ইয়েমেনে ১৩ লাখ মৃত্যুর আশঙ্কা জাতিসংঘের

যুদ্ধে জর্জরিত ইয়েমেনে ২০৩০ সাল নাগাদ মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ লাখে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। এবং চলতি বছরের শেষে মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি। ইউএনডিপি’র প্রকাশিত রিপোর্টে, নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু অনুমান করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে যে ৬০ শতাংশ মৃত্যু ক্ষুধা, দারিদ্র ও রোগ প্রতিরোধের কারণে হতে পারে। সম্মুখ যুদ্ধ ও বিমান হামলার ফলে মৃত্যুও ঘটতে পারে অনেক।

এ বিষয়ে ইউএনডিপি’র কর্মকর্তা আচিম স্টেইনার বলেন, ‘ইয়েমেনে যুদ্ধের ময়দানের তুলনায় রোগ-ক্ষুধায় বেশি মানুষের মৃত্যুর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা যুদ্ধ ক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে’। যুদ্ধে ইয়েমেনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। ইতোমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ মারা গেছেন। দেশটির দেড়কোটিরও বেশি মানুষ চরম দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করছেন। ইউএনডিপির নতুন প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে, বিবদমানপক্ষগুলোর মধ্যে ২০২২-এর জানুয়ারি মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তিতে পৌঁছাতে পারে তবে ইয়েমেনিরা ২০৪৭ এর মধ্যে দারিদ্র দূর করতে পারবে।

২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় দেশটির ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত হাদি।

বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৩

ইয়েমেনে ১৩ লাখ মৃত্যুর আশঙ্কা জাতিসংঘের

image

যুদ্ধে জর্জরিত ইয়েমেনে ২০৩০ সাল নাগাদ মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ লাখে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। এবং চলতি বছরের শেষে মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি। ইউএনডিপি’র প্রকাশিত রিপোর্টে, নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু অনুমান করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে যে ৬০ শতাংশ মৃত্যু ক্ষুধা, দারিদ্র ও রোগ প্রতিরোধের কারণে হতে পারে। সম্মুখ যুদ্ধ ও বিমান হামলার ফলে মৃত্যুও ঘটতে পারে অনেক।

এ বিষয়ে ইউএনডিপি’র কর্মকর্তা আচিম স্টেইনার বলেন, ‘ইয়েমেনে যুদ্ধের ময়দানের তুলনায় রোগ-ক্ষুধায় বেশি মানুষের মৃত্যুর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা যুদ্ধ ক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে’। যুদ্ধে ইয়েমেনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। ইতোমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ মারা গেছেন। দেশটির দেড়কোটিরও বেশি মানুষ চরম দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করছেন। ইউএনডিপির নতুন প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে, বিবদমানপক্ষগুলোর মধ্যে ২০২২-এর জানুয়ারি মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তিতে পৌঁছাতে পারে তবে ইয়েমেনিরা ২০৪৭ এর মধ্যে দারিদ্র দূর করতে পারবে।

২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় দেশটির ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত হাদি।