একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে মির্জা ফখরুল

৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ‘দেশের মানুষ বিশ্বাস করে সরকারের ইচ্ছা নেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বেঁচে থাকুক। এজন্য বাইরে নেয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তার এখন যে অবস্থা, এই মুহূর্তেই বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকার তাকে পাঠাতে পারে, এজন্য সমস্ত দায় সরকারের।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এসব গুজবের কোন ভিত্তি নেই। একটি মহল অসৎ উদ্দেশ্যে গুজব ছড়াচ্ছে।’

গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তার এখনই বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দরকার। এখন ভেরি ক্রিটিকাল স্টেজে আছেন, চিকিৎসকরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন।’

এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর কমিটির দুই আহ্বায়ক আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল।

এদিকে অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মূল দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৫ নভেম্বর যুবদলের সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি এবং ঢাকায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ২৬ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি জন্য দোয়া মাহফিল হবে। একইভাবে মন্দির-প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ২৮ নভেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ৩০ নভেম্বর বিএনপির উদ্যোগে বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করা হবে। ১ ডিসেম্বর ছাত্রদলের উদ্যোগে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে ২ ডিসেম্বর। কৃষক দলের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে ৩ ডিসেম্বর এবং ৪ ডিসেম্বর মহিলা দলের উদ্যোগে মৌনমিছিল করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং সম্পাদকম-লীয় নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আমাদের এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।

সভায় নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তত শান্তিপূর্ণ ও অহিংস পদ্ধতিতে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। যেকোন উস্কানি যেন না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে মাঠের নেতাকর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দিতে নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়। সূত্র জানায়, এসব কর্মসূচি গত সোমবার স্থায়ী কমিটিতেই দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বিএনপির চলমান কর্মসূচি দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছি। সমাজে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যুতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে, সব পরিস্থিতি বুঝে আমাদের কর্মসূচি দিতে হয়। কোন হঠকারিতামূলক কর্মসূচি আমরা দিতে চাই না।’

বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৩

একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে মির্জা ফখরুল

৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ‘দেশের মানুষ বিশ্বাস করে সরকারের ইচ্ছা নেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বেঁচে থাকুক। এজন্য বাইরে নেয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তার এখন যে অবস্থা, এই মুহূর্তেই বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকার তাকে পাঠাতে পারে, এজন্য সমস্ত দায় সরকারের।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এসব গুজবের কোন ভিত্তি নেই। একটি মহল অসৎ উদ্দেশ্যে গুজব ছড়াচ্ছে।’

গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তার এখনই বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দরকার। এখন ভেরি ক্রিটিকাল স্টেজে আছেন, চিকিৎসকরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন।’

এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর কমিটির দুই আহ্বায়ক আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল।

এদিকে অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মূল দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৫ নভেম্বর যুবদলের সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি এবং ঢাকায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ২৬ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি জন্য দোয়া মাহফিল হবে। একইভাবে মন্দির-প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ২৮ নভেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ৩০ নভেম্বর বিএনপির উদ্যোগে বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করা হবে। ১ ডিসেম্বর ছাত্রদলের উদ্যোগে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে ২ ডিসেম্বর। কৃষক দলের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে ৩ ডিসেম্বর এবং ৪ ডিসেম্বর মহিলা দলের উদ্যোগে মৌনমিছিল করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং সম্পাদকম-লীয় নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আমাদের এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।

সভায় নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তত শান্তিপূর্ণ ও অহিংস পদ্ধতিতে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। যেকোন উস্কানি যেন না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে মাঠের নেতাকর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দিতে নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়। সূত্র জানায়, এসব কর্মসূচি গত সোমবার স্থায়ী কমিটিতেই দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বিএনপির চলমান কর্মসূচি দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছি। সমাজে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যুতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে, সব পরিস্থিতি বুঝে আমাদের কর্মসূচি দিতে হয়। কোন হঠকারিতামূলক কর্মসূচি আমরা দিতে চাই না।’