পাবনার বেড়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নিজ পুত্র আসিফ শামস রঞ্জনকে বিজয়ী করতে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে সভা-সমাবেশ, ভোটার ও প্রতিপক্ষের সমর্থকদের হুমকি দেয়াসহ নানা বিতর্ক মাথায় নিয়ে অবশেষে এলাকা ছেড়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপি।
সোমবার বিকেলে কাজীরহাট-আরিচা রুটে ফেরি পার হয়ে ঢাকায় যান তিনি। এর আগে একই দিন সকালে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা চিঠি দেয়ার পরও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু নির্বাচনী এলাকা ছেড়েছেন কি না তা জানাতে, ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়ে, নির্বাচন কমিশনকে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তবে, ঢাকায় যাওয়ার আগেও গত সোমবার দুপুরে নিজ পুত্রের পক্ষে বেড়া উপজেলার মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীরা।
বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও সংসদ সদস্য টুকুর ছোট ভাই আবদুল বাতেন অভিযোগ করেন, বেড়া পৌর নির্বাচনে সংসদ সদস্য টুকু নিজের ছেলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসিফ শামস রঞ্জনকে জেতাতে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে এলাকায় প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। সংসদ সদস্য পদ ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি প্রশাসনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। এসব কারণে গত ১৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন তাকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ জানালেও তিনি তোয়াক্কা করেননি। বরং ভোটারদের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকদের নৌকায় ভোট না দিলে পিষে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।
আবদুল বাতেন আরও বলেন, আমার রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সোমবার সংসদ সদস্য টুকুর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে বিকেলে এলাকা ছেড়ে যান তিনি। কিন্তু যাবার আগেও বৃশালিখা মহল্লার নিজ বাড়িতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইমাম মুয়াজ্জিনদের ডেকে পৌর নির্বাচনে ছেলের পক্ষে সমর্থন ও দোয়া চান। আমার ধারণা ২৫ তারিখ হাইকোর্টে রিট শুনানির পর তিনি আবারও এলাকায় ফিরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন। আশা করছি নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে, সংসদ সদস্য টুকুর আহ্বানে বেড়া উপজেলার ১২০ জন ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মাদ্রাসা শিক্ষক সোমবার দুপুরে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন পাবনার উপপরিচালক মো. ইমামুল ইসলাম। সংসদ সদস্য টুকুর অনুসারী একজন জনপ্রতিনিধি ও তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে বৈঠকের কয়েকটি ছবি আপলোড করেন। তবে, নির্বাচনী বৈঠক নয় সংসদ সদস্যদের আমন্ত্রণে তার মৃত স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে ইমাম মুয়াজ্জিনেরা গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে, মৃত মায়ের জন্য দোয়ার অনুষ্ঠানে ছেলের জন্য সংসদ সদস্য ভোট ও দোয়া চাওয়ার ভিডিও ও অডিও রেকর্ড আছে জানালে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা
পাবনার বেড়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নিজ পুত্র আসিফ শামস রঞ্জনকে বিজয়ী করতে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে সভা-সমাবেশ, ভোটার ও প্রতিপক্ষের সমর্থকদের হুমকি দেয়াসহ নানা বিতর্ক মাথায় নিয়ে অবশেষে এলাকা ছেড়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপি।
সোমবার বিকেলে কাজীরহাট-আরিচা রুটে ফেরি পার হয়ে ঢাকায় যান তিনি। এর আগে একই দিন সকালে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা চিঠি দেয়ার পরও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু নির্বাচনী এলাকা ছেড়েছেন কি না তা জানাতে, ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়ে, নির্বাচন কমিশনকে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তবে, ঢাকায় যাওয়ার আগেও গত সোমবার দুপুরে নিজ পুত্রের পক্ষে বেড়া উপজেলার মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীরা।
বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও সংসদ সদস্য টুকুর ছোট ভাই আবদুল বাতেন অভিযোগ করেন, বেড়া পৌর নির্বাচনে সংসদ সদস্য টুকু নিজের ছেলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসিফ শামস রঞ্জনকে জেতাতে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে এলাকায় প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। সংসদ সদস্য পদ ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি প্রশাসনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। এসব কারণে গত ১৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন তাকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ জানালেও তিনি তোয়াক্কা করেননি। বরং ভোটারদের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকদের নৌকায় ভোট না দিলে পিষে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।
আবদুল বাতেন আরও বলেন, আমার রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সোমবার সংসদ সদস্য টুকুর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে বিকেলে এলাকা ছেড়ে যান তিনি। কিন্তু যাবার আগেও বৃশালিখা মহল্লার নিজ বাড়িতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইমাম মুয়াজ্জিনদের ডেকে পৌর নির্বাচনে ছেলের পক্ষে সমর্থন ও দোয়া চান। আমার ধারণা ২৫ তারিখ হাইকোর্টে রিট শুনানির পর তিনি আবারও এলাকায় ফিরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন। আশা করছি নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে, সংসদ সদস্য টুকুর আহ্বানে বেড়া উপজেলার ১২০ জন ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মাদ্রাসা শিক্ষক সোমবার দুপুরে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন পাবনার উপপরিচালক মো. ইমামুল ইসলাম। সংসদ সদস্য টুকুর অনুসারী একজন জনপ্রতিনিধি ও তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে বৈঠকের কয়েকটি ছবি আপলোড করেন। তবে, নির্বাচনী বৈঠক নয় সংসদ সদস্যদের আমন্ত্রণে তার মৃত স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে ইমাম মুয়াজ্জিনেরা গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে, মৃত মায়ের জন্য দোয়ার অনুষ্ঠানে ছেলের জন্য সংসদ সদস্য ভোট ও দোয়া চাওয়ার ভিডিও ও অডিও রেকর্ড আছে জানালে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।