ভাসানচরের পথে আরও ৩৭৯ রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সপ্তম দফার প্রথম যাত্রা হিসেবে ভাসানচরের উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন রোহিঙ্গারা। কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামের দিকে রওনা হয়েছে ১৬৮ পরিবারের ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা। সর্বশেষ গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ৪২ পরিবারের ১২২ রোহিঙ্গাকে নিয়ে চারটি বাস ছেড়ে যায়।

এর আগে, বেলা সোয়া ১১টার দিকে সাত বাসে ১২৬ পরিবারের ২৫৭ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে তাদেরকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে জড়ো করা হয়। উখিয়া কলেজ মাঠ থেকে বাসে চট্টগ্রামে পাঠানো হবে তাদের। সেখান থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাহাজে ভাসানচর আশ্রয় শিবিরে নেয়া হবে।

কক্সবাজার-৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, উখিয়াসহ বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে স্বেচ্ছায় রাজি হওয়া দেড় হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে তালিকা অনুযায়ী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার তিন হাজার ২৪২, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ এবং ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়। গত বছরের মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেও সেখানে নিয়ে রাখা হয়।

বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৩

ভাসানচরের পথে আরও ৩৭৯ রোহিঙ্গা

জেলা বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সপ্তম দফার প্রথম যাত্রা হিসেবে ভাসানচরের উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন রোহিঙ্গারা। কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামের দিকে রওনা হয়েছে ১৬৮ পরিবারের ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা। সর্বশেষ গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ৪২ পরিবারের ১২২ রোহিঙ্গাকে নিয়ে চারটি বাস ছেড়ে যায়।

এর আগে, বেলা সোয়া ১১টার দিকে সাত বাসে ১২৬ পরিবারের ২৫৭ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে তাদেরকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে জড়ো করা হয়। উখিয়া কলেজ মাঠ থেকে বাসে চট্টগ্রামে পাঠানো হবে তাদের। সেখান থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাহাজে ভাসানচর আশ্রয় শিবিরে নেয়া হবে।

কক্সবাজার-৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, উখিয়াসহ বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে স্বেচ্ছায় রাজি হওয়া দেড় হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে তালিকা অনুযায়ী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার তিন হাজার ২৪২, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ এবং ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়। গত বছরের মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেও সেখানে নিয়ে রাখা হয়।