প্রাথমিকে বিকল্প উপায়ে মূল্যায়ন
সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ ২৫ নভেম্বর। সব স্কুলেই এবার অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তির ফরম বিক্রি হবে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফরম বিতরণ চলবে। এবার লটারির মাধ্যমে সবশ্রেণীতে ভর্তি নেবে স্কুলগুলো।
তবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না। এসব স্কুলে বিকল্প উপায়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।
আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত বার্ষিক ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নিয়ম www.dshe.gov.bd Gi secondary circularorder9 www.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
গত ১৮ নভেম্বর মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, ‘২০২২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি (মহানগর ও জেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত অনলাইন লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ২৫ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন ফরম সংগ্রহ করা হবে। আর ১৫ ডিসেম্বর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৯ ডিসেম্বর বেসরকারি (মহানগর ও জেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবেদনের অনলাইন লটারির দিন ধার্য রয়েছে।’
নির্দেশনায় বলা হয়, মাউশির ‘সব আঞ্চলিক উপপরিচালকের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।’
মাউশি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটকের মাধ্যমে ভর্তি ফরম বিক্রি, লটারি ও ফল প্রকাশ হবে। করোনা সংক্রমণ এড়ানো এবং শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভোগান্তি কমাতে এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
মাউশি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি স্কুলের প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি নেয়া হবে। তবে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা ছাত্রছাত্রীরা ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবে।
আর বেসরকারি স্কুলে লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়া হবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই ক্ষেত্রে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রাথমিকে মূল্যায়নের নির্দেশনা
সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
গত ২৩ তারিখে ডিপিই মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, স্ব স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
গত বছরের ১৬ মার্চ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পাঠদান ছিল উল্লেখ করে আদেশে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে এ ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান পরিচালনা করা হয়। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সংশ্নিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত ছিলেন। এ অবস্থায় স্ব স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
ডিপিইর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই নির্দেশনার মানে এই নয় যে, শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া যাবে। নানাভাবে মূল্যায়ন করা হতে পারে। এটা সংশ্নিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই নির্ধারণ করবে। এটা এমন হতে পারে, বাড়ির কাজ দেয়া। এ থেকে পরদিন শিক্ষার্থীরা কী শিখল, তার মধ্য দিয়ে মূল্যায়ন করা।
ওই কর্মকর্তারা আরও জানান, ডিপিইর নির্দেশনা না থাকলেও বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এর পরই এ নির্দেশনা জারি করে ডিপিই।
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৩
প্রাথমিকে বিকল্প উপায়ে মূল্যায়ন
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ ২৫ নভেম্বর। সব স্কুলেই এবার অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তির ফরম বিক্রি হবে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফরম বিতরণ চলবে। এবার লটারির মাধ্যমে সবশ্রেণীতে ভর্তি নেবে স্কুলগুলো।
তবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না। এসব স্কুলে বিকল্প উপায়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।
আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত বার্ষিক ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নিয়ম www.dshe.gov.bd Gi secondary circularorder9 www.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
গত ১৮ নভেম্বর মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, ‘২০২২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি (মহানগর ও জেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত অনলাইন লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ২৫ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন ফরম সংগ্রহ করা হবে। আর ১৫ ডিসেম্বর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৯ ডিসেম্বর বেসরকারি (মহানগর ও জেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবেদনের অনলাইন লটারির দিন ধার্য রয়েছে।’
নির্দেশনায় বলা হয়, মাউশির ‘সব আঞ্চলিক উপপরিচালকের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।’
মাউশি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটকের মাধ্যমে ভর্তি ফরম বিক্রি, লটারি ও ফল প্রকাশ হবে। করোনা সংক্রমণ এড়ানো এবং শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভোগান্তি কমাতে এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
মাউশি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি স্কুলের প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি নেয়া হবে। তবে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা ছাত্রছাত্রীরা ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবে।
আর বেসরকারি স্কুলে লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়া হবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই ক্ষেত্রে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রাথমিকে মূল্যায়নের নির্দেশনা
সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
গত ২৩ তারিখে ডিপিই মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, স্ব স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
গত বছরের ১৬ মার্চ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পাঠদান ছিল উল্লেখ করে আদেশে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে এ ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান পরিচালনা করা হয়। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সংশ্নিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত ছিলেন। এ অবস্থায় স্ব স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
ডিপিইর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই নির্দেশনার মানে এই নয় যে, শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া যাবে। নানাভাবে মূল্যায়ন করা হতে পারে। এটা সংশ্নিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই নির্ধারণ করবে। এটা এমন হতে পারে, বাড়ির কাজ দেয়া। এ থেকে পরদিন শিক্ষার্থীরা কী শিখল, তার মধ্য দিয়ে মূল্যায়ন করা।
ওই কর্মকর্তারা আরও জানান, ডিপিইর নির্দেশনা না থাকলেও বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এর পরই এ নির্দেশনা জারি করে ডিপিই।