ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক বাস সার্ভিস কবে আলোর মুখ দেখবে

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল থেকে রাজধানীতে ‘বাস রুট র্যা শনালাইজেশনের’ পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করা যাচ্ছে না। পরিবহন মালিকদের অসহযোগিতার জন্য নির্ধারিত সময়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালুর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র। তারা বলেছেন, পরিবহন মালিকরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস দেয়নি। তবে পরিবহন মালিকদের নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

রাজধানীর যানজট নিরসন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালু করার পরিকল্পনা আজকের নয়। ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঢাকার জন্য ২০ বছরের পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) নেয় সরকার। সেই সময় রাজধানীর গণপরিবহন-ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। তখন রাজধানীর সব রুটে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালুর সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কয়েক দফা উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রতিবারাই সেই উদ্যোগ ভেস্তে গেছে।

সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বলা হয়েছিল যে, ১২০টি বাস নিয়ে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে কোম্পানি গঠন করা হবে। ১ ডিসেম্বর থেকে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে এসব বাস চলার কথা ছিল। এবারও সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি। এর আগে ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালুর উদ্যোগ ভেস্তে যায়। তখন মোহাম্মদপুরের ঘাটারচর-মতিঝিল-সাইনবোর্ড রুটে বাস চলার কথা ছিল।

‘বাস রুট র্যা শনালাইজেশনের’ পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু না হওয়ার পেছনে মালিক বা কোম্পানির দায়ই বেশি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। গণপরিবহনগুলোর সিংহভাগ মালিকদের প্রভাবশালী একটি অংশ সরকারি দলের নেতা। অভিযোগ রয়েছে, তারা চান না যে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালু হোক। এর পেছনে রয়েছে গণপরিবহনকেন্দ্রীক রাজনীতি ও মোটা অঙ্কের চাঁদা বাণিজ্য।

নগর কর্তৃপক্ষ আবারও ‘বাস রুট র্যা শনালাইজেশনের’ পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই ব্যবস্থাটি চালু করা হবে। নগরবাসী এ পর্যন্ত অনেক আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। এখন এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে দেখাতে হবে। আমরা আশা করতে চাই যে, এবার ঘোষিত তারিখ থেকে বাস চলাচল শুরু হবে। কোন অশুভ চক্র যেন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১ , ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক বাস সার্ভিস কবে আলোর মুখ দেখবে

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল থেকে রাজধানীতে ‘বাস রুট র্যা শনালাইজেশনের’ পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করা যাচ্ছে না। পরিবহন মালিকদের অসহযোগিতার জন্য নির্ধারিত সময়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালুর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র। তারা বলেছেন, পরিবহন মালিকরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস দেয়নি। তবে পরিবহন মালিকদের নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

রাজধানীর যানজট নিরসন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালু করার পরিকল্পনা আজকের নয়। ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঢাকার জন্য ২০ বছরের পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) নেয় সরকার। সেই সময় রাজধানীর গণপরিবহন-ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। তখন রাজধানীর সব রুটে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালুর সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কয়েক দফা উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রতিবারাই সেই উদ্যোগ ভেস্তে গেছে।

সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বলা হয়েছিল যে, ১২০টি বাস নিয়ে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে কোম্পানি গঠন করা হবে। ১ ডিসেম্বর থেকে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে এসব বাস চলার কথা ছিল। এবারও সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি। এর আগে ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালুর উদ্যোগ ভেস্তে যায়। তখন মোহাম্মদপুরের ঘাটারচর-মতিঝিল-সাইনবোর্ড রুটে বাস চলার কথা ছিল।

‘বাস রুট র্যা শনালাইজেশনের’ পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু না হওয়ার পেছনে মালিক বা কোম্পানির দায়ই বেশি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। গণপরিবহনগুলোর সিংহভাগ মালিকদের প্রভাবশালী একটি অংশ সরকারি দলের নেতা। অভিযোগ রয়েছে, তারা চান না যে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালু হোক। এর পেছনে রয়েছে গণপরিবহনকেন্দ্রীক রাজনীতি ও মোটা অঙ্কের চাঁদা বাণিজ্য।

নগর কর্তৃপক্ষ আবারও ‘বাস রুট র্যা শনালাইজেশনের’ পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই ব্যবস্থাটি চালু করা হবে। নগরবাসী এ পর্যন্ত অনেক আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। এখন এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে দেখাতে হবে। আমরা আশা করতে চাই যে, এবার ঘোষিত তারিখ থেকে বাস চলাচল শুরু হবে। কোন অশুভ চক্র যেন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।