবো। আমি শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই একটা কথা, যখন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হয়, তখন পরিবারের যে আবেদন সেটা মানবিক দিক থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছিলেন। তখন কোন দাবি কিন্তু তুলতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাকে মুক্ত করেছিলেন। মানবিকতার কমতি আমাদের নেই। আমরা মানবিকতা দেখাতে জানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই মানবিকতা দেখাতে জানেন।

আমি আপনাদের স্মারকলিপি নিলাম। আলাপ-আলোচনা করলাম। আমি মনে করি, এখন আপনাদের যদি কিছু বলে দিই সেটা ঠিক হবে না। আমাকে একটু সময় দেন, আমি এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবো। কেউ জানে বেঁচে না থাকুক সেটা আমাদের উদ্দেশ্য না। চিকিৎসা তো হচ্ছে এখানে সেটাও আপনারা জানেন। আমিও জানি, আমি অস্বীকার করবো না। আমার সঙ্গে এই ফাইলটা আমি ডিস্পোসাল করিনি। ২১ তারিখে বলেছিলেন আপনারা আসবেন। তার আগেই যদি আমি ডিস্পোসাল করে দিতাম তাহলে আজ আলাপ-আলোচনার আর কিছুই থাকতো না। আপনাদের কথা শোনার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, সেই কারণেই ডিস্পোসাল করিনি। নিশ্চয়ই আমরা দেখবো, যতটা গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় আমরা সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেব বলেন আইনমন্ত্রী।

এদিন বিএনপির ১৫ জন আইনজীবী সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাদের মধ্যে এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব আহমেদ খোকন, অ্যাডভোকেট মো. রুহুল কদ্দুস কাজল, জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, তৈমুর আলম খন্দকার, ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দোজা বাদল, আবেদ রেজা, মো. আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মোহাম্মদ আলী, ওমর ফারুক ফারকী উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর
এবার খেলাপি ঋণ ছাড়ালো এক লাখ কোটি টাকা
টঙ্গীতে ক্ষতিপূরণের দাবিতে মেয়র জাহাঙ্গীর নির্মিত রাস্তায় বাঁশের খুঁটি দিয়ে অবরোধ
‘সেরামের টিকার বাকি চালানগুলো ডিসেম্বরে আসা শুরু হবে’
খন্দকার মুনীরুজ্জামানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ খুলবে ২৭ নভেম্বর, বহিষ্কার ৩০ শিক্ষার্থী
রাজবাড়ীতে মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা
বিতর্ক মাথায় নিয়ে এলাকা ছাড়লেন এমপি টুকু
ইয়াবা আইসের পর এবার নতুন মাদক ডিওবি
সব পুরভোট একসঙ্গে করতে হবে রাজ্যপালের পরামর্শ, কলকাতা-হাওড়ার ভোট অনিশ্চিত
যান্ত্রিক শাখার দুর্নীতি, ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ এক বছরেও কার্যকর হয়নি

বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৩

খালেদার বিদেশে চিকিৎসা

বিএনপির আইনজীবীদের স্মারকলিপি, গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস আইনমন্ত্রীর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। জবাবে আইনমন্ত্রী বলেছেন, আইনজীবীদের দেয়া ওই স্মারকলিপি তিনি ‘গুরুত্ব দিয়ে’ দেখবেন।

গতকাল দুপুর পৌনে ২টার দিকে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেন ১৫ জন আইনজীবী। পরে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই এক সময় কলিগ ছিলাম। আমি এখনও আপনাদের একজন। কথা হচ্ছে ৪০১ ধারা, এই আলোচনায় আপনাদের সঙ্গে যেতে চাই না। আপনারা আমার অতিথি। আমাদের স্বাভাবিক আইনের মতপার্থক্য থাকবে। আমারও আপনাদের সঙ্গে আইনে মতপার্থক্য আছে। আপনারা ৪০১ ধারার উপধারা ১ এর কথা বলেছেন, সেখানে কোথাও বলা নেই বিদেশে যাওয়া যাবে না। সেখানে একটা কথা বলা আছে, শর্তযুক্ত বা শর্তমুক্ত। সেখানে (খালেদা জিয়াকে) দুটি শর্ত দেয়া হয়েছিল।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা স্মারকলিপি দিয়েছেন। এটা আমি অবশ্যই এক্সামিন করবো। আপনারা জানেন, এখানে সিদ্ধান্ত এবং মতামতের বিষয়ে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন আছে। সেটাও আমরা করবো। আমি শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই একটা কথা, যখন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হয়, তখন পরিবারের যে আবেদন সেটা মানবিক দিক থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছিলেন। তখন কোন দাবি কিন্তু তুলতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাকে মুক্ত করেছিলেন। মানবিকতার কমতি আমাদের নেই। আমরা মানবিকতা দেখাতে জানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই মানবিকতা দেখাতে জানেন।

আমি আপনাদের স্মারকলিপি নিলাম। আলাপ-আলোচনা করলাম। আমি মনে করি, এখন আপনাদের যদি কিছু বলে দিই সেটা ঠিক হবে না। আমাকে একটু সময় দেন, আমি এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবো। কেউ জানে বেঁচে না থাকুক সেটা আমাদের উদ্দেশ্য না। চিকিৎসা তো হচ্ছে এখানে সেটাও আপনারা জানেন। আমিও জানি, আমি অস্বীকার করবো না। আমার সঙ্গে এই ফাইলটা আমি ডিস্পোসাল করিনি। ২১ তারিখে বলেছিলেন আপনারা আসবেন। তার আগেই যদি আমি ডিস্পোসাল করে দিতাম তাহলে আজ আলাপ-আলোচনার আর কিছুই থাকতো না। আপনাদের কথা শোনার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, সেই কারণেই ডিস্পোসাল করিনি। নিশ্চয়ই আমরা দেখবো, যতটা গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় আমরা সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেব বলেন আইনমন্ত্রী।

এদিন বিএনপির ১৫ জন আইনজীবী সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাদের মধ্যে এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব আহমেদ খোকন, অ্যাডভোকেট মো. রুহুল কদ্দুস কাজল, জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, তৈমুর আলম খন্দকার, ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দোজা বাদল, আবেদ রেজা, মো. আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মোহাম্মদ আলী, ওমর ফারুক ফারকী উপস্থিত ছিলেন।