অভিনন্দন সুপ্তা, নারী ক্রীড়াবিদদের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক

আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ হতাশাজনকভাবে হেরেছে। মূল পর্বে তারা পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি। দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা যখন হোয়াইট ওয়াশ হয়ে সমর্থকদের হতাশাই শুধু বাড়াচ্ছে তখন নারী ক্রিকেটাররা জিম্বাবুয়ের হারারেতে উড়াচ্ছে বিজয়ের কেতন, গড়ছে নতুন রেকর্ড।

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে কোন ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরি করেছেন শারমিন আক্তার সুপ্তা। হারারেতে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিনি অপরাজিত ১৩০ রান করেন। যদিও আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচটি লিস্ট ‘এ’ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। কারণ সেদিনের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ান ডে স্ট্যাটাস নেই। তবে তাতে সুপ্তার কৃতিত্ব ম্লান হয়ে যায় না। আইসিসির ওয়ানডে ক্রিকেটের রেকর্ডে তার নাম না থাকতে পারেÑ দেশের নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে তার নাম লেখা থাকবে।

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের এই অর্জন বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। বরং তারা ধারাবাহিকভাবে সাফল্য অর্জন করে চলেছে। আমাদের মনে আছে, তারা ২০১৮ সালে ভারতকে হারিয়ে নারীদের এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেটা ছিল দেশের ক্রীড়া ইতিহাসের বড় এক অর্জন। চলতি নভেম্বরেই নারী ক্রিকেট দল স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ জিতেছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতেছে। গত রোববার তারা বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে জিতেছে। অন্যদিকে দেশের মাটিতে পুরুষ ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে।

দেশের নারী ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান সুপ্তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। আগামীতেও তার ও বাংলাদেশ দলের সাফল্য অব্যাহত থাকবে সেই প্রত্যাশা করি। আমরা সব নারী ক্রীড়াবিদের সাফল্য কামনা করি। নারী ক্রীড়াবিদরা যেন নিজ নিজে খেলায় আরও উন্নতি করতে পারে, ধারাবাহিকভাবে সফল হতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় রসদ জোগাতে হবে। সরকার ক্রিকেটসহ ক্রীড়াঙ্গনের সব ক্ষেত্রে নারী খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে সেটা আমাদের আশা। ক্রীড়াঙ্গনে বেতন-ভাতাসহ সবক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৩

অভিনন্দন সুপ্তা, নারী ক্রীড়াবিদদের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক

আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ হতাশাজনকভাবে হেরেছে। মূল পর্বে তারা পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি। দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা যখন হোয়াইট ওয়াশ হয়ে সমর্থকদের হতাশাই শুধু বাড়াচ্ছে তখন নারী ক্রিকেটাররা জিম্বাবুয়ের হারারেতে উড়াচ্ছে বিজয়ের কেতন, গড়ছে নতুন রেকর্ড।

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে কোন ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরি করেছেন শারমিন আক্তার সুপ্তা। হারারেতে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিনি অপরাজিত ১৩০ রান করেন। যদিও আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচটি লিস্ট ‘এ’ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। কারণ সেদিনের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ান ডে স্ট্যাটাস নেই। তবে তাতে সুপ্তার কৃতিত্ব ম্লান হয়ে যায় না। আইসিসির ওয়ানডে ক্রিকেটের রেকর্ডে তার নাম না থাকতে পারেÑ দেশের নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে তার নাম লেখা থাকবে।

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের এই অর্জন বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। বরং তারা ধারাবাহিকভাবে সাফল্য অর্জন করে চলেছে। আমাদের মনে আছে, তারা ২০১৮ সালে ভারতকে হারিয়ে নারীদের এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেটা ছিল দেশের ক্রীড়া ইতিহাসের বড় এক অর্জন। চলতি নভেম্বরেই নারী ক্রিকেট দল স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ জিতেছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতেছে। গত রোববার তারা বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে জিতেছে। অন্যদিকে দেশের মাটিতে পুরুষ ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে।

দেশের নারী ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান সুপ্তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। আগামীতেও তার ও বাংলাদেশ দলের সাফল্য অব্যাহত থাকবে সেই প্রত্যাশা করি। আমরা সব নারী ক্রীড়াবিদের সাফল্য কামনা করি। নারী ক্রীড়াবিদরা যেন নিজ নিজে খেলায় আরও উন্নতি করতে পারে, ধারাবাহিকভাবে সফল হতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় রসদ জোগাতে হবে। সরকার ক্রিকেটসহ ক্রীড়াঙ্গনের সব ক্ষেত্রে নারী খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে সেটা আমাদের আশা। ক্রীড়াঙ্গনে বেতন-ভাতাসহ সবক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে হবে।