ট্রাফিক পুলিশ বৃদ্ধির দাবি

নারায়ণগঞ্জ-শিমরাইল সড়কের ৬ স্থানে নিত্য যানজট : দুর্ভোগ চরমে

নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল সড়কে যানজট চরমে পৌঁছেছে। প্রতিদিনই এ সড়কের কোন না কোন বাসস্ট্যান্ডে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সড়কের ৬টি স্থানে নিত্য যানজটের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে গামেন্টর্স শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীসহ নানা পেশার লোকজন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ সড়কে ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা করা, সড়কের এক পাশ থেকে অপর পাশে যানবাহন পারাপার হওয়া এবং সড়কের প্রশস্ততার তুলনায় অধিক যানবাহন চলাচল করায় এখানে নিত্য যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল সড়ক দিয়ে আদমজী ইপিজেড, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নারায়ণগঞ্জ সাইলো, পদ্মা ও মেঘনা অয়েল ডিপো, নিট কনর্সানসহ প্রায় শতাধিক শিল্প কারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়াও এ সড়কটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ৮ ও ১০নং ওয়ার্ড এলাকায় রয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের এ সড়ক দিয়ে ঢাকাসহ দেশের যে কোন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। ঘর থেকে বের হয়েই যানজটে পড়তে হচ্ছে তাদের। যানজট এখানে নিত্য সঙ্গী হয়ে পড়েছে। গত দুই দিন সরেজমিনে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল, আদমজী ইপিজেড, বার্মাস্ট্যান্ড, ২নং ঢাকেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড, চৌধুরীবাড়ি বাসস্ট্যান্ড ও হাজীগঞ্জ গুদারাঘাট এলাকায় প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনের অন্যান্য সময়ের তুলনায় আদমজী ইপিজেডে সকালে কাজে যোগদান ও কাজ শেষে বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় এ সড়কের ৬টি স্থানে যানজট তীব্র হয়। এ যানজট মাঝে মাঝে স্থায়ী আকারও ধারণ করে। ভুক্তভোগীরা আরও জানায়, এ সড়কে ইজি-বাইকের দৌরাত্ম্য, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা করা, সড়কের এক পাশ থেকে অপর পাশে যানবাহন পারাপার হওয়া এবং সড়কের প্রশস্ততার তুলনায় অধিক যানবাহন চলাচল করায় এসব স্থানে নিত্য যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এ সময় ওমরপুর এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, সিদ্ধিরগঞ্জপুল ও আদমজী ইপিজেড এলাকায় যানজট ছাড়া একদিনও অফিসে যেতে পারি না। গোদনাইলের বাসিন্দা আলী নুর জানান, সড়কটিতে তেলের গাড়ি রাখায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আগের তুলনায় এ সড়কটি প্রশস্ত না হওয়ায়ও দিন দিন যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও পদ্মা ও মেঘনা জ্বালানি তেলের ডিপো থেকে প্রতিদিন শত শত ট্যাঙ্কলরি জ্বালানি তেল নিয়ে এ সড়ক দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। মিজমিজি এলাকার বাসিন্দা আনিসুর রহমান জানান, এ সড়কের পূর্বপাশ দিয়ে শিমরাইল থেকে আদমজী পর্যন্ত একটি সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই সার্ভিস লেনটি এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সার্ভিস লেনটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল সড়কটিতে চলাচলরত যানবাহন চলতে গিয়ে যানজটে আটকা পড়তে বাধ্য হচ্ছে। আটি এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম জানান, এ সড়কে যানজট সৃষ্টি হলেও নিরসনে কোন ট্রাফিক পুলিশকে দেখা যায় না। পুলিশ থাকলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতাম। যানজটের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই, প্রশাসন) কামরুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। দ্রুত আরও ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করা হবে। এতে যানজট কমে যাবে বলে তিনি জানান।

বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৩

ট্রাফিক পুলিশ বৃদ্ধির দাবি

নারায়ণগঞ্জ-শিমরাইল সড়কের ৬ স্থানে নিত্য যানজট : দুর্ভোগ চরমে

প্রতিনিধি, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

image

নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল সড়কে যানজট চরমে পৌঁছেছে। প্রতিদিনই এ সড়কের কোন না কোন বাসস্ট্যান্ডে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সড়কের ৬টি স্থানে নিত্য যানজটের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে গামেন্টর্স শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীসহ নানা পেশার লোকজন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ সড়কে ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা করা, সড়কের এক পাশ থেকে অপর পাশে যানবাহন পারাপার হওয়া এবং সড়কের প্রশস্ততার তুলনায় অধিক যানবাহন চলাচল করায় এখানে নিত্য যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল সড়ক দিয়ে আদমজী ইপিজেড, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নারায়ণগঞ্জ সাইলো, পদ্মা ও মেঘনা অয়েল ডিপো, নিট কনর্সানসহ প্রায় শতাধিক শিল্প কারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়াও এ সড়কটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ৮ ও ১০নং ওয়ার্ড এলাকায় রয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের এ সড়ক দিয়ে ঢাকাসহ দেশের যে কোন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। ঘর থেকে বের হয়েই যানজটে পড়তে হচ্ছে তাদের। যানজট এখানে নিত্য সঙ্গী হয়ে পড়েছে। গত দুই দিন সরেজমিনে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল, আদমজী ইপিজেড, বার্মাস্ট্যান্ড, ২নং ঢাকেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড, চৌধুরীবাড়ি বাসস্ট্যান্ড ও হাজীগঞ্জ গুদারাঘাট এলাকায় প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনের অন্যান্য সময়ের তুলনায় আদমজী ইপিজেডে সকালে কাজে যোগদান ও কাজ শেষে বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় এ সড়কের ৬টি স্থানে যানজট তীব্র হয়। এ যানজট মাঝে মাঝে স্থায়ী আকারও ধারণ করে। ভুক্তভোগীরা আরও জানায়, এ সড়কে ইজি-বাইকের দৌরাত্ম্য, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা করা, সড়কের এক পাশ থেকে অপর পাশে যানবাহন পারাপার হওয়া এবং সড়কের প্রশস্ততার তুলনায় অধিক যানবাহন চলাচল করায় এসব স্থানে নিত্য যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এ সময় ওমরপুর এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, সিদ্ধিরগঞ্জপুল ও আদমজী ইপিজেড এলাকায় যানজট ছাড়া একদিনও অফিসে যেতে পারি না। গোদনাইলের বাসিন্দা আলী নুর জানান, সড়কটিতে তেলের গাড়ি রাখায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আগের তুলনায় এ সড়কটি প্রশস্ত না হওয়ায়ও দিন দিন যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও পদ্মা ও মেঘনা জ্বালানি তেলের ডিপো থেকে প্রতিদিন শত শত ট্যাঙ্কলরি জ্বালানি তেল নিয়ে এ সড়ক দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। মিজমিজি এলাকার বাসিন্দা আনিসুর রহমান জানান, এ সড়কের পূর্বপাশ দিয়ে শিমরাইল থেকে আদমজী পর্যন্ত একটি সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই সার্ভিস লেনটি এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সার্ভিস লেনটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল সড়কটিতে চলাচলরত যানবাহন চলতে গিয়ে যানজটে আটকা পড়তে বাধ্য হচ্ছে। আটি এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম জানান, এ সড়কে যানজট সৃষ্টি হলেও নিরসনে কোন ট্রাফিক পুলিশকে দেখা যায় না। পুলিশ থাকলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতাম। যানজটের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই, প্রশাসন) কামরুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। দ্রুত আরও ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করা হবে। এতে যানজট কমে যাবে বলে তিনি জানান।