অনিরাপদ খাদ্যে বিশ্বে চার লক্ষাধিক মানুষ মারা যান

অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করে বিশ্বে বছরে ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ভেজাল, দূষিত ও ক্ষতিকর খাবার থেকে সর্বস্তরের মানুষকে রক্ষার লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ-এর আইন, বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ তথ্য জানান। গত সোমবার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনারের উদ্বোধন করেন যুগ্ম-সচিব ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য শাহনওয়াজ দিলরুবা খান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট শেখ ফেরদৌস আরাফাত, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুন্নাহার মাকসুদা, সরকারি এসভি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ কবীর, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. মহসিন খান, জেলা চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান, জেলা উইমেন চেম্বারের সভাপতি ফাতেমা জহুরা, রেস্তঁরা মালিক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম, জেলা ব্র্যাক সমন্বয়ক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ প্রণয়নের পর ২০১৫ সাল থেকে এর কার্যকারিতা শুরু হয়। বিভিন্ন খাদ্যে ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে। খাবার সংরক্ষণ, সঠিক তাপমাত্রায় রান্না এবং মোড়কের গায়ে পণ্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকা অথবা মিথ্যা তথ্য থাকায় খাদ্যটি অনিরাপদ হয়ে যায়। ফলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করে মানুষকে সুস্থ রাখার লক্ষ্যেই এই যুগান্তকারী আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- ও অর্থদ-ের বিধান রাখা হয়েছে। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে সারা বিশ্বে মানুষ ২০০ প্রকার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অনিরাপদ খাদ্যের জন্য আমাদের দেশে গ্রামে ৫০ ভাগ, আর শহরে ৭০ ভাগ মানুষ ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, নানারকম পেটের পীড়া ও ফুসফুসের সমস্যাসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অটিজম বাড়ছে, বন্ধ্যাত্ম বাড়ছে। জনগণের আয়ের ৪০ ভাগই খরচ হয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা বাবদ।

তিনি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে বিভিন্ন হোটেলসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো মনিটর করা এবং জনণের মাঝে এ ব্যাপারে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আহবান জানিয়েছেন।

বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১ , ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

কিশোরগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য আইন বিষয়ক সেমিনার

অনিরাপদ খাদ্যে বিশ্বে চার লক্ষাধিক মানুষ মারা যান

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করে বিশ্বে বছরে ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ভেজাল, দূষিত ও ক্ষতিকর খাবার থেকে সর্বস্তরের মানুষকে রক্ষার লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ-এর আইন, বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ তথ্য জানান। গত সোমবার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনারের উদ্বোধন করেন যুগ্ম-সচিব ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য শাহনওয়াজ দিলরুবা খান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট শেখ ফেরদৌস আরাফাত, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুন্নাহার মাকসুদা, সরকারি এসভি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ কবীর, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. মহসিন খান, জেলা চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান, জেলা উইমেন চেম্বারের সভাপতি ফাতেমা জহুরা, রেস্তঁরা মালিক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম, জেলা ব্র্যাক সমন্বয়ক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ প্রণয়নের পর ২০১৫ সাল থেকে এর কার্যকারিতা শুরু হয়। বিভিন্ন খাদ্যে ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে। খাবার সংরক্ষণ, সঠিক তাপমাত্রায় রান্না এবং মোড়কের গায়ে পণ্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকা অথবা মিথ্যা তথ্য থাকায় খাদ্যটি অনিরাপদ হয়ে যায়। ফলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করে মানুষকে সুস্থ রাখার লক্ষ্যেই এই যুগান্তকারী আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- ও অর্থদ-ের বিধান রাখা হয়েছে। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে সারা বিশ্বে মানুষ ২০০ প্রকার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অনিরাপদ খাদ্যের জন্য আমাদের দেশে গ্রামে ৫০ ভাগ, আর শহরে ৭০ ভাগ মানুষ ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, নানারকম পেটের পীড়া ও ফুসফুসের সমস্যাসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অটিজম বাড়ছে, বন্ধ্যাত্ম বাড়ছে। জনগণের আয়ের ৪০ ভাগই খরচ হয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা বাবদ।

তিনি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে বিভিন্ন হোটেলসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো মনিটর করা এবং জনণের মাঝে এ ব্যাপারে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আহবান জানিয়েছেন।