মোরেলগঞ্জে ৫ মাস ধরে বন্ধ স্কুল ফিডিং ঝরছে শিক্ষার্থী

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলায় দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ৩০ জুন।

পুনরায় নতুন করে ২ মাসের চুক্তির কথা হলেও মাঠ পর্যায়ের স্কুলগুলোতে এখনও পৌঁছেনি বিস্কুট। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে দীর্ঘ ৫ মাসে এ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা সরকারি এ সেবা থেকে হলো বঞ্চিত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ ১টি পৌরসভার ৩০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৪ হাজার ৯৭২ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ২০১১ সাল থেকে চালু করা হয়েছিল স্কুল ফিডিং এ কর্মসূচি। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হার বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সরকার এগিয়ে আসে। এ কর্মসূচির আওতায় টিফিনের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৭৫ গ্রাম ওজনের পুষ্টিমান সম্পন্ন এক পেকেট করে বিস্কুট বিতরণ করা হয়।

এ বিস্কুট বিতরণের ফলে পাল্টে যায় ক্লাসের চিত্র বেড়ে যায় উপস্থিতি। শিশুদের মধ্যে বৃদ্ধি পায় প্রাণচাঞ্চল্য। করোনা পরিস্থিতিতেও বিশেষ ব্যবস্থায় চালু ছিলো কর্মসূচিটি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে গেলেও গত ৫ মাস ধরে এ কর্মসূচি বন্ধ থাকায় হতাশ শিক্ষক সহ অভিভাবকরা ।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন খান বলেন, বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম কিছুদিনের জন্য বন্ধ থাকলেও পুনরায় এ কর্মসূচি চালু হচ্ছে।

এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থা আর আর এফ বাগেরহাট জেলা প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর তাপস সাধু জানান, মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় ৩০৯টি বিদ্যালয় এবং ৪টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসায় ২০১১ সালে এ কার্যক্রম চালু করেন তারা। সরকারি চুক্তি মোতাবেক বিস্কুট বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া ও মনিটরিংয়ে দায়িত্বে থাকেন তারা। নতুন করে এ বছরে নভেম্বর ও ডিসেম্বর দুই মাসে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখনও তারা বিস্কুট হাতে পায়নি পেলে বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছে দিবেন।

বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১ , ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

মোরেলগঞ্জে ৫ মাস ধরে বন্ধ স্কুল ফিডিং ঝরছে শিক্ষার্থী

প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলায় দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ৩০ জুন।

পুনরায় নতুন করে ২ মাসের চুক্তির কথা হলেও মাঠ পর্যায়ের স্কুলগুলোতে এখনও পৌঁছেনি বিস্কুট। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে দীর্ঘ ৫ মাসে এ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা সরকারি এ সেবা থেকে হলো বঞ্চিত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ ১টি পৌরসভার ৩০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৪ হাজার ৯৭২ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ২০১১ সাল থেকে চালু করা হয়েছিল স্কুল ফিডিং এ কর্মসূচি। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হার বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সরকার এগিয়ে আসে। এ কর্মসূচির আওতায় টিফিনের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৭৫ গ্রাম ওজনের পুষ্টিমান সম্পন্ন এক পেকেট করে বিস্কুট বিতরণ করা হয়।

এ বিস্কুট বিতরণের ফলে পাল্টে যায় ক্লাসের চিত্র বেড়ে যায় উপস্থিতি। শিশুদের মধ্যে বৃদ্ধি পায় প্রাণচাঞ্চল্য। করোনা পরিস্থিতিতেও বিশেষ ব্যবস্থায় চালু ছিলো কর্মসূচিটি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে গেলেও গত ৫ মাস ধরে এ কর্মসূচি বন্ধ থাকায় হতাশ শিক্ষক সহ অভিভাবকরা ।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন খান বলেন, বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম কিছুদিনের জন্য বন্ধ থাকলেও পুনরায় এ কর্মসূচি চালু হচ্ছে।

এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থা আর আর এফ বাগেরহাট জেলা প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর তাপস সাধু জানান, মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় ৩০৯টি বিদ্যালয় এবং ৪টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসায় ২০১১ সালে এ কার্যক্রম চালু করেন তারা। সরকারি চুক্তি মোতাবেক বিস্কুট বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া ও মনিটরিংয়ে দায়িত্বে থাকেন তারা। নতুন করে এ বছরে নভেম্বর ও ডিসেম্বর দুই মাসে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখনও তারা বিস্কুট হাতে পায়নি পেলে বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছে দিবেন।